পাঞ্জাবের অমৃতসরে ২০১৪ সালে এক দিব্যাঙ্গ ভিক্ষুক ও তাঁর স্ত্রীকে শিশু কোলে নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তির সময় পুলিশের প্রহারের ছবিকে বিভ্রান্তকর দাবি সহ সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হচ্ছে। ফেসবুক পোস্টে দাবি করা হচ্ছে এটি উত্তরপ্রদেশে দলিত নির্যাতনের ঘটনা।
উত্তরপ্রদেশের হাথরসে সেপ্টেম্বর মাসে এক নির্যাতিতা দলিত তরুণীর হাসপাতালে মৃত্যুর পর পরিবারের অনুমতি ছাড়া জোর করে দাহ করার ঘটনায় দেশ জুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। অভিযোগ ওই তরুনী উচ্চবর্ণের যুবকদের দ্বারা গণধর্ষণের শিকার হয়। পরিবারের তরফে পুলিশি নিস্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলা হয়। ভাইরাল হওয়া ছবিটি এই ঘটনা প্রেক্ষিতে শেয়ার করা হয়।
বুম আরও দেখে ভারতীয় জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অফ স্পিনার হরভজন সিংহ নিজের টুইটার থেকে এই ছবি টুইট করেছিলেন ২০১৬ সালের ১১ এপ্রিল। তিনি এই টুইটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে উল্লেখ করে লেখেন, "এই ধরণের অভব্যতা মেনে নেওয়া উচিৎ নয়। পুলিশের কাজ রক্ষা ও সাহায্য করা, তাদের কাজ আমাদের স্বজনকে মারা নয়।"
তথ্য যাচাই
বুম ছবিটিকে রিভার্স সার্চ করে দেখে এটি উত্তরপ্রদেশে পুলিশের হাতে দলিত নির্যাতনের ঘটনা নয়। বুম ছবিটিকে রিভার্স সার্চ করলে ২০১৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত দ্য ট্রিবিউনের অমৃতসর সংস্করণের অনলাইন এডিশনে ছবি সহ একটি প্রতিবেদনের হদিস পায়।
ওই ছবির বর্ণনায় লেখা হয়েছে, "রবিবার মল রোডে ভিক্ষা চাওয়ার সময় হেড কনস্টেবল গুরপ্রীত সিংহ ছোট্ট শিশুকে ধরে থাকা একজন দিব্যাঙ্গ ভিক্ষুক ও তাঁর স্ত্রীকে মারধোর করছে।"
পুলিশ কমিশনার জেএস উলাখ সত্ত্বর ওই কনস্টেবল গুরপ্রীত সিংহকে বরখাস্ত করেন। প্রবোধ সি বালি নামে এক স্থানীয় মানবাধিকার কর্মী গুরপ্রীতের বিরুদ্ধে পাঞ্জাব মানবাধিকার কমিশনের কাছে অভিযোগ করেন। পাঞ্জাব মানবাধিকার কমিশন ২০১৫ সালের ১৯ জানুয়ারি এসসপিকে ওই ঘটনার ব্যাপারে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দেয়।