গত রবিবার প্রেস ইনফর্মেশন ব্যুরো জানাল যে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির ভগ্ন স্বাস্থ্য নিয়ে যে সংবাদ প্রতিবেদনগুলি প্রকাশিত হয়েছে, তা ‘মিথ্যে এবং ভিত্তিহীন’।
কেন্দ্রীয় সরকারের মুখপাত্র সীতাংশু কর টুইটারে এই সংশোধনীটি প্রকাশ করেন।
তিনি লেখেন, “সংবাদমাধ্যমের একটি অংশে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী অরুণ জেটলির স্বাস্থ্য সংক্রান্ত যে প্রতিবেদনগুলি প্রকাশিত হয়েছে, সেগুলি মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। সংবাদমাধ্যমগুলিকে গুজব ছড়াতে বারণ করা হচ্ছে।”
ইকনমিকস টাইমস-এ প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে জেটলিকে এআইআইএমএস-এ ভর্তি করা হয়েছিল, যেখানে তাঁর বেশ কয়েক দফা পরীক্ষানিরীক্ষা এবং চিকিৎসা হয়। কোন রোগের জন্য জেটলি ভর্তি হয়েছিলেন, তা জানা যায়নি।
বৃহস্পতিবার তিনি ছাড়া পান বটে, কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে গোটা দেশে পার্টি দারুণ ফল করার পর দিল্লির সদর দফতরে যে বিজয় উৎসব হয়, জেটলি তাতে যোগ দেননি।
বিভিন্ন সংবাদ প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে গত কয়েক মাসে জেটলির স্বাস্থ্যের বেশ রকম অবনতি হয়েছে। পিআইবি-র টুইটার-বার্তাটি এই খবরগুলির প্রেক্ষিতেই। ২৪ মে তারিখে সংবাদসংস্থা রয়টার্স একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যার শিরোনাম ছিল, “এক্সক্লুসিভ: অরুণ জেটলি আনলাইকলি টু রিমেন ফাইন্যান্স মিনিস্টার ইন মোদীজ নিউ টার্ম— সোর্সেস।”
সংবাদটিতে দাবি করা হয়েছিল, “৬৬ বছর বয়সী জেটলি আরও এক বার এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির চালকের আসনে বসতে সম্মত হবেন না, সেই সম্ভাবনাই বেশি, কারণ গত কয়েক মাসে তাঁর স্বাস্থ্যের বেশ অবনতি হয়েছে।”
ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপে বেশ কিছু পোস্টে আরও এক ধাপ এগিয়ে মিথ্যে দাবি করা হয় যে জেটলি মারা গিয়েছেন।
“এইমাত্র খবর পেলাম যে অরুণ জেটলি আর নেই”, এই বার্তাটি ফেসবুকে বহু বার শেয়ার করা হয়েছে। পোস্টগুলিতে দাবি করা হয়েছে যে সরকারি ভাবে খবরটি আগামিকাল ঘোষণা করা হবে।
গুজব যখন ক্রমশ তীব্রতর হচ্ছে, তখন রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত অরুণ জেটলির সঙ্গে তাঁর একটি ছবি ট্যুইটারে পোস্ট করে জানান যে ২৬ মে বিকেলে তিনি জেটলির সঙ্গে দেখা করে তাঁর হাতে নিজের বইটি তুলে দিয়েছেন।
বিভিন্ন সংবাদ প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালে জেটলি দুটি বড় অসুস্থতা সামলেছেন— প্রথমটি রেনাল ফেলিওর, এবং দ্বিতীয়টি পায়ের কানেকটিভ টিস্যুতে এক বিরল ধরনের ক্যানসার। ২০১৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি তারিখে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত একটি সংবাদে লেখা হয়, “গত বছর জেটলি দুটি বড় ধরনের অসুস্থতার মুখে পড়েছিলেন। রেনাল ফেলিওরের পর তিনি কিডনি প্রতিস্থাপন করান, এবং তার কয়েক মাসের মধ্যেই কানেকটিভ টিস্যুতে সারকোমা ধরা পড়ে, যা একটি বিরল গোত্রের ক্যনসার।”