বিচলিত করার মতো একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে এক দল লোক এক মহিলাকে বাড়ি থেকে টেনে বার করে, তাঁকে রাস্তায় নৃশংস ভাবে মারছে। ঘটনাটি ঘটে পাঞ্জাবে। ওই ঘটনায় দুই অভিযুক্ত হলেন এক কংগ্রেস কাউনসিলারের ভাই। অথচ ওই অত্যাচারের ভিডিওটির সঙ্গে বিজেপির নাম জুড়ে দেওয়া হচ্ছে।
ভিডিওটি ‘মোদীর জমানায়’ বা ‘অচ্ছে দিনের এক ঝলক’ এই ধরনের ক্যাপশন সহ শেয়ার করা হচ্ছে, যাতে মনে হয় ঘটনাটির সঙ্গে বিজেপি জড়িত।
(হিন্দিতে লেখা: मोदी तेरे राज मे and अच्छे दिन का एक झलक. यहां दबंगो ने एक औरत को घर से घसीट कर निकाल कर सड़क पे गिर-गिरा कर मारा. बच्चें रोते बिलखते रह गए. क़ानून का पूरा देश में मज़ाक़ बन रहा है।)
ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে চারজন লোক এক মহিলাকে বাড়ি থেকে টেনে বার করে তাঁকে ঘুষি, লাথি মারছে।
অন্য এক মহিলা আক্রান্তকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে, তাঁকে ঠেলে সরিয়ে দেওয়া হয়। তিন মিনিট ধরে মারধোর চলে। তারপর হস্তক্ষেপ করেন রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা মানুষজন। ভিডিওটি তোলে আক্রান্ত মহিলার ছেলে।
ভিডিওটি দেখা যাবে এখানে। পোস্টটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।
তথ্য-যাচাই
রিভার্স ইমেজ সার্চ করে বুম দেখে যে, ঘটনাটি পাঞ্জাবে ঘটেছিল। এবং তার বিস্তারিত রিপোর্ট ছাপা হয়েছিল সংবাদ মাধ্যমে।
প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার (১৪ জুন, ২০১৯) পাঞ্জাবের শ্রী মুক্তসার সাহিব জেলার বুদ্ধ গুজ্জার অঞ্চলে।আক্রমণকারী সানি চৌধরি ও সুরেশ চৌধরি মুক্তসার পুরসভার ২৯ নং ওয়ার্ডের কাউনসিলার রাকেশ চৌধরির ভাই।
খবরে প্রকাশ, অভিযুক্তদের একজনের স্ত্রীর সঙ্গে আক্রান্ত মহিলার টাকাপয়সা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। বলা হচ্ছে, অভিযুক্তদের একজনের কাছে ২৩,০০০ টাকা ধার ছিল ওই মহিলার।
ঘটনাটি সম্পর্কে আরও জানতে এখানে ও এখানে ক্লিক করুন।
এরই মধ্যে, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দার সিং টুইট করে জানান যে, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পরে, পাঞ্জাব পুলিশের তরফে তাঁদের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডল থেকে টুইট করে বলা হয় যে, কাউনসিলার রাকেশ চৌধরি এবং আরও ৬ জনকে ওই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।