লখনউয়ের কিঙ্গ জর্জেস মেডিকেল ইউনিভারসিটির (কেজিএমইউ) ছাত্ররা পশ্চিমবাংলার চিকিৎসকদের ধর্মঘটের সমর্থনে একটি প্রতিবাদ মিছিল বার করেন।
সেই মিছিলের ভিডিও মিথ্যে দাবি সমেত ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটিতে কেজিএমইউ-র ডাক্তারি ছাত্রদের মিছিল করে হাঁটতে দেখা যাচ্ছে। সেই সঙ্গে তাঁরা স্লোগান দিচ্ছেন, “উই ওয়ান্ট জাস্টিস” (আমরা বিচার চাই)। কিন্তু সেটিকে পশ্চিমবাংলার ধর্মঘটী ডাক্তারদের সমর্থনে পাকিস্তান ইয়ং ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন-এর মিছিল বলে দাবি করা হয়েছে।
প্রথমে, ইয়ং ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশান পাকিস্তান (ওয়াইডিএ পাকিস্তান) তাদের ফেসবুক পেজে ভিডিওটি পোস্ট করে ১৩ জুন তারিখে।
শুরুতে ভিডিওটির ক্যাপশনে ভারতীয় জুনিয়র ডাক্তারদের সমর্থনে বলা হয়: “পাকিস্তানের ইয়ং (জুনিয়ার) ডাক্তাররা ভারতের ইয়ং ডাক্তারদের অবস্থানের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছেন এবং যে কোনও পরিস্থিতিতে সমস্ত রকম সাহায্য করতে প্রস্তুত। পাকিস্তানের ইয়ং ডাক্তাররা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ ও তাঁর বিবৃতির তীব্র নিন্দা করছে। পুলিশকে অপরাধীদের মোকাবিলা করতে হয়। তাই সশস্ত্র গুন্ডাদের মুখোমুখি হয় তারা। কিন্তু ডাক্তারদের কাজ প্রাণ বাঁচানো। তাদের ডিউটি সসস্ত্র গুন্ডাদমন নয়। ইয়ং ডাক্তাররা সারাদিন খাটেন।এবং তাদের পূর্ণ সুরক্ষা দেওয়া ও কাজের সুষ্ঠ পরিবেশ গড়ে তোলার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। পাকিস্তানইয়ংডক্টরসসাপোর্টিংইন্ডিয়ানইয়ংডক্টরস #ওয়াইডিএইন্ডিয়া।”
অল্প সময়ের মধ্যেই, বেশ কিছু ভারতীয় ফেসবুক পেজ ওই সমর্থন জানানো পোস্টটি শেয়ার করে। সঙ্গে ক্যাপশনে লেখা হয়, “এবার পাকিস্তানের জুনিয়র ডাক্তাররাও ভারতের ডাক্তারদের সমর্থনে মিছিলে।”
তথ্য-যাচাই
বুম দেখে যে, পরে পাকিস্তান ওয়াইডিএ পেজে একটি সংযোজন করা হয়েছে। একটি লাইন জুড়ে দিয়ে বলা হয়েছে, আসলে লখনউয়ের কিঙ্গ জর্জেস মেডিক্যালি ইউনিভারসিটির মিছিলের ভিডিও ওটি।
বুম কেজিএমইউ-এ আয়োজিত সমর্থন মিছিলের বেশ কয়েকটি ভিডিও দেখে। দেখা যায়, এই ভিডিওটিও ওই ঘটনারই ছবি দেখাচ্ছে। কেজিএমইউ-র ছাত্রছাত্রীরা পশ্চিমবাংলায় ডাক্তারদের চলতে-থাকা ধর্মঘটের সমর্থনে ওই মিছিল বার করেন ১৩ জুন।
ওই ইউনিভারসিটির ছাত্রদের সঙ্গে বুম যোগাযোগ করেছে। তাঁদের প্রতিক্রিয়া জানার পর আমরা এই প্রতিবেদন আপডেট করব।
পশ্চিমবাংলায় ১২ জুন থেকে স্বাস্থ্য পরিষেবা স্তব্ধ হয়ে আছে। রাজ্যের নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে একজন সত্তরোর্ধ রোগী মারা গেলে, জুনিয়র ডাক্তারদের মারধোর করা হয়। তারপরই থেকেই শুরু হয় অচলাবস্থা। রাজ্যের ডাক্তাররা গণ ইস্তফা দিয়েছেন। দেশের অন্যত্রও চিকিৎসকরা তাঁদের সমর্থনে প্রতিবাদ করছেন। স্ট্রাইক সম্পর্কে আরও জানতে এখানে ক্লিক করুন।