Explore

HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
MethodologyNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফ্যাক্ট চেকNo Image is Available
বিশ্লেষণNo Image is Available
ফাস্ট চেকNo Image is Available
আইনNo Image is Available

Explore

HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
MethodologyNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফ্যাক্ট চেকNo Image is Available
বিশ্লেষণNo Image is Available
ফাস্ট চেকNo Image is Available
আইনNo Image is Available
ফ্যাক্ট চেক

না, এটি হিমাচলপ্রদেশে আহত হওয়া গরুর ছবি নয়

বুম দেখে মুখে গুরুতর ক্ষত সহ গরুর ছবিটি রাজস্থানের রায়পুরের। ময়লা ফেলার জায়গায় ঢুকে পড়লে মারাত্মক ভাবে জখম হয় গরুটি।

By - Sk Badiruddin | 9 Jun 2020 9:20 AM GMT

মুখে গভীর ক্ষত সমেত রাজস্থানের মেওয়ারে ২০১৫ সালে তোলা একটি গরুর ছবি জিইয়ে তোলা হচ্ছে এই দাবি করা হচ্ছে যে এটি নাকি হিমাচলপ্রদেশে বিস্ফোরক ভরা আটার মণ্ড খেয়ে আহত হওয়া একটি অন্তঃসত্ত্বা গরুর ছবি।

খবরে প্রকাশ, গত মাসের শেষের দিকে হিমাচলপ্রদেশের বিলাসপুর জেলায় বিস্ফোরক মেশানো আটার মণ্ড খেয়ে একটি গরু জখম হয়। গরুটি একটি খামারে ঢুকে পড়লে ওই ঘটনাটি ঘটে। আহত প্রাণীটির মালিক একটি ভিডিও পোস্ট করলে, ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায় এবং ধিক্কারের ঝড় ওঠে। গত সপ্তাহে কেরলে একই ধরনের এক ঘটনায় একটি অন্তঃসত্ত্বা হাতির মৃত্যু হলে সারা দেশ রাগে ফেটে পড়ে।

বুম দেখে আহত গরুটির ছবি রাজস্থানে তোলা। ময়লা ফেলার জায়গায় গরুটি ঢুকে পড়লে সেখানে লুকনো বোমার আঘাতে  ছিল, সেখানে  সেটি ঘোরতর ভাবে জখম হয়।

আরও পড়ুন: কেরলে এক গর্ভবতী হস্তিনীর দুঃখজনক মৃত্যু থেকে গোঁড়ামি ও গুজব ছড়াচ্ছে

হিমাচলপ্রদেশের ঘটনাটি খবরে না আসায়, নেটিজেনদের অনেকেই ক্ষুব্ধ হয়েছেন এবং বিভ্রান্তিকর ভাবে রাজস্থানে আহত গরুটির বিচলিত করার মতো ছবিটি ব্যবহার করেছেন। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, দুর্ঘটনাক্রমে ঘটে যাওয়া বিস্ফোরণে গরুটির মুখের একাংশ উড়ে গেছে।

হিন্দিতে লেখা ক্যাপশনে বলা হয়, "হিমাচলপ্রদেশ: পটকা ব্যবহার করায় চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা গরুর মুখ জখম হয়। কিন্তু এই ঘটনাকে খবর হওয়ার যোগ্য মনে করেনি কেউ। ক্ষোভ প্রকাশ করেনি কারওর বাচ্চা। কোনও পশুপ্রেমীকে মনের কষ্ট প্রকাশ করতেও দেখা যায়নি। কারণ, ঘটনাটি একটি বিজেপি-শাসিত রাজ্যে ঘটে।"

(মূল হিন্দিতে ক্যাপশন: हिमाचल प्रदेश: 8 महीने की गर्भवती गाय के मुंह में पटाखा रखकर फोड़ दिया है, लेकिन गाय 'माँ' के दर्द की News नही बन सकी, न ही किसी औलाद को गुस्सा आया, न किसी जीव प्रेमी ने संवेदना व्यक्त की, क्योंकि जिस प्रदेश में यह अमानवीय कृत्य हुआ है, वहां भाजपा सरकार है!!!)

