একটি ভিডিও ইদানিং সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে একজন পাকিস্তানি পুলিশ একটি মোটরবাইক থেকে আগ্নেয়াস্ত্র বার করছে। এই ভিডিওটি জম্মু ও কাশ্মীরের বলে মিথ্যে দাবি করে শেয়ার করা হয়েছে।
৪ মিনিট ২০ সেকেন্ড লম্বা ভিডিওতে এক পুলিশ আধিকারিককে একটি মোটরবাইক থেকেপ্রচুর গুলির ম্যাগাজিন এবং একজোড়া পিস্তল বার করতে দেখা যাচ্ছে। জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশ একটি বাইক থেকে অস্ত্র উদ্ধার করেছে বলে দাবি করে এই ভিডিওটিছড়িয়ে পড়েছে।
ভিডিওটির সঙ্গে ক্যাপশন ছিল, “লোকে বলে, মানুষকে হয়রান করার জন্য পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে গাড়ি থামায়। কিন্তু এখন কি বলবেন? জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশের করা একটি তদন্ত।”
হিন্দিতে লেখা হয়েছিল:“लोगकहतेहैकीपुलिसपरेशानकरनेकेलिएजानबूझकरगाड़ीरोकतीहै।अबइसकोक्याकहेंगीजनता।पुलिसद्वाराजम्मूकश्मीरमेंएककार्यवाही।”
ভিডিওটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।
ভারত সরকার এবছর অগস্ট মাসে জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ও ৩৫এ ধারা রদ করে, ফলে এই রাজ্যের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার চলে যায়।
ভিডিওটি একই লেখার সঙ্গে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ভাইরাল হয়েছে।
তথ্য যাচাই
বুম নিশ্চিত ভাবে বলতে পারে যে ভিডিওটি ভারতের নয়, কারণ কালো শার্ট ও খাকি প্যান্ট পাকিস্তানের কিছু অঞ্চলের পুলিশের উর্দি।
আমরা ভিডিওটিকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ অংশে ভাগ করে নিয়ে কিছু উপযোগী কিওয়ার্ডস দিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ করি। তখন আমরা দেখতে পাই যে এ মাসের শুরুতে এই একই ভিডিও ইউটিউবে আপলোড করা হয়েছিল, সঙ্গে ক্যাপশন ছিল, “ব্রেকিং নিউজ! কেপিকে পুলিশ চোরাচালানকারীদের গ্রেফতার করেছে বাইক ও অস্ত্রসমেত।” ঘটনাটি কোহাটের কেপিকে অঞ্চলের (খাইবার পাখতুনখাওয়া) বলে জানা গেছে। যা বুমলাইভ খন্ডন করার পর ডিলিট করে দেওয়া হয়েছে।
উর্দুতে কিওয়ার্ড সার্চ করে আমরা কোহাট পোস্ট নামের ফেসবুক পেজে একই ভিডিও দেখতে পাই।
কোহাট জেলা পুলিশের ফেসবুক পেজেও এই ভিডিওটি আপলোড করা হয়। সেখানে লেখা হয় যে একটি মোটরবাইক এই অঞ্চলের চেকপোস্টে ধরা হয় এবং পুলিশ অস্ত্র চোরাচালান আটকে দেয়। ওই পোস্টে বলা হয়, “যে সব অস্ত্র আটক করা হয়েছে,তারমধ্যে ছিল ১টি রিপিটার, ১টি রাইফেল, ৪টি পিস্তল, ৬টি চার্জার এবং ১৬০০টি কারট্রিজ।”