সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং সমাজকর্মী প্রশান্ত ভূষণ প্রায় ৮ বছর আগে তাঁর চেম্বারে নিগৃহীত হয়েছিলেন ২০১১ সালের ১২ অক্টোবর । পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার পর সেই ঘটনার ভিডিওটিকে জিইয়ে তোলা হয়েছে । ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি ভিডিওটি ভাইরাল করা হয় ।
পুলওয়ামায় সিআরপিএফ জওয়ানদের উপর জঙ্গি হামলার দু দিন পর ১৬ ফেব্রুয়ারি জনৈক রায়সাব ঋষি রায় ঋতিক-এর ফেসবুক পেজ থেকে ভিডিওটি ভাইরাল হয় ।পোস্টের আর্কাইভ বয়ানটি এখানে দেখতে পারেন ।
তথ্য যাচাই
“আক্রান্ত প্রশান্ত ভূষণ”—এই শব্দগুলি বসিয়ে ইন্টারনেটে খোঁজ লাগালেই ২০১১ সালের ঘটনাটির অসংখ্য পোস্ট পাওয়া যাবে ।
প্রশান্ত ভূষণ সম্প্রতি সংবাদের শিরোনামে আসেন তাঁর একটি টুইটের জন্য, যাতে তিনি একটি রিপোর্ট উদ্ধৃত করে লেখেনঃ “পুলওয়ামার আত্মঘাতী মানব-বোমারু আদিল আহমেদ দার সন্ত্রাসবাদী হয়েছিল সেনাবাহিনীর হাতে প্রহৃত হওয়ার পর” ।
২০১১ সালের ১২ অক্টোবর প্রশান্ত ভূষণ যখন সুপ্রিম কোর্টের ঠিক উল্টোদিকে তাঁর নিজের চেম্বারে বসে টাইমস নাউ সংবাদ চ্যানেলের সঙ্গে সাক্ষাত্কার দিচ্ছিলেন, তখনই তিন জন লোক তাঁর চেম্বারে ঢোকে ।
আক্রমণকারীদের একজন ধরা পড়লেও বাকি দুজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় । ধৃত হামলাকারী অন্য একজন হামলাকারীকে পরে শনাক্ত করে তেজিন্দর সিং বাগ্গা নামে । এই তেজিন্দর সিং বাগ্গা হলেন ভারতীয় জনতা পার্টির দিল্লি শাখার মুখপাত্র ।
নীচে ২০১১ সালের সেই হামলার ভিডিও দেওয়া হলঃ
ধৃত হামলাকারী পরে জানায়, তাদের হামলার কারণ ছিল প্রশান্ত ভূষণের একটি বিবৃতি, যাতে তিনি জম্মু-কাশ্মীর থেকে সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করে নেওয়ার এবং সেখানে গণভোট অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়েছিলেন ।
হামলাকারীরা নিজেদের শ্রীরাম সেনে এবং ভগত্ সিং ক্রান্তি দল-এর অনুগত বলে দাবি করেছিল ।
তবে ৮ বছরের পুরনো ওই ভিডিওটির সঙ্গে পুলওয়ামার সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার ঘটনার কোনও সম্পর্কই নেই এবং হামলার পরেই অন্য অনেক ক্লিপিংস-এর সঙ্গে এটিকে জিইয়ে তোলা হয়েছে ।