হিন্দি সংবাদ ওয়েবসাইট দৈনিক ভাস্কর, অমর উজালা এবং দক্ষিণপন্থী ওয়েবসাইট স্বরাজ্য কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার মন্তব্য বিকৃত করে দাবি করেছে যে, সিন্ধিয়া 'সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল' বা নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল সমর্থন করেছেন। ওই ওয়েবসাইটগুলি বলছে যে, তার মানে সিন্ধিয়া তার দলের অবস্থানের বিরুদ্ধে গেছেন, কারণ কংগ্রেস বিলটির বিরোধিতা করছে।
ইন্দোরে সিন্ধিয়া এ বিষয়ে সাংবাদিকদের কাছে তার মতামত জানিয়ে ছিলেন। উল্লেখ্য যে, স্বরাজ্য তার রিপোর্টে দৈনিক ভাস্করের প্রতিবেদনের ওপর নির্ভর করে, এবং সিন্ধিয়ার বক্তব্যের বিকৃতি ঘটায়। বলা হয়, তার মন্তব্য কংগ্রেস পার্টির জন্য বিশেষ অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্বরাজ্য-এর টুইট আর্কাইভ করা আছে এখানে।
স্বরাজ্য-এর প্রতিবেদনটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।
দৈনিক ভাস্করের রিপোর্টে বলা হয়, সিন্ধিয়া বলেছেন যে বিলটি ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। শিরোনামে বলা হয়, "জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া অনুমোদন করছেন: বলছেন, এটা সংবিধান বিরোধী, কিন্তু ভারতের সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।" (হিন্দিতে লেখা হয়: "ज्योतिरादित्य सिंधिया ने समर्थन किया; बोले- यह संविधान के विपरीत, लेकिन भारतीय संस्कृति के अनुरूप")
ভাস্কর-এর আর্কাইভ প্রতিবেদনটি পড়া যাবে ।
প্রথমদিকে অমর উজালাও তাদের রিপোর্টে, সিন্ধিয়ার মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করে। শিরোনামে তারা লেখে, "সিন্ধিয়া আবার 'বিদ্রোহ' করলেন। ৩৭০ ধারার পর, এবার নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল সমর্থন করলেন"। ("सिंधिया ने फिर की 'बगावत', 370 के बाद नागरिकता विधेयक का किया समर्थन")
প্রতিবেদনটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।
তথ্য যাচাই
সিন্ধিয়া ঠিক কি বলেছিলেন তা জানতে বুম ভিডিও ফুটেজের সন্ধান করে। বুম দু'টি ভিডিও পায়, যেগুলিতে সিন্ধিয়ার বক্তব্য ধরা আছে। বুম দেখে যে, তার মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।
দু'টি খবরের চ্যানেল সেগুলিকে ইউটিউবে আপলোড করেছিল। সেই ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে, মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময়, সিন্ধিয়া বিলটির সমর্থন করেননি, বরং বিরোধিতাই করেছেন। ভারতের উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলিতে বিলটির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়ার কথা উল্লেখ করেন সিন্ধিয়া এবং বলেন সেটি ভারতের সংস্কৃতির পরিপন্থী।
"আমার মনে হয় বিলটি সংবিধান বিরোধী। সেটা এক জিনিস। কিন্তু মূলত সেটি ভারতের সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়," বিলটির বিরোধিতা করে বলেন সিন্ধিয়া।
