Explore

HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
MethodologyNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফ্যাক্ট চেকNo Image is Available
বিশ্লেষণNo Image is Available
ফাস্ট চেকNo Image is Available
আইনNo Image is Available

Explore

HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
MethodologyNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফ্যাক্ট চেকNo Image is Available
বিশ্লেষণNo Image is Available
ফাস্ট চেকNo Image is Available
আইনNo Image is Available
ফ্যাক্ট চেক

প্রাক্তন সৈনিকের ছবিকে ইতালিতে বৃদ্ধের কোভিড-১৯ থেকে সেরে ওঠা বলা হলো

বুম খুঁজে পায় ভাইরাল ছবিটি কমপক্ষে পাঁচ বছরের পুরনো। সেই সময় দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে লড়া কলোরাডোর এক বয়স্ক সেনা বাগদত্তাকে লেখা হারানো চিঠি পড়ে আবেগঘন হয়েছিলেন।

By - Sk Badiruddin | 15 April 2020 2:21 PM GMT

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের এক যোদ্ধার বান্ধবীকে লেখা দীর্ঘ দিন আগে হারিয়ে যাওয়া একটি প্রেমপত্র পড়তে গিয়ে আবেগঘন হয়ে যাওয়া মুহূর্তের ছবি, সোশাল মিডিয়ায় মিথ্যে করে কোভিড-১৯ প্রকোপের সঙ্গে জোড়া হচ্ছে। 

ছবিটি কলোরাডোর জনৈক বিল মুর-এর, যিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যোগদানকারী এক সৈনিক। ভাইরাল পোস্টের ক্যাপশনে তাঁকে ভুলভাবে ইতালির লোক বলে দাবি করা হয়েছে এবং কোভিড-১৯ থেকে সেরে ওঠার পর তাঁর কাছে নাকি ভেন্টিলেটরের খরচও চাওয়া হয়েছে। ক্যাপশনে আরও বলা হয়েছে যে, সেরে উঠে তিনি স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিতে পারার আনন্দে অভিভূত ও আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন এবং সারা জীবন ধরে প্রকৃতি থেকে তাঁর শ্বাসবায়ু গ্রহণ করতে পারার জন্য কেবল ঈশ্বরকেই ধন্যবাদ দেন। ইতালিতে কোভিড-১৯ ভয়ংকর মহামারীতে পরিণত হওয়া এবং প্রতিদিন ক্রমবর্ধমান মৃত্যুর সংখ্যার প্রেক্ষাপটেই এই পোস্টটি ভাইরাল হয়েছে।
  

ফেসবুকে একই বিবরণীকে ক্যাপশন হিসাবে ব্যবহার করে বিল মুরে'র ছবিটি শেয়ার হয়েছে। ক্যাপশনের একটি অংশ এ রকম: "৯৩ বছরের এক বৃদ্ধ ইতালিতে করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হওয়ার পর হাসপাতাল তাঁকে একদিনের ভেন্টিলেটরের খরচ দিতে বলে, আর লোকটি তাতেই কেঁদে ফেলেন। চিকিৎসক তাঁকে হাসপাতালের বিল নিয়ে কান্নাকাটি করতে বারণ করেন। তার জবাবে বৃদ্ধটি যা বলেন, তাতে উপস্থিত চিকিৎসকরাও কাঁদতে থাকেন। বৃদ্ধ বলেন, আমি বিলের টাকা দিতে হবে বলে কাঁদছি না, ও টাকা আমি দিয়ে দিতেই পারি। আমি কাঁদছি এই জন্য যে গত ৯৩ বছর ধরে আমি ঈশ্বরের দেওয়া এই বাতাস বুক ভরে শ্বাস নিচ্ছি, অথচ কোনও দিন সে জন্য এক পয়সাও দিইনি। হাসপাতালে একদিনের ভেন্টিলেটর ব্যবহারের জন্য ৫০০ ইউরো দিতে হয়। তোমরা কি জানো, ঈশ্বরের কাছে আমার কত ইউরো ধার হয়ে গেছে, অথচ সে জন্য আমি ঈশ্বরকে যথেষ্ট ধন্যবাদও দিইনি।"

