সোশাল মিডিয়াতে ভাইরাল হওয়া ফেসবুক পোস্টে মিথ্যে দাবি করা হয়েছে যে, অন্যতম জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যম 'টিকটক' ৩ রা মে থেকে বন্ধ করা হবে। ওই ভুয়ো পোস্টে দাবি করা হচ্ছে এমনটাই নাকি নির্দেশ দিয়েছে খোদ তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর।
ভাইরাল হওয়া ফেসবুক পোস্টের গ্রাফিক-এ লেখা হয়েছে যে, ''৩ মে থেকে ভারতে টিকটক বন্ধ। প্রকাশ জাভরেকর, সূচনা ও প্রসারণ মন্ত্রী।''
ভাইরাল হওয়া ফেসবুক পোস্টটির ক্যাপশনে লেখা হয়েছে যে, "10 মিনিট নীরবতা পালন হোক ইন্ডিয়ার উঠতি অভিনেতা, অভিনেত্রীদের জন্য।''
তথ্য যাচাই
বুম যাচাই করে দেখেছে যে ৩ মে থেকে টিকটক বন্ধ হওয়ার খবরটি সত্য নয়। বুম তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর বা তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রক থেকে টিকটক বন্ধ করার ব্যাপারে কোনও নির্দেশ বা বিজ্ঞপ্তি খুঁজে পায়নি।
টিকটকের ভারতে আইনি লড়াই
২০১৯ সালের ৩ এপ্রিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রককে টিকটক বন্ধ করার নির্দেশ দেয়। পর্ণোগ্রাফি ও শিশুদের যৌণ হেনস্থা রুখতে এই পদক্ষেপ নেয় কোর্ট। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক আপেল ও গুগুল প্লে স্টোর থেকে বাইট ড্যান্সের টিকটক অ্যাপ সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেয়। পরে কোর্টের নির্দেশেই আবার ওই বছরের এপিল মাসের শেষে ফিরে আসে টিকটক।
ভারতে টিকটক বন্ধ করা নিয়ে বার্তমানে দুটি মামলা বিচারাধীন। টিকটক অপরাধ ও মৃত্যুর কারণ বলে মুম্বই হাইকোর্টে পিটিশান দাখিল করেছেন হিনা দরবেশ। আইনজীবি মিলিন্দ সাথে টিকটকের পক্ষে আদালতে সাওয়াল করেন ৬ মার্চ ২০২০। আদালত তিন সপ্তাহ পর মামলাটির ব্যাপারে পিটিশিনারের আইনজীবিকে জবাব দিতে বলেন। লকডাউন চলতে থাকায় মামলাটি আদালতে এখনও বিচারাধীন।
অশোক কুমার নামে এক ব্যক্তি তেলেঙ্গানা হাইকোর্টে টিকটক বন্ধ করার ব্যাপারে জনস্বার্থে একটি মামলা দাখিল করেছেন। তেলেঙ্গানা হাইকোর্ট টেলিকম নিয়ামক সংস্থা—ট্রাই, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে তাদের অবস্থান জানাতে নোটিস পাঠিয়েছে। এই জনস্বার্থ মামলা সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট পক্ষকে তাদের অবস্থান জানাতে ৬ সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে। ২৬ এপ্রিল ২০২০ ওই নির্দেশ দেয় তেলেঙ্গানা হাইকোর্ট। এই মামলাটিও বিচারধীন।
আমেরিকা টিকটক ব্যান করেছে বলেছে সম্প্রতি সোশাল মিডিয়ায় আরেকটি গুজব ছড়িয়েছে। বুম ইংলিশ গুজবটিকে নস্যাৎ করেছে।
আরও পড়ুন: লকডাউনে আবার ফিরে এল, ২০১৪'র 'অব কি বার মোদী সরকার' ছাপ-মারা রুটির ছবি