পোস্টটি দেখতে ক্লিক করুন এখানে। পোস্টটি আর্কাইভ করা আছে এখানে। (ছবিগুলি বিচলিত করার মতো)


ছবিগুলি বাংলাতেও ক্যাপশন সহ ভাইরাল হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, "ধিক্কার ধিক্কার ধিক্কার, আর কত দিন এই ভাবে চলবে? কবে মানুষের সুবুদ্ধি জাগবে? বিস্ফোরণে উড়ে গেল গর্ভবতী গরুর চোয়াল, কেরলের পর নৃশংস ঘটনার সাক্ষী হিমাচল প্রদেশ।"

পোস্টটি দেখতে ক্লিক করুন এখানে। পোস্টটি আর্কাইভ করা আছে এখানে

'আইবিটাইমস' হিমাচল প্রদেশের ঘটনাটির ব্যাপারে একটি প্রতিবেদনে যাচাই না করেই ওই ছবিটি ব্যবহার করে। প্রতিবেদনটির শিরোনাম লেখা হয়, "মানেকা গান্ধী ও অন্যান্য বিজেপি নেতারা এবার ঝাঁজ আঁচ করুন; #জাস্টিসফরনন্দিনীর (নন্দিনীর জন্য ন্যায়বিচার) এখন টুইটারে ট্রেন্ড করছে।" (আর্কাইভ লিঙ্ক)


আরও পড়ুন: দিল্লি পাবলিক স্কুল কি প্রত্যেক পড়ুয়াকে ৪০০ টাকায় মাস্ক বিক্রি করছে ? একটি তথ্যযাচাই

তথ্য যাচাই

ছবিটির রিভার্স ইমেজ সার্চ করে বুম ২০১৫ সালের জুন মাসে কিছু ফেসবুক পোস্ট দেখতে পায়। পোস্টটিতে ওই গরুটির বেশ কিছু ছবি ব্যবহার করা হয় এবং বলা হয়, ঘটনাটি রাজস্থানের পালি জেলার রায়পুর তেহসিলের লিলাম্বা গ্রামের। সেই রকম একটি পোস্টের ক্যাপশনে বলা হয়, "রাজপুর তেহসিলের লিলাম্বা গ্রামে গো হত্যাকারীরা গরুটিকে মারার জন্য ইচ্ছে করে জঞ্জাল ফেলার জায়গায় বিস্ফোরক রেখে দেয়। গো মাতা ওই জঞ্জাল থেকে খেতে শুরু করে। তখনই একটি খুব জোরাল বিস্ফোরণের আওয়াজ শোনা যায়। সেই শুনে গ্রামবাসীরা ছুটে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, গরুটির চোয়াল উড়ে গেছে।"

উপযুক্ত কি-ওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করলে, আমরা ২০১৫ সালের ২৭ জুন 'পত্রিকা'-তে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন দেখতে পাই। তার সঙ্গে দেওয়া ছবিতে আমরা আহত গরুটিকে অন্যদিক থেকে দেখি।


ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, গরুটি গ্রামের জঞ্জাল ফেলার জায়গায় ঢুকে পড়লে ঘটনাটি ঘটে। গ্রামবাসীদের দাবি দুষ্কৃতিরা সেখানে বোমা লুকিয়ে রেখে ছিল। তবে গরুকে আঘাত করার জন্য সেগুলি রাখা হয়েছিল কিনা, তা স্পষ্ট নয়।

ওই সংবাদ প্রতিবেদনের এক জায়গায় লেখা হয়, "প্রত্যক্ষদর্শীদের কথা অনুযায়ী, মাধ্যমিক স্কুলের সামনে ময়লা ফেলার জায়গায় গুরুটি খাচ্ছিল। সেই সময় বিস্ফোরণটি ঘটে। তার ফলে গরুটির চোয়াল উড়ে যায় এবং চারদিকে জঞ্জাল ছড়িয়ে পড়ে।" ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়, ওই মাসের শুরুর দিকে, একই ধরনের এক ঘটনায় আরও একটি গরু আহত হয়েছিল। পরে গরুটি মারা যায়। গরুটির মালিক সোহানলাল মেঘওয়াল পুলিশে অভিযোগও দায়ের করেছিলেন।

আরও পড়ুন: না, এই ছবিগুলি রাশিয়ার নদীতে তেল ছড়িয়ে যাওয়ার ছবি নয়

Related Stories