২০১২ সালে ‘নির্ভয়া’র গণধর্ষণের প্রতিবাদে নয়াদিল্লিতে বিক্ষোভরত অবস্থায় এক মহিলাকে লাঠিপেটা করতে উদ্যত পুলিশের ছবি জেএনইউ-র আন্দোলনকারী ছাত্রদের উপর পুলিশি তত্পরতার ছবি হিসেবে শেয়ার হচ্ছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, এক পুলিশ কনস্টেবল এক মহিলার উপর লাঠি নিয়ে চড়াও হচ্ছে, যখন পিছনেই অন্যান্য বিক্ষোভকারীদের সঙ্গেও পুলিশের সংঘাত চলছে। ভাইরাল হওয়া ছবিটিতে ব্যঙ্গ করে ক্যাপশন দেওয়া হয়েছে: “মহিলা: আমরা কোনও অংশে পুরুষদের চেয়ে কম যাই না। পুলিশ: বেশ তো, তাহলে দেখো এটা কেমন লাগে! আমি: এটা ধোনির ছক্কা, আর বল স্টেডিয়ামের বাইরে!”
ছবির ক্যাপশনটি জেএনইউ-র ছাত্রছাত্রীদের বিদ্রূপ করে লেখা, যারা হস্টেলের ফি-বৃদ্ধি আংশিকভাবে হ্রাস করার প্রতিবাদে মিছিল করে সংসদ ভবনের দিকে যাচ্ছিলেন, তাঁদের দাবি জানাতে। তখনই পুলিশ প্রবলভাবে তাঁদের উপর হামলা করে এবং তাতে বেশ কিছু ছাত্রছাত্রী আহতও হন।
নেটিজেনদের মধ্যে যারা ছাত্রদের এই আন্দোলন সমর্থন বা বিরোধিতা করছেন, উভয়েই ছবিটি শেয়ার করেন।
পাশাপাশি জেএনইউ-র ছাত্রদের উপর পুলিশি বর্বরতার ছবি হিসাবেও এটি শেয়ার হচ্ছে।
একই ছবি টুইটারেও ভাইরাল হয়েছে:
ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের যুব শাখার সরকারি টুইটার অ্যাকাউন্টও জেএনইউ ছাত্রদের উপর পুলিশি নৃশংসতার বিবরণী হিসাবেই ছবিটি টুইট করেছে।
আমরা ছবিটির খোঁজখবর নিয়ে দেখি, এটি ২০১২ সালের ছবি, যখন ২৩ বছরের এক প্যারামেডিক ছাত্রীর নৃশংস গণধর্ষণের প্রতিবাদে হাজার-হাজার বিক্ষোভকারী নয়াদিল্লির পথে নেমে এসেছিল এবং গোটা দেশ রীতিমত ধাক্কা খেয়েছিল।
সে সময় পুলিশ বিক্ষোভকারীদের উপর যে দমননীতি চালায়, সে জন্য তারা যথেষ্ট নিন্দিত, সমালোচিতও হয়।
ছবিটি তুলেছিলেন আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা রয়টার্সেরআদনান আবিদি।
ছবিটির ক্যাপশনে লেখা হয়েছিল: “২২ ডিসেম্বর, ২০১২ নয়াদিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনের কাছে এক প্রতিবাদী জমায়েতে পুলিশ এক বিক্ষোভকারীকে লাঠিচার্জ করতে উদ্যত। ভারতীয় পুলিশ রাষ্ট্রপতি ভবনের উদ্দেশে শনিবার মিছিল করে যাওয়া হাজার-হাজার বিক্ষোভকারীর বিরুদ্ধে লাঠিচার্জ, টিয়ার গ্যাস এবং জলকামানও ব্যবহার করে, যারা রাস্তায় নেমে এবং সোশাল মিডিয়া মারফতও এক তরুণীর গণধর্ষণের প্রতিবাদ জানাচ্ছিল।” রয়টার্স/আদনান আবিদি
রয়টার্সের ছবির আর্কাইভেও এই একই ছবি দেখতে পাওয়া যাবে।