সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ব্যক্ত করে এমন এক মন্তব্যকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে জম্মু ও কাশ্মীরের এক পুলিশ অফিসারের উক্তি বলে চালানো হয়েছে।
মন্তব্যটির সঙ্গে ওই অফিসারের ছবিও ব্যবহার করা হয়েছে। বাংলায় লেখা উক্তিটি এই রকম: “মুসলমান-প্রধান এলাকায় হিন্দুদের পিটিয়ে মারা হচ্ছে, এমনটা আমি কখনো দেখিনি। কিন্তু যেসব জায়গায় হিন্দুরা সংখ্যাগরিষ্ঠ, সেখানে মুসলমানদের রোজই পিটিয়ে মারা হয়। মেহেতা হলেন জম্মুর কিস্তওয়ারের সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ। কিন্তু ভাইরাল পোস্টে তাঁকে পাতিয়ালার সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ বলে বর্ণনা করা হয়েছে।
এই প্রতিবেদন লেখার সময় অবধি পোস্টটি ১০০০ বার শেয়ার করা হয়। আর তার শিরোনামে লেখা হয়: “তাহলে ইনিও দেশদ্রোহী?”
বুম মেহেতার সঙ্গে যোগাযোগ করে। উনি বলেন ওই ধরনের কোনও কথাই উনি বলেননি। পোস্টটি নীচে দেখা যাবে। পোস্টটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।
তথ্য যাচাই
আমরা ভাইরাল হওয়া ছবিটিকে খুঁটিয়ে দেখি। দেখা যায়, সেটির ব্যাকগ্রউন্ডে আছে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের লোগো।
এবার ইন্টারনেটে ‘হরমিত সিং’ এবং ‘জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ’ দিয়ে সার্চ করা হয়। তার ফলে, ‘হরমিত সিং মেহেতা, এসএসপি, কিস্তওয়ার’ - এই পরিচিতি সামনে আসে।
যোগাযোগ করা হলে, মেহেতা বলেন ওই ধরনের কোনও মন্তব্যই উনি করেননি। “আমি ওরকম কোনও কথাই বলিনি। ২০০১ সালে আইপিএস পরীক্ষা পাস করার পর আমি জম্মু ও কাশ্মীরের অফিসার হিসেবে কাজ করছি।”
বুম দেখে যে হিন্দিতে লেখা একই উক্তি গত বছরও ভাইরাল হয়েছিল। মেহেতা আরও বলেন: “আমি কখনওই পাঞ্জাব সরকারের কর্মচারী ছিলাম না। আমি জেএনকে রাজ্য থেকে ২০০১-এর আইপিএস অফিসার।” বর্তমানে, উনি জম্মুর কিস্তওয়ার জেলার পুলিশ প্রধান।
পাতিয়ালা পুলিশেও হরমিত নামের এক অফিসারের নাম পায় বুম। হরমিত সিং হুন্ডাল নামের ওই অফিসার পাতিয়ালা পুলিসের এসপি (তদন্ত) পদে আছেন। যোগাযোগ করা হলে, উনিও ওই মন্তব্য করেননি বলে জানান। “এর মধ্যে কোনও সত্যতা নেই, কারণ ছবিটা তো আমার নয়। তাছাড়া আমি তো ওরকম কোনও কথাই বলিনি,” বলেন হুন্ডাল।