লিবিয়ায় ইসলামিক জঙ্গিদের ভাঙচুর করা একটি কবরস্থানের বিচলিত করার মতো পুরনো ভিডিও ফেসবুকে দেওয়া হেয়েছে । সঙ্গে এক মিথ্যে বিবরণে বলা হয়েছে যে, মুসলিমরা সেটা ধ্বংস করেই চলেছে, “এমনকি নিউজিল্যান্ডে ক্রাইস্টচার্চে নিজেদের ধর্মেরই নিরীহ ব্যক্তিদের গণহত্যার পরও”।
৩.৪২ মিনিটের ওই ভিডিওটিতে দাবি করা হয়েছে যে, ইসলামের সমর্থকরা, যারা জিহাদ ঘোষণা করেছে, ওই নিরীহ ৫০ জনের মৃত্যুর পরেও কোনও শিক্ষাই নেয়নি তারা। ক্যাপশানে বলা হয়েছে: “৫০জন নিরপরাধের প্রাণ যাওয়ার পরও শিক্ষা হল না মুসলিমদের। পুনরায় জিহাদ ঘোষণা! হামলা চালাচ্ছে নিরিহ খ্রিস্টানদের উপর।”
ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছে জয় শ্রীরাম নামে ☆আমি হিন্দু আমি গর্বিত আমি হিন্দু ☆ বৃহত্তম হিন্দু গ্রুপ । ভিডিওটি ও পোস্টের স্ক্রিনশট নীচে দেখা যাবে। ভিডিওটির আর্কাইভ এখানে দেখুন।
সতর্কবাণী: হিংসা সম্পর্কে সাবধান
[video src="https://bangla.boomlive.in/wp-content/uploads/sites/3/2019/03/syria.mp4"]ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে লোকেরা “আল্লা হু আকবর” বলে চিৎকার করতে করতে কবরগুলিতে যথেচ্ছ লাথি মারছে। পরে তারা একটা ভারা বা মাচা ব্যবহার করেছে কবরের ক্রশকে ভাঙার জন্য।
তথ্য যাচাই
বুম ইউ টিউবে, মুসলিমদের দ্বারা ক্যাথলিক সেমেটারি ধ্বংস - এই কিওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করে। দেখা যায় ২০১২ তে দু’জন ব্যবহারকারী ওই ভিডিওটি আপলোড করেছিল। উইনো সুদনারেশিট, যে ৫ মার্চ, ২০১২ তে ভিডিওটি আপলোড করেছিল, তার ক্যাপশানে বলা হয়, “বেনঘাজি লিবিয়া…মার্চ ২০১২…এই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে র্যাডিকাল মুসলিমরা যুদ্ধে নিহত কয়েক ডজন ব্রিটিশ, অস্ট্রেলিয়ান ও ক্যানেডিয়ানের কবর ভাঙচুর করছে।"
আসল ভিডিওটি এখানে দেখুন।
আমরা লিবিয়ায় মুসলিমদের ধ্বংস করা যুদ্ধে নিহত ব্রিটিশ ও অস্ট্রেলিয়ানদের কবর সংক্রান্ত খবর সার্চ করি। তার ফলে দুটি খবর আমাদের নজরে আসে। যাতে বলা হয়, লিবিয়ার বেনঘাজিতে সাত বছর আগে ওই ঘটনা ঘটেছিল।
লিবিয়ায় যুদ্ধে নিহত ব্রিটিশদের কবরগুলি ভাঙচুর করা হয়েছিল।
গারডিয়ান’র রিপোর্টে বলা হয় যে, ভিডিওটি মিলিশিয়ার সদস্যরা নিজেরাই তোলে। কবরস্থানটি অবস্থিত ছিল লিবিয়ার উত্তরে বেনঘাজিতে। গার্ডিয়ানের কথা অনুযায়ী, ওই সেমেটারি বা কবরস্থানে ১০০’রও বেশি ব্রিটিশ ও কমনওয়েল্থ-এর সৈন্যবাহিনীর সদস্য শায়িত আছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে তাঁরা মন্টেগোমেরির এইট্থ আর্মির হয়ে লড়াই করে ছিলেন। পরে কবরস্থান ভাঙ্গচুরের নিন্দা করেন লিবিয়ার অফিসাররা ।