মুখে অক্সিজেনের মাস্ক লাগানো বিমানে ওঠা যাত্রীদের নিয়ে তোলা এক মিনিটের ভিডিওটি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। তাতে মিথ্যে দাবি করা হয়েছে যে, এই মাসের প্রথম দিকে ইথিওপিয়ায় বিশোফটুতে ইথিওপিয়ান বিমান ইটি ৩০২ ভেঙে পড়ার ঠিক আগের মুহূর্তে তোলা হয়েছিল ওই ভিডিওটি।
ভিডিওতে দেখাচ্ছে অক্সিজেন মাস্ক পরে বিমানযাত্রীরা যেন বিমানের প্রচন্ড ঝাঁকুনিতে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে দৌড়োদৌড়ি করছে। বিমান সেবিকাদেরও দেখা যাচ্ছে যেন যাত্রীদের অক্সিজেন মাস্ক পরতে তারা সাহায্য করছে। এবং সেই ছবি তোলার সময় বিমানের ঝাঁকুনিতে যেন ছবি কেঁপে কেঁপে যাচ্ছে।
আপনারা নীচে ভিডিওটি দেখতে পারেন এবং ওই পোস্টের আরকাইভ সংস্করণটি এখানে দেখতে পারেন।
তথ্য যাচাই
ওই ভিডিও ফুটেজটি ছিল বিমান দুর্ঘটনার ৬ দিন আগে, একটি ইথিওপিয়ান এয়ারলাইনসের ডাবলিন যাওয়ার ফ্লাইটে থাকা বিমানযাত্রীদের নিয়ে তোলা। আদিস আবাবা থেকে ফ্লাইটটি ছাড়ার দু’ঘন্টা পরের ঘটনা ছিল সেটি।
ডেইলিস্টার.কো.ইউকে সাম্বা নামে এক ব্যক্তিকে চিহ্নিত করেছে, যে সেদিন তার ফোন দিয়ে ওই ছবি তোলে। ওয়েবসাইট সাম্বাকে উদ্ধৃত করেছে। সে বলছে “আমরা আদিস থেকে প্রায় ২ ঘন্টা উড়ছিলাম। হঠাৎই প্লেনটি দ্রুত নীচের দিকে নামতে থাকায় মাস্কগুলিও নীচে পড়ে যাচ্ছিল।
ওই প্লেনটি ইথিওপিয়ার রাজধানীতে ফিরে আসে। এবং যাত্রীরা সেখান থেকে বিমান পরিবর্তন করেন। সাম্বা দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছেন এই মর্মে যে, ভিডিওটি ওই ঘটনাকে ইথিওপিয়ান প্লেন ৩০২’র বলে চালিয়ে দিয়েছে, যেটি ১০ মার্চ কেনিয়ার নাইরোবি যাওয়ার পথে ভেঙ্গে পড়েছিল।
বিমানযাত্রী ১৫৭ জনের সবাই সেই দুর্ঘটনায় সেদিন প্রাণ হারান।
মার্চে ১০ তারিখের ওই বিমান দুর্ঘটনার তোলা ছবি বলে বহু মিথ্যে ভিডিওই ছড়ানো হয়েছে।
ভিডিও ২
আর একটি ভিডিওতে এই দাবি করা হয়েছে যে, সেটি বিমানটি ভেঙে পড়ার ঠিক আগে ককপিট থেকে তোলা হয়েছে। যার ব্যাকগ্রাউন্ডে বিমানযাত্রীদের আতঙ্কিত চিৎকার শোনা যাচ্ছে।
ভিডিওটি আসলে মাইক্রোসফ্টের ফ্লাইট সিমুলেটর প্রোগ্রাম বা নকল বিমান যাত্রার। যেটি ভিডিও গেমে পাওয়া যায়। কোনও ব্যবহারকারী আকাশে উড়তে চাইলে মাইক্রোসফ্ট’র ওই ‘ফ্লাইট সিমুলেটর মোড’টি বেছে নিতে পারে।