ভাইরাল হওয়া একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে দাবি করা হয়েছে, মন্দির থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। ছবিটিতে কয়েকজন পুলিশ আধিকারিককে অনেক ছোরা ও তরোয়াল সহ দেখা যাচ্ছে।
তিনি ওই পোস্টে ক্যাপশন লিখেছেন, “মন্দিরের অস্ত্র বলে ভাইরাল হবে না। ভারতে এক মন্দিরে অনেক অস্ত্র পাওয়া গেছে সারা বিশ্বের নিকট এটা কিছুই না যদি মসজিদে হত সারা পৃথিবী তোলপাড় সৃষ্টি হত। সারা বিশ্বের মানুষ এটা নিয়ে মন্তব্য করতো আজ মন্দিরের অস্ত্র বলে কারো মাথাব্যাথা নেই। সত্যি কথা বলতে মুসলমানরাই নিজেরা নিজেকে হেয় প্রতিপন্ন করতে কোটি করে না কার্পণ্য করেনা বাকিদের কথা তো বাদই দিলাম। একটু ভাবা উচিত কি করার ছিল আর কি করছি, কি হবার ছিল আর কি হচ্ছে।”
এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত ১,৩০০ জন শেয়ার ও ৮৬৭ জন লাইক করেছে পোস্টটি দেখা যাবে এখানে। প্রতিবেদনটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।
তথ্য যাচাই
২০১৬ সালের ৫ মার্চ ট্যুইটারে এই ছবি পোস্ট করেছিলেন একজন ট্যুইটার ব্যবহারকারী।
এই গুজবটি ২০১৭ সালে সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়। এ বিষয়ে বুমের ভুয়ো খবর নস্যাৎের টুইটটি দেখা যাবে এখানে।
বুম রিভার্স সার্চ করে জেনেছে ছবিটি পুরনো। এই ঘটনার সঙ্গে মন্দিরের কোনও যোগ নেই।
রাজকোটের অপরাধ দমন শাখা ও কাভাদাভা রোড পুলিশ একটি বেআইনি অস্ত্র চোরাচালান চক্রের ৫ জনকে গ্রেফতার করে। রাজকোট-আহমেদাবাদ হাইওয়ের চোতিলার খুচিয়াদাদ গ্রামের একটি হোটেল থেকে ছুরি ও তরোয়াল সহ ২৫৭ টি মারন অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধারের পর বাজেয়াপ্ত করে।
২০১৬ সালের ৬ মার্চ টাইমস অফ ইন্ডিয়া ও ৫ মার্চ দৈনিক ভাস্কর ওই ঘটনা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল।
আজতক ২০১৬ সালের ৫ই মার্চের ব্রেকিং নিউজে ওই একই ঘটনার আরেকটি ছবি প্রকাশ করেছিল।
মন্দির থেকে অস্ত্র উদ্ধারের এরকম একটি গুজব ২০১৭ সালে এসএমহোয়াক্সস্লেয়ার খন্ডন করেছিল।