ফেসবুকে একটি শেয়ার করা ভিডিওতে মিথ্যে দাবি করা হয়েছে সেটি কাশ্মীরে মুক্তিসংগ্রামের জন্য মেয়েদের রাস্তায় নামার দৃশ্য।
৩ মিনিট ২০ সেকেন্ডের ওই ভিডিওটির শুরুতে বেশ কয়েকজন কালো বোরখা পরিহিত মহিলাকে রাস্তায় কালো পতাকা নিয়ে প্রতিবাদী স্লোগান দিতে শোনা যায়। তারা নিরাপত্তা রক্ষীদের দিকে তাক করে ঢিল ছুড়তে শুরু করলে নিরাপত্তা রক্ষীরা কাঁদানে গ্যাসের শেল নিয়ে প্রতিবাদী মহিলাদের দিকে ধেয়ে যায়। তারপর কন্দনরত মহিলাদের দেখা যায়। এক মহিরলার বাইট দিয়ে শেষ হয় ওই ভিডিওটি।
পোস্টটিতে ক্যাপশন লেখা হয়েছিল, ‘কাশ্মীর কে মুক্ত করতে এবার মাঠে নেমেছেন কাশ্মীরি নারীরা। হে আল্লাহ তুমি কাশ্মীর কে মুক্ত করে দাও।'
ভিডিওটি দেখা যাবে এখানে। পোস্টটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।
তথ্য যাচাই
ভিডিওটির শেষাংশে সংবাদমাধ্যম এপির লোগো দেখতে পাওয়া যায়। বুম ভিডিওটিকে ইনভিড-এ কি ফ্রেমে ভেঙে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে ইউটিউবে মূল ভিডিওটি খুঁজে পেয়েছে।
ভিডিওটি ২২ জুলাই, ২০১৫ সালে সংবাদমাধ্যাম এপি ইউটিউবে আপলোড করে। ভিডিওটির শিরোনাম লেখা হয়েছিল ‘‘কাশ্মীর: ওমেন টেক অ্যাকশন এগেইনস্ট থ্রেট অফ রেপ অ্যাকশন।’’
ভিডিওটির নীচে বর্ণনায় লেখা, ‘‘এটি হল শ্রীনগরে গত সপ্তায় মুসলিম মৌলবাদী মহিলা গোষ্ঠী ‘ডটার্স অফ ফেইত’ এর রাস্তায় নেমে ধর্ষনের অভিযোগে প্রতিবাদ বিক্ষোভের ছবি।’’
ভিডিওটিতে অবশ্য পাক অধিকৃত কাশ্মীর ও ভারতে কাশ্মীরের নারীদের অবস্থার কথা বলা হলেও বাইট দেওয়া দুই ব্যক্তিই পাকিস্তানের।
ভারতীয় কোনও আধিকারিক বা নাগরিকের সাক্ষাৎকারের কথা ইউটিউব বর্ণনাতে বলা নেই। প্রথমজন কাশ্মীরের উদ্বাস্তু ডাক্তার ড. সামিনা। দ্বিতীয় বক্তা সর্দার আব্দুল কাইয়ুম তিনি পাকিস্তান আজাদের মুখ্যমন্ত্রী।
এপির মূল ভিডিওটি ২ মিনিট ৪৬ সেকেন্ডের। ওই প্রতিবেদনের সব ভিডিও ফুটেজ ভারতের কাশ্মীরের নাকি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের তা বুমের পক্ষে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।