নাইজেরিয়ায় এক ধর্মযাজকের ঘরে পাওয়া মানুষের কঙ্কালের একটি ভাইরাল ছবি ছড়িয়ে মিথ্যে দাবি করা হচ্ছে, সেটি আশা সাহনি নামের এক মহিলার। মারা যাওয়ার এক বছর পর তার মৃত্যুর কথা জানা যায়। ছবিটিতে এক ব্যক্তির কঙ্কালসার দেহ সোফার ওপর গা এলিয়ে বসার ভঙ্গিতে পরে থাকতে দেখা যায়।
ফেসবুকের একাধিক পেজ থেকে ছবিটি শেয়ার করা হয়। সেই সঙ্গে বলা হয় যে এখনকার প্রজন্ম নিজেদের কেরিয়ারের স্বার্থে বয়স্কদের ফেলে রেখে বিদেশে বসবাস করতে চলে যাচ্ছে।
ছবিটির সঙ্গে বাংলায় লেখা ক্যাপশনে বলা হয়েছে, "ছবিটা মুম্বাইয়ের এক কোটিপতি মহিলার মৃতদেহ। কোটিপতি NRI পুত্রের মাতা। ১০ মাস আগে মারা গিয়েছিলেন। ১৭ কোটি টাকার ফ্ল্যাট থেকে মহিলার কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়েছে।"
বর্ষীয়ান আশা সাহনি মুম্বাইয়ের আন্ধেরিতে একাই থাকতেন একটি ফ্ল্যাটে। মনে করা হয়, আত্মহত্যা করেছিলেন তিনি। তাঁর ছেলে ঋতুরাজ সাহনি তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এলে মহিলার মৃত্যুর কথা জানা যায়। তাঁদের মধ্যে দীর্ঘদিন কোনও যোগাযোগ ছিল না। বাড়িতে এসে এক চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির মধ্যে ঋতুরাজ তাঁর মায়ের কঙ্কাল আবিষ্কার করেন। ঋতুরাজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রযুক্তিবিদ হিসেবে কাজ করেন। সেখানে বিবাহবিচ্ছেদের এক জটিল মামলা লড়তে গিয়ে উনি তাঁর অসুস্থ মায়ের খোঁজখবর নিতে পারেননি।
আরও জানতে এখানে পড়ুন।
তথ্য যাচাই
বুম ছবিটির রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে দেখা যায় ছবিটি নাইজেরিয়ার। সেখানে এক ধর্মযাজক নিজের বাড়িতে মানুষের কঙ্কাল রাখার জন্য তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছির। বলা হয়, কঙ্কালটি ছিল ওই পাদ্রির বোনের।
ঘটনাটি ঘটে নাইজেরিয়ার ওগুণ রাজ্যে। সম্ভবত এক মহিলার কঙ্কাল বাড়িতে রাখার জন্য একজন পাদ্রি পাকড়াও হন। নাইজেরিয়ার একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, "বাড়ির মালকিন তার ভাড়াটে পাদ্রিকে উৎখাত করতে জোর করে তার ঘরে ঢুকে পড়েন। কারণ, এক বছরের ভাড়া দেননি ওই পাদ্রি। সেখানে একটি মানুষের কঙ্কাল দেখে উনি হতচকিত হয়ে যান।" বলা হয়, ওই কঙ্কালটি ওই ধর্মযাজকের বোনের। ছ'বছর আগে মারা গিয়েছিলেন ওই মহিলা।