বোরখা-পরা দুই মহিলাকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে, ২০১৭ সালের এরকম একটি ভিডিও জিইয়ে তুলে ভুয়ো দাবি করা হচ্ছে, এরা লখনউয়ে নাগরিকত্ব আইন-বিরোধী প্রতিবাদ-সমাবেশ বানচাল করতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে।
৪৫ সেকেন্ডের ভিডিও ক্লিপটিতে দেখা যাচ্ছে, পুলিশ দুই মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে, যারা পরে নিজেদের পূজা ও মানসী নামে পরিচয় দেয়।
ভিডিওটিকে যে হিন্দি ক্যাপশন সহ শেয়ার করা হচ্ছে, তার অনুবাদ: "একজনের নাম পূজা, অন্য জনের নাম মানসী। ওদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ওরা বোরখা পরে লখনউ-এর ঘন্টা-ঘরে সিএএ, এনআরসি এবং এনপিআর-বিরোধী সমাবেশে যোগ দিতে গেছে। ওরা মহিলাদের ভিড়ের মধ্যে মিশে যাচ্ছে এবং 'পাকিস্তান জিন্দাবাদ' স্লোগান দিচ্ছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায়কে বোকা বানানোর জন্য এ ভাবে মুসলিমদের বদনাম করা উচিত নয়।"
প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা শাকিল আহমেদ এই একই ক্যাপশন সহ ভিডিওটি টুইট করেছেন। তাঁর টুইটটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।
एक का नाम पूजा है और दूसरी का मानसी, और आरोप है कि यह दोनो नक़ाब (बुर्क़ा)पहन कर लखनऊ मे घंटा घर के पास CAA, NRC और NPR के विरुद्ध धरने पर बैठी महिलाओं की भीड़ मे पाकिस्तान ज़िंदाबाद के नारे लगा रही थीं।बहुसंख्यकों को मूर्ख बनाने के लिए मुसलमानो को बदनाम करना ठीक नहीं है। pic.twitter.com/AducMdSInn
— Shakeel Ahmad (@Ahmad_Shakeel) January 29, 2020
ভিডিওটি ফেসবুকে একই বয়ানে ভাইরাল হয়েছে।
লখনউ-এর ঘন্টা ঘরে যে প্রতিবাদ চলছে, তা দিল্লির শাহিন বাগের নাগরিকত্ব আইন-বিরোধী প্রতিবাদ-জমায়েতের দ্বারা অনুপ্রাণিত।
তথ্য যাচাই
বুম ভিডিওকে কয়েকটি মূল ফ্রেমে ভেঙে অনুসন্ধান করে দেখেছে, এই একই ভিডিও ২০১৭ সালের নভেম্বরে প্রভাত খবর ইউটিউবে আপলোড করেছিল। তখন ভিডিওটির ক্যাপশন ছিল, "উত্তরপ্রদেশে স্থানীয় স্বশাসিত সংস্থার নির্বাচনে দুজন ভুয়ো মহিলা ভোটার বোরখা পরে বুথে পৌঁছয়, পুলিশ স্তম্ভিত!"
সংবাদ রিপোর্ট অনুসারে ঘটনাটি ২০১৭ সালের নভেম্বরের, উত্তরপ্রদেশের গোন্ডা জেলার কাটরা বাজারের, যখন দুজন হিন্দু মহিলা পুর-ভোটে ছাপ্পা ভোট দিতে মুসলিম সেজে যায়।
প্রভাত খবর-এর রিপোর্ট, মহিলা পুলিশরা ভোটের লাইনে বোরখা পরে দাঁড়িয়ে থাকা দুই মহিলাকে ধরে ফেলে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় পুলিশ ওদের পূজা গুপ্তা ও মানসী গুপ্তা বলে শনাক্ত করে। অথচ ভোটার পরিচয়পত্রে তাদের নাম অন্য ছিল। ভুয়ো ভোটার বলেই তারা বোরখাতে নিজেদের ঢেকে রেখেছিল। এ ব্যাপারে আরও বিশদে পড়তে ক্লিক করুন এখানে।
হিন্দি দৈনিক পত্রিকাও ঘটনাটি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল।