তাঁর দিল্লি সফরে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাসভবনে গিয়ে ইমরান খানের দেখা করার ২০১৬ সালের একটি পুরনো ছবি জিইয়ে তুলে দাবি করা হচ্ছে, ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় দিল্লি বিধানসভার নির্বাচনের ঠিক আগে এই সাক্ষাতের ঘটনা ঘটেছে।
পোস্টগুলিতে ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে, পাকিস্তান আম আদমি পার্টিকে সমর্থন করে এবং দিল্লির নির্বাচনের আগে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, "দিল্লির নির্বাচনের আগে কেজরিওয়াল ইমরানের কাছ থেকে আশীর্বাদ নিচ্ছেন।"
(হিন্দিতে মূল পোস্ট: "दिल्ली चुनाव से पहले इमरान से आशीर्वाद लेते हुए केजरी।")
নীচে এরকমই একটি পোস্টের স্ক্রিনশট দেওয়া হলো।
পোস্টটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।
অন্য একটি পোস্টে ব্যাখ্যা করা হয়েছে কেন কেজরিওয়াল ইমরান খানের সঙ্গে জোট বাঁধলেন। তার ক্যাপশন হলো, "কেন কেজরিওয়াল দিল্লির নির্বাচন জিততে পাকিস্তানের সঙ্গে হাত মেলালেন?"
(হিন্দিতে মূল পোস্ট: ''केजरीवाल को दिल्ली चुनाव जीतने के लिये पाकिस्तान से क्यो हाथ मिलाना पड़ा ?'') পোস্টটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।
এ ধরনের আরও একটি পোস্টে কেজরিওয়ালের সঙ্গে ইমরান খানের অনেকগুলি ছবি ছেপে একটি পুরনো টুইটকে ব্যবহার করা হয়েছে এই মিথ্যা আরোপ লাগাতে যে, পাকিস্তান সরকার বিজেপিকে ভোট না দেওয়ার জন্য প্রকাশ্যে দিল্লির ভোটদাতাদের কাছে আবেদন জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: আম আদমি পার্টি কি প্রতিবন্ধীদের মধ্যে 'জাদু-কম্বল' বিলি করেছে? একটি তথ্য যাচাই
তথ্য যাচাই
বুম খোঁজখবর নিয়ে দেখেছে, ইমরান খান ২০১৬ সালের মে মাসে তাঁর দিল্লি সফরের সময় মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে দেখা করেন। রাজধানীর ফ্ল্যাগস্টাফ রোডে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনেই এই সাক্ষাৎকার হয় এবং তা নিয়ে উভয়ের ছবি টুইটও করেন।
Met Imran Khan and we shared our experiences in politics. Both challenging status quo in respective countries pic.twitter.com/XsFuT8AYjD
— Arvind Kejriwal (@ArvindKejriwal) March 20, 2016
সেই সাক্ষাৎকারের একটি বর্ধিত অংশ নীচের ভিডিওতে দেখা যেতে পারে, যেটি দিল্লি সরকার তার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে সে সময় আপলোডও করেছিল। তবে সাম্প্রতিককালে কেজরিওয়ালের সঙ্গে ইমরান খানের কোনও দেখা সাক্ষাৎ হয়নি।
বরং এর বিপরীত ঘটনাই ঘটেছে, যখন পাকিস্তানের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দফতরের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চৌধুরী ফাহাদ হুসেন দিল্লির নির্বাচনে বিজেপিকে পরাস্ত করার ডাক দেন, তখন কেজরিওয়াল সরাসরি জবাব দেন যে, "পাকিস্তানের কোনও মন্ত্রীর ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে নাক গলানো উচিত নয়।"
नरेंद्र मोदी जी भारत के प्रधानमंत्री है। मेरे भी प्रधानमंत्री है। दिल्ली का चुनाव भारत का आंतरिक मसला है और हमें आतंकवाद के सबसे बड़े प्रायोजकों का हस्तक्षेप बर्दाश्त नहीं। पाकिस्तान जितनी कोशिश कर ले, इस देश की एकता पर प्रहार नहीं कर सकता। https://t.co/E2Rl65nWSK
— Arvind Kejriwal (@ArvindKejriwal) January 31, 2020
এই ছবিগুলিই ২০১৮ সালেও একবার জিইয়ে তোলা হয়েছিল, যখন দ্য ক্যুইন্ট সংবাদমাধ্যম সেটির পর্দাফাঁস করে। সেই তথ্য-যাচাইটি পড়ুন এখানে।
আম আদমি পার্টির প্রতি পাক সমর্থন বিষয়ে মন্ত্রীর ভুয়ো টুইট
পাক বাহিনীর সেনা-গোয়েন্দা বিভাগ আইএসআই-এর প্রাক্তন ডিরেক্টর হামিদ গুল-এর একটি যাচাই-না-করা হ্যান্ডেলের টুইটের স্ক্রিনশট উদ্ধৃত করে একটি ফেসবুক পোস্টে দাবি করা হয়েছে, পাকিস্তান ভারতীয় নেটিজেনদের আম আদমি পার্টিকে ভোট দিতে বলেছে।
বুম দেখেছে, জেনারেল হামিদ গুল-এর উক্ত হ্যান্ডেলের শেয়ার করা টুইটটি ২০১৫ সালের মে মাসের। হামিদ গুল মারা যান ওই বছরেরই অগস্ট মাসে। অ্যাকাউন্টটা ভুয়ো বলেই মনে হয়, কেননা ২০১৫ সালের ডিসেম্বরেও অর্থাৎ হামিদ গুলের মৃত্যুর কয়েকমাস পরেও তাঁর হ্যান্ডেল বলে কথিত হ্যান্ডেল থেকে পোস্ট করা চলেছে।
.@GenHameedGul rofl are u tweeting from your grave https://t.co/bSwfIGzl9a
— Dr Jwala Gurunath (@DrJwalaG) December 14, 2015