২০১৬ সালে একজন সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী একটি ফেসবুক পোস্টে তিনটি ছবি শেয়ার করে দাবি করেছেন - এবিপি আনন্দের সাংবাদিক প্রকাশ সিংহের বাবা আরএসএস ও বিজেপির সঙ্গে যুক্ত।
তিনি আরও লিখেছেন, "বিজেপি দপ্তর থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রত্যেকটা বুথে গিয়ে তৃনমূল কর্মীদের ফাঁসানো তাদেরকে মারধর করা এবং রেগিং করে বিজেপির ভোট বারানো৷ এর জন্য ওকে প্রচুর টাকা দেওয়া হয়েছে৷ এর পিছনে মাস্টার মাইন্ড মুকুল রায়৷ তবে যতই চেষ্টা করুক বিজেপি হারছে হারবে।"
ছবিটিতে নীল জামা পরিহিত এক ব্যক্তি অন্য নীল জামা পরিহিত ব্যক্তির জামা ধরে টানা হেচড়া করছেন একজন ব্যাক্তি। পোস্টটি ৯৭ জন লাইক ও ৭২ জন শেয়ার করেছেন। পোস্টটি এখানে আর্কাইভ করা আছে।
তথ্য যাচাই
বুম ছবিগুলি ইয়েনডেক্স রিভার্স সার্চ করেছিল। এই ছবিগুলির সঙ্গে বিন্দুমাত্র রাজনৈতিক ঘটনার যোগ নেই।
বুম ওই একই ছবিগুলোর কোলাজ ভারতীয় গণমাধ্যমের উপর নজরদারীর অলাভজনক ওয়েবসাইট 'দ্য হুটের' একটি প্রতিবেদন খুজে পায়। ২০১৬ সালে ২৭ মে হুট ওই প্রতিবেদন প্রকাশিত করেছিল।
ছবিতে থাকা গোলাপি জামা পরিহিত ব্যক্তি সোমরাজ ব্যানার্জী সেসময় সাংবাদিক হিসাবে ইটিভি বাংলাতে কর্মরত ছিলেন। নীল টি-শার্ট পরিহিত ব্যক্তি প্রকাশ সিংহ যিনি তদানীন্তন এবিপি আনন্দ চ্যানেলের সাংবাদিক।
ঘটনার সূত্রপ্রাত ১৫ মে স্বাগতম হালদারের বাড়ির সামনে। ওই বছর স্বাগতম রাজ্য উচ্চমাধ্যমিক বোর্ডের পরীক্ষায় প্রথম স্থান দখল করে। বচসার সূত্রপাত কে প্রথম স্বাগতমকে সংশ্লিষ্ট চ্যনেলের স্টুডিওতে সাক্ষাৎকারের জন্য নিয়ে যাবে।
এতদিন পর ঘটনার পরম্পরা উদ্ধার করা বেশ কঠিন।
এক পক্ষের বয়ান অনুযায়ী, একসময় স্বাগতম প্রথমে এবিপি আনন্দের স্টুডিওতে যেতে চেয়ে প্রকাশ সিংহের গাড়িতে চেপে বসে। তখন ইটিভি বাংলার সাংবাদিক সোমরাজ ব্যানার্জী তাদের গাড়ির সামনে বসে পরে এবং বাধা দেবার চেষ্ঠা করে। তার পর তাদের মধ্য বচসা শুরু হয়। অন্য বয়ান অনুযায়ী প্রকাশ, সোমরাজের থেকে স্বাগতমকে আয়ত্তে নিলে দুজনের মধ্যে বচসা শুরু হয়। পরে ইটিভি বাংলার সোমরাজ ব্যানার্জী তাদের গাড়ির সামনে বসে যেতে বাধা দেয়।
এই ঘটনা নিয়ে এক ব্যক্তি ১৭ মে ২০১৬ করেছিলেন।
ট্যুইটি এখানে আর্কাইভ করা আছে।
কোচবিহারের শীতলকুচিতে এবছরের দ্বিতীয় দফার লোকসভা ভোটে সাংবাদিক প্রকাশ সিংহ তৃণমূলের বিরুদ্ধে ছাপ্পা ভোটের আভিযোগের খবর ক্যামেরাবন্দি করেন। প্রকাশ সিংহের বাবা আরএসএসের সঙ্গে যুক্ত কিনা বুম সে তথ্য যচায় করতে পারেনি।