২০১০ সালে দান্তেওয়াড়ায় মাওবাদীদের একটি নৃশংস হামলায় নিহত সিআরপিএফ জওয়ানদের সার দিয়ে শোয়ানো মৃতদেহের ছবি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার ছবি হিসাবে ।
টুইটার ও ফেসবুকে বেশ কয়েকটি পোস্ট এই দিনটিকে আগামী বছর থেকে ভ্যালেন্টাইন্স ডে হিসাবে উদযাপন না করে শহিদ দিবস রূপে পালন করার আহ্বান জানিয়েছে । পোস্টগুলিতে সঙ্গে দেওয়া হয়েছে সারিবদ্ধ রক্তাক্ত জওয়ানদের মৃতদেহের ছবি । সঙ্গে হিন্দিতে ক্যাপশন—“এখন থেকে প্রতি বছর ভ্যালেন্টাইন্স ডে নিপাত যাক । ২৬/১১-র মতোই ১৪/২-ও এবার থেকে শহিদ দিবস হিসাবে উদযাপিত হবে ।”
পোস্টের আর্কাইভ লিংকটি এখানে দেখুন।
বুম ছবিটির তল্লাশি করে দেখেছে, পুলওয়ামায় নিহত জওয়ানদের মৃতদেহের ছবি বলে যা চালানো হচ্ছে, তা আসলে ২০১০ সালে দান্তেওয়াড়ায় নকশালপন্থীদের আক্রমণে নিহত জওয়ানদের মৃতদেহের ছবি ।
মাওবাদীদের সবচেয়ে ভয়াবহ হামলাগুলির অন্যতম বলে গণ্য ২০১০ সালের ৬ এপ্রিল এই হামলায় ছত্তিসগড়ের দান্তেওয়াড়ায় চিলতারনার গ্রামে ৭৬ জন সিআরপিএফ জওয়ান নিহত হন । প্রায় ৩০০জনেরও বেশি নকশাল তালেমেথা জঙ্গলে সিআরপিএফ কনভয়ের উপর আচমকা হানা দিয়ে ৭৬ জন জওয়ানকে হত্যা করে । জওয়ানরা যখন একটি নকশাল-দমন অভিযান চালিয়ে ফিরে আসছিলেন, তখনই সহসা এই আক্রমণ ঘটে । এই হত্যাকাণ্ডের রিপোর্ট দেখুন এখানে এবং এখানে।
এই প্রথম যে হত্যাকাণ্ডের এই ছবিটি সম্পূর্ণ অন্য ঘটনার সূত্রে ব্যবহার করা হল, এমন নয় । এর আগে একটি আফগান ব্লগ এই একই ফোটোগ্রাফ ব্যবহার করে দাবি করেছিল, এটি আফগানিস্তানের জাওজান প্রদেশে নিহত সৈন্যদের ছবি ।
উরি-র হামলার পরেও এই একই ছবি ভুয়ো ব্যাখ্যা সহ সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার হয়েছিল ।
পুলওয়ামার হামলার পরে-পরেই পুরনো ও সম্পর্কহীন ঘটনার ভুয়ো ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভরে যায় । এদিনই সিআরপিএফের সরকারি টুইটার হ্যান্ডেলআবেদন জানায়, শহিদদের দেহাবশেষের ছবি দেখাতেএ ভাবে ভুয়ো ফোটোগ্রাফ বা ভিডিও ব্যবহার না করতে ।