একটি ফেসবুক পোস্টে দাবি করা হয়েছে, ১৯ এপ্রিল কংগ্রেস নেতা হার্দিক প্যাটেলকে যে ব্যক্তি চড় মারে এবং একটি অন্য ছবিতে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর পিছনে দাঁড়ানো ব্যক্তিটি নাকি একই লোক । দাবিটি পুরোপুরি মিথ্যা ।
গুজরাটের একটি প্রকাশ্য জনসভায় হার্দিক প্যাটেল চড় খাওয়ার পরেই ভাইরাল হওয়া একটি ফেসবুক পোস্ট দুটি ছবিকে এক জায়গায় এনে হিন্দিতে ক্যাপশন দিয়েছে—“বোকা কোথাকার! অন্তত অন্য কাউকে দিয়ে হার্দিককে চড় মারিয়ে নিতে!”
পোস্টটিতে দুটি আলাদা ছবিকে একসঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছে । একটি ছবিতে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর পাশে দাড়িওয়ালা এক ব্যক্তিকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে । হার্দিক প্যাটেলকে মঞ্চের উপর চড় মারার অন্য ছবিটি সম্ভবত কোনও ভিডিও থেকে তোলা স্ক্রিনশট । ভাইরাল পোস্টটি এখানে দেখতে পারেন এবং তার আর্কাইভ বয়ানটি এখানে ।
দুটি ছবিতেই দেখতে পাওয়া দাড়িওয়ালা লোকটি খানিকটা একরকম দেখতে হলেও একই লোক নয় । অথচ এই প্রতিবেদনটি লেখার সময়েও পোস্টটি সমানে ভাইরাল হয়ে চলেছে ।
তথ্য যাচাই
বুম রাহুল গান্ধীর পিছনে দাঁড়ানো ব্যক্তির ছবিটি আলাদা করে ছেঁটে নিয়ে অনুসন্ধান চালায় । তাতে অন্য কয়েকটি লিংক-এর খোঁজ মেলে যাতে একই ধরনের কিছু ছবি পাওয়া যায় । ওই ছবিগুলিতে যাঁকে দেখা যাচ্ছে, তিনি উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন বিধায়ক এবং কংগ্রেস নেতা অনুগ্রহ নারায়ণ সিং । মজার ব্যাপার হল, হার্দিক প্যাটেলকে চড় মারা লোকটির সঙ্গে তাঁর মুখের কিছু সাদৃশ্য রয়েছে ।
২০১৬ সালের ১৬ নভেম্বর ডেকান হেরাল্ড সংবাদপত্রে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে আমরা ভাইরাল পোস্টে ব্যবহৃত ছবিটিও দেখতে পাই, যদিও সেখানে কিছুটা অন্য কোণ থেকে ছবিটি তোলা হয়েছে । তবে ওই রিপোর্টে অনুগ্রহনারায়ণ সিংয়ের নাম উল্লেখ করা হয়নি ।
হার্দিক প্যাটেলকে চড় মারল কে?
গুজরাটের সুরেন্দ্রনগরে এক প্রকাশ্য জনসভায় যে ব্যক্তি হার্দিক প্যাটেলকে চড় কষায়, তাকে তরুণ গজ্জর বলে শনাক্ত করা হয়েছে ।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, হার্দিক প্যাটেলের নেতৃত্বে সংগঠিত পতিদার আন্দোলনের সময় গজ্জরকে খুবই সমস্যা ও সংকটের মধ্যে পড়তে হয় এবং তিনি সে জন্য প্যাটেলকে উচিত শিক্ষা দিতে সংকল্প করেছিলেন । ঘটনাটি সম্পর্কে গজ্জর সংবাদসংস্থা এএনআই-কে পরে জানান—“আমার স্ত্রী সে সময় গর্ভবতী । হাসপাতালে তার চিকিত্সা চলছিল । পতিদার আন্দোলনের জন্য সে সময় আমাকে খুবই ভুগতে হয় । তখনই আমি ঠিক করেছিলাম, এই লোকটাকে যে-কোনও ভাবে একটা উচিত শিক্ষা দিতে হবে ।”
বুম গজ্জরের ছবির সঙ্গে অন্য দাড়িওয়ালা লোকটির ছবি পাশাপাশি মিলিয়ে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে দেখেছে, দুটি ছবির মুখের চেহারায় অনেক অমিল রয়েছ—