বৃহস্পতিবার সোশাল মিডিয়ায় খবর ছড়ায় যে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিঘাঁটিতে ভারতীয় সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়েছে। অবশ্য ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, লাইন অব কন্ট্রোলে ১৯ নভেম্বর এ রকম কোনও গুলিবিনিময় হয়নি।
বিভিন্ন ফেসবুক পেজ এবং ভেরিফায়েড টুইটার হ্যান্ডেল থেকে এই পোস্টটি শেয়ার করা হয়েছে, যাতে দাবি করা হয়েছে যে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিঘাঁটিতে ভারতীয় সেনাবাহিনী অভিযান চালানোর ফলে প্রায় ৮৫ জন জঙ্গি মারা গেছে। অনেকগুলি মূলধারার সংবাদমাধ্যমও খবরটি প্রকাশ করে এবং দাবি করে ে খবরটি প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া (পিটিআই)-র। পরে অবশ্য সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে খবরটি অস্বীকার করার পর প্রতিবেদনগুলিতে বদল করা হয়েছে।
দিওয়ালির আগের দিন ১৩ নভেম্বর জম্মু কাশ্মীরের লাইন অব কন্ট্রোলে পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি উল্লঙ্ঘন করে। তার পরিপ্রেক্ষিতে এই খবরটি ভাইরাল হয়েছে। যুদ্ধবিরতি উল্লঙ্ঘন করার ফলে ১১ জন ব্যক্তি নিহত হয়েছেন, তার মধ্যে ১জন সেনা আধিকারিক এবং এক জন বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের জওয়ানও আছেন।
দীপক চৌরসিয়া, রুবিকা লিয়াকত এবং অঞ্জনা ওম কাশ্যপের মত বহু সাংবাদিক এবং একাধিক সংবাদ মাধ্যমের টুইটার হ্যান্ডল থেকে এই বিমানহানা সংক্রান্ত টুইট করা হয়। কাশ্যপ পরে টুইট করে জানান যে সেনাবাহিনী এমন কোনও বিমানহানার খবর অস্বীকার করেছে।
সেনাবাহিনী এই দাবি অস্বীকার করেছে
ইতিমধ্যে সংবাদ সংস্থা এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনালের আসল হ্যান্ডেল থেকে একটি টুইট করা হয়েছে যাতে বলা হয়েছে ১৯ নভেম্বর এরকম এয়ারস্ট্রাইক করার দাবি ভারতীয় সেনাবাহিনী অস্বীকার করেছে।
বুম দেখেছে যে সাংবাদিক দিনাকর পেরি এবং শিব আরুর এই দাবি নস্যাৎ করে টুইট করেছেন।
দিনকর পেরি টুইট করেছেন: ব্যাখ্যা: সেনাবাহিনী জানিয়েছে যে পিটিআই-এর যে সংবাদ প্রতিবেদনটি ভাইরাল হয়েছে, সেটি ১৩ নভেম্বর তারিখে আয়োজিত অ্যানালিসিস অব সিজফায়ার ভায়োলেশন-এর ওপর ভিত্তি করে লেখা। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, আজ সীমান্তে কোনও গুলিবিনিময় বা যুদ্ধবিরতি উল্লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেনি।
আরুর টুইট করেছেন, "পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় আজ ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো অভিযান হয়নি। অন্ততঃ এখনো পর্যন্ত।"