Explore

HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
MethodologyNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফ্যাক্ট চেকNo Image is Available
বিশ্লেষণNo Image is Available
ফাস্ট চেকNo Image is Available
আইনNo Image is Available

Explore

HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
MethodologyNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফ্যাক্ট চেকNo Image is Available
বিশ্লেষণNo Image is Available
ফাস্ট চেকNo Image is Available
আইনNo Image is Available
ফ্যাক্ট চেক

অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় কি বলেছেন যে সরকার ইউপিএ আমলের দুর্বল নীতি গ্রহণ করেছে?

মানিকন্ট্রোল স্পষ্ট করে বিবৃতি দেওয়ার পরেও অধ্যাপক বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্ধৃতি করে ভুয়ো মন্তব্য সহ টুইটটি ভাইরাল হয়েছে।

By - Mohammed Kudrati | 7 May 2020 2:02 PM GMT

অর্থনীতি সংক্রান্ত সংবাদের ওয়েবসাইট মানিকন্ট্রোল ডট কম নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্ধৃতি করে একটি বিভ্রান্তিকর টুইট করেছে। সেই টুইটে কাল্পনিকভাবে বলা হয়েছিল যে, রাহুল গাঁধির সঙ্গে একটি সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, বর্তমান সরকার নাকি ইউপিএ আমলের নীতিই গ্রহণ করছে। কিন্তু ওয়েবসাইটটির তরফ থেকে অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে করা এই টুইট নিয়ে স্পষ্টীকরণ দেওয়া সত্ত্বেও পোস্টটি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।

মানিকন্ট্রোল ওয়েবসাইট যদিও তৎপরতার সাথেই বিভ্রান্তিকর টুইটি নিয়ে স্পষ্ট বিবৃতি দেয় কিন্তু এরই মধ্যে পোস্টটি নেটিজেনদের নজরে আসে এবং টুইটার ব্যবহারকারীরা একে ভাইরাল করে।

অধ্যাপক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাল্পনিক উদ্ধৃতি ব্যবহার করা এই টুইটটি নীচে দেখা যাবে। এই টুইটে বলা হয়: "বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার ইউনাইটেড প্রগ্রেসিভ অ্যালায়েন্স বা ইউপিএ আমলের নীতিগুলিই গ্রহণ করেছে, সেটাই নিকট সময়ে ভারতের আসল সমস্যা।"

কিন্তু মানিকন্ট্রোল কেন এখনও এই বিভ্রান্তিকর টুইটটি মুছে দেয়নি, তা স্পষ্ট নয়।

মানিকন্ট্রোলের এই মিথ্যে উদ্ধৃতি তারই সহোদরা সংস্থা সিএনএন-নিউজ ১৮-এও প্রকাশ করা হয়েছে। 

টুইটারে এই ট্রেন্ডটির সূচনা করেন ঋষি বাগড়ি। মানিকন্ট্রোলের টুইটটি কোট-টুইট করে তিনি লেখেন, "উল্টো বুঝলি রাম!"

টুইটটি আর্কাইভ করা আছে এখানে


বুম এই টুইটটি ওপেন সোর্স ওয়েবসাইট হোক্সিতে(Hoaxy) দেয় এবং দেখতে পায় টুইটারে টুইটটি ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।  



কীভাবে এই টুইটটি ছড়িয়ে পড়েছে তা নীচে দেখা যাবে।


তথ্য যাচাই

বুম প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধির সঙ্গে অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎকারটি দেখে।

অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় দারিদ্র নির্মূলীকরণের উপর তাঁর কাজের জন্য ২০১৯ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পান। সাম্প্রতিক করোনাভাইরাস অতিমারি এবং লকডাউন বিষয়ে রাহুল গাঁধি অর্থনীতি, প্রযুক্তি ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলেছেন। কংগ্রেস নেতার সঙ্গে অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই কথোপকথন সেই সাক্ষাৎকারগুলির একটি।

রাহুল গাঁধির প্রথম সাক্ষাৎকারটি ছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজনের সঙ্গে। এই দুজন অর্থনীতিবিদই কংগ্রেস প্রস্তাবিত ন্যায় প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত। গত লোকসভা নির্বাচনের সময় কংগ্রেস এই প্রকল্পটির কথা বলে। এটি একটি ইউনিভার্সাল বেসিক ইনকাম বা সর্বজনীন ন্যূনতম আয় প্রকল্প।

রাহুল গান্ধী সাক্ষাৎকারের শুরুতেই অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেশের দরিদ্রদের উপর লকডাউনের প্রভাব বিষয়ে প্রশ্ন করেন। রাহুল গাঁধি জানতে চান, মনরেগা (মহাত্মা গান্ধী ন্যাশনাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি অ্যাক্ট) বা খাদ্য নিরাপত্তা আইনের মতো ইউপিএ আমলের যে নীতিগুলো এত দিন দরিদ্র মানুষের জন্য একটা ন্যূনতম সংস্থান করেছে, লকডাউনের ফলে সেই নীতিগুলো কি অবহেলিত হবে, যার ফলে কোটি কোটি মানুষ আবার দারিদ্রের নিমজ্জিত হবেন।

উত্তর অভিজিৎবাবু বলেন, "বিষয়গুলিকে আলাদা করা যেতে পারে। আমার মনে হয়, অতি নিকট ভবিষ্যতে মূল সমস্যা হল, ইউপিএ আমলের এই নীতিগুলো— নীতি হিসেবে ভাল হলেও— এই সময়ে শুধু সেটুকু অনুসরণ করাই যথেষ্ট নয়। এক অর্থে সরকার এগুলিকে প্রয়োগ করেছে। এ রকম নয় যে তাদের খুব আপত্তি ছিল এবং এটা খুব পরিষ্কার যে ইউপিএ-র এই প্রকল্পগুলি ব্যবহৃত হবে।"

নীচে এই বিষয়টি শুনতে পাবেন।
Full View

এই বিষয়ে মানিকন্ট্রোল সঠিক উদ্ধৃতি সমেত তাদের ব্যাখ্যা দিয়েছে। তারা তাদের আগের ভুল উদ্ধৃতির উত্তর হিসাবে ঠিক মন্তব্যের টুইটটি করেছে। যদিও সঠিক মন্তব্য সমেত এই ব্যাখ্যা ততটা মনোযোগ আকর্ষণ করেনি যতটা অপব্যাখ্যা করা উদ্ধৃতিটি করেছিল।এই প্রতিবেদন লেখার সময় ব্যখ্যা দেওয়া এই টুইটটি ৬০ বার রিটুইট করা হয়েছে অন্যদিকে মূল টুইটটি প্রায় ৩৫৯ বার রিটুইট করা হয়েছিল এবং ঋষি বাগড়ির টুইট অ্যাকাউন্ট থেকে ২০০০ বার রিটুইট হয়েছে।

আরও পড়ুন: অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে তৈরি সব টুইটার প্রোফাইলগুলি 'ভেকধারী'

Related Stories