একটি অস্বস্তিকর ভিডিওতে এক ব্যক্তিকে একটি ট্রান্সফর্মার ছুঁয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করতে দেখা যাচ্ছে। সোশাল মিডিয়ায় সেটি মিথ্যে দাবি সব শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে ওই ব্যক্তি বিজেপি কর্মী এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে তিনি আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন।
২৮ সেকেন্ডের ক্লিপে এক ব্যক্তিকে ট্রান্সফর্মারের হাই-টেনশন টারমিনাল ছুঁয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করতে দেখা যায়।
ভিডিওটি বিচলিত করার মতো। তাই বুম ভিডিওটিকে অন্তর্ভুক্ত করেনি।
ভিডিওটির সত্যতা জানতে চেয়ে বুমের হোয়াটসঅ্যাপ হেল্পলাইনে (৭৭০০৯০৬১১১) সেটি পাঠানো হয়েছিল ।
মালায়ালি ভাষায় লেখা ক্যাপশন বাংলা করলে দাঁড়ায়, "আমার মৃত্যু এই দেশের জন্য। যে ভারত সম্পর্কে গর্ববোধ ছিল, তার ক্ষত তাকে ব্যথিত করে। এক ভগ্নহৃদয় বিজেপি কর্মী আত্মহত্যা করে।"
(মালায়ালি ভাষায় লেখা হয়: "എന്റെ മരണം ഈ രാജ്യത്തിന് വേണ്ടി. അഭിമാനമായ ഇന്ത്യയെ വെട്ടി പരിക്കേൽപ്പിച്ചതിൽ മനംനൊന്ത് രാജസ്ഥാനിൽ BJP പ്രവർത്തകൻ ആത്മഹത്യ ചെയ്തു.")
ওই মালায়ালি ক্যাপশন দিয়ে আমরা ফেসবুকে সার্চ করি। দেখা যায়, মিথ্যে ক্যাপশনসহ ভিডিওটি ফেসবুকেও ভাইরাল হয়েছে।আরও পড়ুন: জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ব্যক্তিগত সদস্যের বিলকে সরকারি বিল বলা হল
তথ্য যাচাই
রিপোর্টে বলা হয়, সেনাবাহিনীর জওয়ান পি মুথু, ২৫, রাজস্থানে কর্মরত ছিলেন। তামিলনাড়ুর মাদুরাই জেলা কালেক্টরেটে ৭ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে ট্রান্সফর্মারের উচ্চ বিদ্যুৎবাহী টার্মিনাল ছুঁয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন তিনি।
তাঁর স্ত্রী আত্মহত্যা করার পর রাজস্ব দপ্তরের ডিভিশনাল আধিকারিকের জেরার সম্মুখীন হতে হয় তাঁকে। মুথু দিন্দিগুল জেলার নিলাকোট্টাইয়ের বাসিন্দা থেনিসাকে সাড়ে তিন মাস আগে বিয়ে করেছিলেন। জানা যায়, পণ সংক্রান্ত ব্যাপার নিয়ে পরিবারে অশান্তি চলছিল।
তাই নিয়ে পুলিশে অভিযোগ করা হয়েছির। ফলে তদন্ত শুরু হয়। তাছাড়া রাজস্ব দপ্তরের অনুসন্ধানও চলছিল। টাইমস অফ ইন্ডিয়া জানায় যে, ডিভিশনাল রাজস্ব আধিকারিকের অফিস থেকে বেরিয়ে, মুথু সোজা ট্রান্সফর্মারে উঠে পড়েন।
ওই ঘটনার পর মুথুকে সঙ্গে সঙ্গে রাজাজি হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ওই ভিডিওটি আগেও একবার যাচাই করে দেখা হয়েছিল। সেই যাচাইয়ের কাজটা ১০ জানুয়ারি ২০২০ তে করেছিল 'নিউজমিটার'। সেই সময়, ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছিল এবং মিথ্যে দাবি করা হয়েছিল যে, অন্ধ্রপ্রদেশের অমরাবতীতে কৃষক বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করার জন্য পুলিশ ভুয়ো মামলা সাজালে একজন কৃষক আত্মহত্যা করেন।