অ্যানিমেশন ভিডিও থেকে নেওয়া কাটছাঁট করা একটি অংশ সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করে দাবি করা হয়েছে রূপকথার মৎস্যকন্যার দেখা মিলেছে। বুম অনুসন্ধান করে জেনেছে যে এই ভিডিওটি একটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র নির্মাতা সংস্থার তৈরি।
১৩ সেকেন্ড লম্বা এই ভিডিও ক্লিপটিতে দেখা যাচ্ছে, মৎস্যকন্যার মতো দেখতে এক জীব একটি অস্থায়ী জেটির উপর উঠেছে। শোনা যাচ্ছে উপস্থিত জনতার বিস্মিত কণ্ঠস্বরও। হিন্দিতে লেখা টুইটে বলা হয়েছে, "মাছের মতো দেখতে এক রহস্যময় প্রাণীকে দেখা গিয়েছে। মানুষের মতো তার একটি মাথা এবং দুটি হাত রয়েছে। কোথায় পাওয়া গেছে তাও জানা যায়নি। এটা আসলে কি তা বোঝা যাচ্ছে না। এটি কি একটি ভিডিও কারসাজি? দয়া করে তথ্য যাচাই করুন।"
(হিন্দিতে লেখা মূল লেখা: "एक अजीब सा बड़ी मछली जैसा जानवर जिसके इंसान जैसा सर है और 2 हाथ भी हैं, कहीं पाया गया है, कुछ समझ नहीं आ रहा कि ये क्या है, या फिरमॉर्फड वीडियो है? Please #FactCheck"
আরও পড়ুন: লকডাউনে পুরী সৈকতে হরিণ? ছড়ানো হল ফরাসি চিত্রনির্মাতার পুরনো ভিডিও
টুইটটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।
एक अजीब सा बड़ी मछली जैसा जानवर जिसके इंसान जैसा सर है और 2 हाथ भी हैं , कहीं पाया गया है, कुछ समझ नहीं आ रहा कि ये क्या है, या फिर मॉर्फड वीडियो है?
— Dr.Nupur #WithCongress (@Nupur_Nupur_) April 9, 2020
Please #FactCheck@PIBFactCheck @boomlive_in @AltNews @free_thinker pic.twitter.com/pMNUwc7z1j
ফেসবুকে শেয়ার হওয়া পোস্টগুলি আর্কাইভ করা আছে এখানে ও এখানে। পোস্টগুলিতেও এই জীবটি কী তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খোলা জায়গায় ডিম ফুটে বেরিয়ে পড়েছে মুরগির বাচ্চা, এই ভিডিওটি ভারতের নয়
ভারত সরকার সারা দেশে লকডাউন ঘোষণা করার পর বহু পুরানো এবং অপ্রাসঙ্গিক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যাতে দাবি করা হয়েছে মানুষের ঘোরাফেরার ওপর বাধানিষেধ চালু হওয়ার ফলে বন্যপ্রাণীরা মানুষের নাগালে চলে আসছে। বুম এই ধরণের বেশ কয়েকটি ভিডিওর তথ্য যাচাই করেছে এবং তা মিথ্যে প্রমাণ করেছে।
তথ্য যাচাই
বুম নিশ্চিত ভাবে জেনেছে যে ভিডিওটি অ্যানিমেশনের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে এবং এ রকম কোনও প্রাণী মোটেই দেখা যায়নি।
আমরা দেখতে পাই ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর জেজেপিডি প্রোডাকশন নামের একটি ইউটিউব চ্যানেল তিনটি অদ্ভুত প্রাণীর একটি ভিডিও আপলোড করে। এই ভিডিওটিতে ১ মিনিট ৪২ সেকেন্ডের পর ভাইরাল হওয়া এই ক্লিপটি দেখা যাচ্ছে।
জেজেপিডি প্রোডাকশন তার ফেসবুক পেজে পরিষ্কার জানিয়েছে যে তারা অ্যানিমেশন ভিডিও বানায়। নিকারাগুয়ার দুই ব্যাক্তি ইউটিউবার জাকিন পেরেজ এবং জিমি পেরেজ এই চ্যানেলটি চালান। তাঁরা স্পেশাল এফেক্ট দিয়ে ভিডিও বানান।
টিকটকে ভিডিওটি ভাইরাল
এই একই ভিডিও, অন্য আসপেক্ট রেশিওতে ক্রপ করে, টিকটকেও ভাইরাল হয়েছে। যেন এই কাল্পনিক প্রাণীটি চোখের সামনে লোকজন দেখছেন, তাঁদের কথাবার্তাও এই ভিডিওতে ঢোকানো হয়েছে। অনেকেই এই প্রোডাকশন হাউজের ওয়াটারমার্কটি (উপরে ডানদিকে দেখা যাচ্ছে) কেটে বাদ দিয়েছেন। বুম আসল দৃশ্যটির সঙ্গে ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি মিলিয়ে দেখেছে।
২০২০ সালের ৪ মার্চ ইউটিউব চ্যানেল ইন্টারনুয়াটা এমএক্সের আপলোড করা নীচের ভিডিওতে কী ভাবে দৃশ্যের স্থানের পরিবর্তন হয়েছে, তা দেখা যাবে।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯ প্রকোপের সময় টেক্সাসে চায়ের বোতলে থুতু ফেলার পুরনো ভিডিও জিইয়ে উঠল