পোস্টটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।  
Full View

একই ছবি এবং ক্যাপশন টুইটারেও ভাইরাল হয়েছে। 

বিল মুরে'র এই ছবিটির স্ক্রিনশট এবং ক্যাপশন সহ বিজেপি প্রাক্তন সাংসদ অভিনেতা পরেশ রাওয়ালও টুইট করেছেন। তিনি লেখেন: "আশা করি আমরা মানবজাতি বিষয়টা উপলব্ধি করতে পারবো।

টুইটটি আর্কাইভ করা আছে এখানে

টুইটটি আর্কাইভ করা আছে এখানে

কোভিড-১৯ মহামারীর জন্য ৩১ জানুয়ারি ইতালিতে সে দেশের সরকার জরুরি অবস্থা জারি করে। এই রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত সেখানে ২১,০৬৭ জন এই রোগে মারা গেছেন এবং ৩৭,১৩০ জন আরোগ্য লাভ করেছেন।

আরও পড়ুন: এটি করোনাভাইরাসে মৃত ইতালির ডাক্তার দম্পতির শেষ চুম্বনের ছবি নয়

তথ্য যাচাই

বুম ভাইরাল ছবিটির রিভার্স ইমেজ অনুসন্ধান করে জানতে পেরেছে যে, ছবিটি অন্তত ৫ বছরের পুরনো এবং এই ছবির সাথে করোনাভাইরাসের কোনও সম্পর্ক নেই। 

২০১৫ সালের মার্চ মাসে এবিসি নিউজ এই ছবিটি আপলোড করেছিল। নবতিপর এই বৃদ্ধের নাম বিল মুর, যিনি কলোরাডোর বাসিন্দা এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে লড়া এক সৈনিক। যুদ্ধের সময়ে তাঁর বাগদত্তাকে লেখা হারিয়ে যাওয়া একটা চিঠি খুঁজে পাওয়া গেছে, এ কথা তাঁকে জানানো হলে তিনি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন।  

যুদ্ধের সময় দেখা হওয়া বার্নাডিন নামে এক মহিলাকে ১৯৪৪ সালে যখন তিনি ওই চিঠিটি লেখেন, তখন তাঁর বয়স ছিল ২০ বছর। তখন তিনি জানতেনও না যে, ওই মহিলাকেই তিনি বিয়ে করবেন। এক অপরিচিত ব্যক্তির কেনা একটি রেকর্ডের খাপে ওই চিঠিটি ছিল। সেই ব্যক্তি পত্রদাতাকে খুঁজে বেড়াচ্ছিলেন। ভ্যালেন্টাইন্স ডে'র কিছু আগে ভদ্রলোক বিলের মেয়েকে খুঁজে পান। আর ৭০ বছর পরে তাঁর সেই পুরনো চিঠিটি হাতে নিয়ে পড়েই বিল আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। এ খবর জানিয়েছে এবিসি নিউজl

এবিসি নিউজের রিপোর্টে থাকা ভিডিওটিতে ৫২ সেকেন্ডের মাথায় বিল মুরকে ভেঙে পড়তে দেখা যায়।



একই প্রতিবেদন পিপল ওয়েব-পত্রিকাতেও প্রকাশিত হয়।

ইতালিতে স্বাস্থ্যের খরচ বহন করে সরকার

কমনওয়েল্থ ফান্ড স্টেটস-এর একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ইতালির স্বাস্থ্য-ব্যবস্থা সকল ইতালীয় নাগরিক এবং বৈধ বিদেশিদের জন্য সম্পূর্ণ অবৈতনিক। সেখানে বেসরকারি স্বাস্থ্য-বিমার ভূমিকা খুবই নগণ্য। বেসরকারি স্বাস্থ্য-বিমাও দু ধরনের: এক, বিভিন্ন বৃহৎ সংস্থার করে দেওয়া বিমা, যেখানে সংস্থাই কর্মচারী ও তাঁর পরিবারের লোকেদের স্বাস্থ্য-খরচ বহন করে, দুই, বিভিন্ন ব্যক্তি স্বাস্থ্য-বিমা করিয়ে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার ব্যয় আগাম নিশ্চিত রাখতে পারেন। তাই ইতালিতে রোগীরা হাসপাতালে চিকিৎসা পাওয়ার পর তার ব্যয়ভার নিজেরা বহন করতে বাধ্য হবেন, এমন সম্ভাবনা কমই।

আরও পড়ুন: কোভিড-১৯: ট্রাকে চড়ে তবলিগি জামাত সদস্যদের যাওয়ার ভিডিওটি ইসলামাবাদের

Related Stories