কানাডার অটোয়ায় ২০১৫ সালে এক জেলের ভিতর বন্দিদের এক সন্দেহভাজন জঙ্গিকে নির্মমভাবে পেটানোর ছবি দিয়ে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে । সঙ্গে একটি ভুয়ো ব্যাখ্যা জুড়ে দিয়ে বলা হচ্ছে, প্রহৃত বন্দিটি চলতি মাসে নিউজিল্যান্ডের মসজিদে গণনিধনের দায়ে অভিযুক্ত বন্দুকবাজ ।
ভিডিওটি ভাইরাল হচ্ছে একটি আরবি ভাষার বিবরণী সহ, যাতে দাবি করা হচ্ছে, এই সেই ২৮ বছর বয়স্ক শ্বেতাঙ্গ বর্ণবিদ্বেষী ব্রেন্টন হ্যারিসন ট্যারান্ট, যে গত ১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে ঢুকে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ৫০ জন মুসলিমকে হত্যা করেছিল ।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, দুই ব্যক্তি এক সহবন্দিকে যথেচ্ছ ঘুষি ও লাথি মারছে, যখন কমলা রঙের জাম্পসুট পরা অন্যরা তাদের চারদিকে ঘিরে রেখেছে ।
ভিডিও ক্লিপটি হোয়াট্স্যাপে ভাইরাল হয়েছে আরবি বয়ান সহ, যাতে বলা হচ্ছে— অপরাধী নিউজিল্যান্ডবাসীকে স্বাগত জানাচ্ছে বন্দিরা ।
এখন ভিডিওটি সোশাল মিডিয়ার অন্যান্য মঞ্চেও ভাইরাল হচ্ছে ।
হুঁশিয়ারিঃ ভিডিওটিতে হিংস্রতা আছে—
তথ্য যাচাই
ভিডিওটি ৪ বছরেরও বেশি পুরনো—২০১৫ সালের ৩ মার্চের ঘটনার । কানাডার অটোয়া-কার্লটন জেলখানায় বন্দিদের এক সহবন্দিকে পেটানোর ছবি ।
এ ব্যাপারে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত খবরগুলো এখানে এবং এখানে পড়ে নিতে পারেন ।
অ্যান্ড্রু রাসেলের লেখা এমনই একটি রিপোর্টের শিরোনামঃ ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে অটোয়ার সন্দেহভাজন সন্ত্রাসবাদী কার্লস লার্মন্ডকে জেলবন্দিরা বেধড়ক পেটাচ্ছে ।
সংবাদ-রিপোর্ট অনুযায়ী সন্দেহভাজন জঙ্গি কার্লস লার্মন্ড এবং তাঁর যমজ ভাই অ্যাস্টন সহবন্দিদের ইসলামে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা করলে তারা দুজনকেই উত্তম-মধ্যম দেয় ।
ভিডিওতে যে দুজনকে লার্মন্ডকে আক্রমণ করতে দেখা যাচ্ছে, তাঁরা হলেন টেরেন্স উইলসন এবং মাইকেল ক্লার্ক ।
প্রহৃত ব্যক্তি কার্লস লার্মন্ড ২০১৫ সালের ৯ জানুয়ারি পিয়ের এলিয়ট ট্রুডো বিমানবন্দরে গ্রেফতার করা হন, যখন তিনি একটি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনে যোগ দিতে দেশ ছাড়ার উপক্রম করছিলেন, জানাচ্ছে অটোয়া সান সংবাদপত্র ।