প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধীকে ঘিরে রয়েছেন এক দল কৃষ্ণ প্রেমী। সেই ছবিকে এই বলে প্রচার করা হচ্ছে যে, এটি হল ১৯৮৯ সালে অযোধ্যায় রাম মন্দিরের বিতর্কিত স্থানে শিলান্যাস অনুষ্ঠানের ফটো।
বুম জেনেছে যে, দিল্লিতে রাজীব গাঁধী এক দল হরে কৃষ্ণ ভক্তদের সঙ্গে দেখা করার সময় ছবিটি তোলা হয়।
৫ অগস্ট উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হতে চলেছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ছবিটি ভাইরাল হয়েছে।
খবরে প্রকাশ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মন্দিরের শিলান্যাস করবেন। কিন্ত কোভিড-১৯ অতিমারির কারণে, ওই অনুষ্ঠানে ২০০ জনের বেশি মানুষ যোগদান করতে পারবেন না।
ভাইরাল পোস্টটিতে একটি সাদা-কালো ছবি শেয়ার করা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে এক দল লোক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে ঘিরে আছেন। এও দেখা যাচ্ছে তাঁর হাতে কিছু একটা রয়েছে।
পোস্টটির সঙ্গে হিন্দি ক্যাপশনে লেখা আছে, "এটি হল ৯ নভেম্বর ১৯৮৯ সালের শিলান্যাসের ছবি। এতে কোনও লোকদেখান আড়ম্বর বা ভণ্ডামি নেই।"
(হিন্দি বয়ান: ये तस्वीर है उस भूमि पूजन की जो 9 नवम्बर 1989 को हो चुका है ना कोई ढोंग था ना तामझाम था।)
একাধিক ফেসবুক পেজ (আর্কাইভ) থেকে একই ধরনের ক্যাপশন সহ ছবিটি ফেসবুকেও শেয়ার করা হয়।
উইকিপিডিয়ার পাতায় ছবিটির সঙ্গে দেওয়া ক্যাপশনে বলা হয়, "রাজীব গাঁধী দিল্লিতে রাশিয়ান হরে কৃষ্ণ ভক্তদের সঙ্গে দেখা করছেন।"
এই ছবির সত্ব রয়েছে রাশিয়ার ইসকনের হাতে।
তাছাড়া কংগ্রেসের নিজস্ব টুইটার হ্যান্ডেল থেকে ছবিটি ৯ মার্চ ২০১৭ তারিখে টুইট করা হয়। ওই টুইটে বলা হয়, "হরে কৃষ্ণ ভক্তদের সঙ্গে দেখা করছেন রাজীব গাঁধী, ১৯৮৯।"
বুম বেশ কিছু সংবাদ প্রতিবেদন দেখতে পায় যাতে, সেই সময়কার রাম মন্দিরের বিতর্কিত স্থানে শিলান্যাসের উল্লেখ আছে।
৯ নভেম্বর ১৯৮৯ তারিখে অযোধ্যায় শিল্যান্যাস করার অনুমতি দিয়েছিল রাজীব গাঁধী সরকার। ৩০ বছর পর, ২০১৯-এ, একই দিনে,
সুপ্রিম কোর্ট রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ মামলার রায় ঘোষণা করেন, যার ফলে অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের ক্ষেত্রে বাধা কেটে যায়।
১৯৮৯-এ শিলান্যাসের সময় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। সে সম্পর্কে
এখানে পড়ুন।