ভিডিওটি আপলোড করে 'কনক নিউজ'। সেটির ৪০ সেকেন্ডের মাথায়, সাংবাদিকরা বিলটি সম্পর্কে তার অবস্থান জানতে চান। সিন্ধিয়া বলেন, "কেবল কংগ্রেস নয়, অন্য অনেক দলও এই বিলের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছে। আমাদের উত্তরপূর্ব অঞ্চলের রাজ্যগুলি ও অন্য রাজ্যে পরিস্থিতিটা দেখুন। আমাদের সংবিধানের রচয়িতা বাবাসাহেব আম্বেদকার বলেছিলেন বর্ণ, জাতি বা ধর্মের ভিত্তিতে মানুষকে বিচার করা হবে না। তাদের দেখা হবে ভারতের নাগরিক হিসেবে। ইতিহাসের দিকে তাকান। আর শুধু গণতন্ত্রের কথায় বা বলব কেন। বিগত ৩০০০ থেকে ৪০০০ বছরের মধ্যে ভারত সবসময় সকলকে গ্রহণ করেছে। বসুধৈব কুটুম্বকম (গোটা পৃথিবী একটি পরিবার)। বিশ্বে এটাই ভারতের বৈশিষ্ট্য।"
বিলটি সম্পর্কে উনি আরও বলেন, "বিলটা আজ এবং গতকাল পেশ করা হয়। আমি বিশ্বাস করি যে, ভারতের ভাবাদর্শ আর সংস্কৃতির মূল কথা হল সকলকে নিয়ে চলা... এই বিল ধর্ম ও রাষ্ট্রের ভিত্তিতে। আগে সেটা দেশের ভিত্তিতে হত। কিন্তু কখনও ধর্মের ভিত্তিতে নয়। আমার মনে হয় সেটা কেবল ভারতের সংবিধান বিরোধীই নয় বরং মূলত ভারতের সংস্কৃতির পরিপন্থী।"
(হিন্দিতে তার বক্তব্য ছিল এই রকম: मैं तो, मैं तो... केवल कांग्रेस नहीं बहुत सारी पार्टियां विरोध कर रही है और सड़क पे | उत्तर पूर्वी राज्यों में आप स्थिति देखिये, देश के अनेक राज्यों में आप स्थिति देखिये | हमारे संविधान के निर्माता बाबासाहेब आंबेडकर ने सदैव कहा था...संविधान लिखने के समय में की न जात, पात की न धर्म के आधार पर किसी को उस दृस्टिकोण से देखा जाएगा | भारतीय नागरिक के रूप में देखा जाएगा | सदैव इतिहास में, केवल प्रजातंत्र की बात मत करो आप, 3,000-4,000 सालों से इस भारत माता की माटी में सभी को अपनाया है | वसुधैव कुटुंब - यही भारत की विशेषता रही है पूरे विश्व में और जो अध्यादेश आज लाया जा रहा है, कल लाया गया था, मैं मानता हूँ की जो भारत की विचारधारा है, जो सभ्यता है की सभी को साथ में लेकर चलना | जो अध्यादेश में भी है की धर्म और राज्य के आधार पर... देशों के आधार पर पूर्व भी हुआ है पर धर्म के आधार पर कभी भी पूर्व में नहीं हुआ | मैं मानता हूँ की संविधान के विपरीत बात अलग है पर हमारी भारतीय संस्कृति जो है इसके आधार पर नहीं है |)
'নিউজ ২৪ এমটি & ছত্তিসগড়'ও একটি ভিডিও ক্লিপ ইউটিউবে আপলোড করে। সেটির সাত সেকেন্ডের মাথায় সিন্ধিয়াকে একই কথা বলতে শোনা যায়।
#CAB2019 संविधान की मूल भावना के ख़िलाफ़ है,भारतीय संस्कृति के विपरीत भी है। अंबेडकर जी ने संविधान लिखते समय किसी को धर्म, जात के दृष्टिकोण से नहीं देखा था।भारत का इतिहास रहा है कि हमने सभी को अपनाया है- वासुदेव कुटुंबकम भारत की विशेषता है।धर्म के आधार पर पहले कभी ऐसा नहीं हुआ।
— Jyotiraditya M. Scindia (@JM_Scindia) December 11, 2019
১০ ডিসেম্বর ২০১৯ লোকসভায় ও বুধবার রাজ্যসভায় পাশ হওয়া বিলটিতে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ বৃহস্পতিবার তার সম্মতি দেয়েছেন।
(অতিরিক্ত রিপোর্টিং: সাকেত তিওয়ারি)