এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাঙ্গনে ১৬ টি কুকুর ছানার হত্যা নিয়ে তোলপাড় হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া ও রাজ্য। মৌন মিছিল থেকে শীঘ্র গ্রেফতারের দাবি – নেটিজেনদের প্রভাবে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। কিন্তু ইতিমধ্যে ফেসবুকে কিছু ভাইরাল পোস্ট দাবি করে যে অভিযুক্ত দের চিহ্নিত করতে তারা সক্ষম হয়েছে। চরম ভাবে শেয়ার করা এই পোস্টগুলির দাবি যে আখেরে পাওয়া গেছে সেই নির্মম দুই মহিলাকে যারা নাকি হত্যা করেছেন ১৬ টি নিরীহ কুকুর ছানাকে।
পোস্টে এক মহিলার ছবি ব্যাবহার করা হয় এবং তাতে লেখা – চিনে রাখুন। এই সেই দুই এনআরএসের স্টাফ নার্স, নাম দীপা মণ্ডল ও ঝর্ণা পুরকাইত। যারা কিনা ১৬ টি কুকুর ছানা কে নির্দয় ভাবে রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। নারী বলে কোন ভাবেই এদের ক্ষমা নয়।
পোস্টের আর্কাইভ লিঙ্ক এখানে দেখুন।
কয়েকটি পোস্ট দাবি করে যে ঝর্ণাকে 'ট্র্যাক ডাউন' করা হয়েছে। পোস্টগুলি একটি প্ররোচনা মূলক পাঠ্য দিয়ে প্রচারিত হয়।
তথ্য যাচাই
ঝর্ণা পুরকাইত অভিযুক্ত নন। কলকাতা পুলিশ অভিযুক্তদের উভয়কে নার্সিং শিক্ষার্থী মৌটুসি মন্ডল এবং সোমা বর্মণ হিসাবে চিহ্নিত করেছে। নীচের ছবিটি যা ঝর্ণার আসামী হিসাবে শেয়ার করা হচ্ছে।
বূম ঝর্ণা পুরকাইতের স্বামী আব্দুর পুরকাইতের সাথে যোগাযোগ করে, যিনি ঘটনাটি নিশ্চিত করেন এবং বলেন, "আমরা মগরাহাটে থাকি । আমার স্ত্রীর ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে এবং প্রচুর লোক অভিযোগ করেছে যে সে এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের কুকুরদের হত্যার সাথে জড়িত। সোশ্যাল মিডিয়াতে খবরগুলি সম্পূর্ণ ভাবে মিথ্যা। আমরা অকারণে শিকার হচ্ছি। "
আব্দুর পুরকাইতের মতে, ঝর্ণা মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে নার্সিং নিয়ে পড়াশোনা করেছেন এবং বর্তমানে ডায়মন্ড হারবার স্টেট রান হাসপাতালে নার্স হিসেবে কাজ করছেন। ঝর্ণা এবং তাঁর পরিবার হুমকিও পেয়েছে এবং স্থানীয় থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে তাঁদের নামে। "এই কারণে আমার স্ত্রী অনেক কষ্ট পাচ্ছেন," আব্দুর বলেন।
এন্টালি থানার একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, "মগরাহাট থানার একটি অভিযোগ পেয়েছি আমরা - একজন মহিলাকে কুকুর ছানা হত্যা করার মিথ্যা অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এনআরএসের মামলা তদন্তের পাশাপাশি আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি "।
রবিবার একজন ডেন্টাল কলেজ ছাত্র কলেজের উপর থেকে এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাঙ্গনে দুজন নারীকে নিখুঁত ভাবে কুকুর ছানাদের হত্যা করার সময় শুট করে। যেটি নিমেষের মধ্যে ভাইরাল। ভিডিও টি অত্যন্ত নির্মম। এখানে দেখুন।