পুলওয়ামা হামলার জবাবে ভারতীয় বিমান হানার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা যখন বেড়ে চলেছে, তখনই সংবাদ চ্যানেলের প্যারডি করে বানানো দুটি ব্যঙ্গাত্মক টুইটকে সত্যি খবর বলে শেয়ার করা শুরু হয়েছে ।
টাইমস নাউ-এর প্যারডি অ্যাকাউন্ট টাইমস হাউ (TIIMES HOW) দাবি করেছে, বিদ্যুত্ সরবরাহ বন্ধ থাকায় পাকিস্তানি বিমানঘাঁটির যে সব কম্পিউটারে রাডার রয়েছে, সেগুলো বন্ধ হয়ে যায়, যার ফলে হানাদার ভারতীয় বিমানের অস্তিত্ব তারা টেরই পায়নি ।
টুইটার হ্যান্ডেলটিতে পরিষ্কার বলা আছে যে, এটি একটি প্যারডি বা ব্যঙ্গমূলক অ্যাকাউন্ট, তা সত্ত্বেও বহু ব্যবহারকারী এটিকে এমন ভাবে শেয়ার করেছে, যেন এটি একটি সত্য সংবাদ ।
একই ভাবে লাইমস অফ ইন্ডিয়া নামে অন্য একটি টুইটার হ্যান্ডেল (যেটি টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্যারডি অ্যাকাউন্ট)ভারতীয় বিমানবাহিনীকে উদ্ধৃত করে একটি টুইটে লিখেছে—“ওরা টম্যাটোর জন্য কান্নাকাটি করছিল, আমরা ওদের কেচাপ পাঠিয়ে দিয়েছি” ।
টুইটটির সঙ্গে ভারতীয় বিমানবাহিনীর এয়ার চিফ মার্শাল বীরেন্দ্র সিং ধনোয়ার একটি ফোটোও জুড়ে দেওয়া হয়েছে ।
টাইমস হাউ-এর মতো লাইমস অফ ইন্ডিয়াও প্রকৃত খবর প্রচার করার দাবি পরিত্যাগ করে জানিয়ে দেয় যে, তাদের সব টুইটই আসলে শতকরা একশো ভাগ ভুয়ো । তা সত্ত্বেও বহু লোক ওগুলিকে সত্যি খবর ভেবে নিয়ে টুইটার ও ফেসবুকে সেগুলি উদ্ধৃত করে চলেছে, লাইমস অফ ইন্ডিয়ার নাম না করে কিংবা এগুলি যে ব্যঙ্গরচনা বা প্যারডি, তা উল্লেখ না করেই ।
এই সর্বশেষ বিমান-হানা নিয়ে ভারতীয় বিমানবাহিনী এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও সরকারি বক্তব্য জানায়নি । কিন্তু তাই বলে ভুয়ো খবর প্রচারকারীদের তাদের রকমারি মন্তব্য বানানোর অপপ্রয়াস থেকে নিরস্ত করা যায়নি ।
পুলওয়ামা হামলায় ৪০জন সিআরপিএফ জওয়ানের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর থেকে ভুয়ো খবর প্রচারকারীরা ভারত-পাক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে অনবরত কাল্পনিক ও মনগড়া সব তথ্য দিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি ও উত্তেজনার পারদ বৃদ্ধি করে চলেছে ।