সোস্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও সহ পোস্ট ভাইরাল হয়েছে। ওই ফেসবুক পোস্টগুলিতে দাবি করা হয়েছে ভিডিওটি কাকলি ঘোষ দস্তিদারের।
পোস্টটিতে ক্যাপশন করা হয়েছে, “কাকলি ঘোষ দস্তিদার রোহিঙ্গা মুসলিমদের সমর্থন করছেন। পুলিশ তাকে খোলাখুলি সমর্থন করছেন। তিনি বলছেন, রাম নাম, হরিনাম উচ্চারন করতে দেবেননা। সাংবাদিককে ভয় দেখানো হচ্ছে তার লাইসেন্স বাতিলের। কোথায় যচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ। লজ্জা আমাদের উপর।”
ওই ভিডিওটির বিষয়বস্তুতে কার্যত পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক পরিস্থতি নিয়ে ব্যাঙ্গ করা হয়েছে।
ভিডিওটিতে নীল পাড় সাদা শাড়ি পরিহিত মহিলা বলেন, “তার জন্য কেন্দ্রকে হস্তক্ষেপ করতে দেবোনা।” সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, “আপনি যো এদের এখানে থাকতে দোব বলছেন, তাহলে পশ্চিমবঙ্গবাসীর কী হবে?” মহিলা জবাব দেন, “পশ্চিমবঙ্গের লোকেরা পশ্চিমবঙ্গের মত থাকবে, এদের লোকেরা এদের মত থাকবে। আপনি এসব প্রশ্ন করার সাহস পান কী করে।”
সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, “যদি জঙ্গী অনুপ্রবেশ ঘটে পশ্চিমবঙ্গবাসীর সুরক্ষার কী হবে।” মহিলা জবাব দেন, “সে ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গবাসীর কী হবে সেটা আমি বুঝে নোব। এই এর লাইসেন্স ক্যানসিল করো তো।”
এরকম একটি পোস্ট আর্কাইভ করা আছে এখানে এবং এখানে।
তথ্য যাচাই
বস্তুত এটি একটি পথনাটিকা যেখানে কটাক্ষ করে ওই মহিলা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করছিলেন। বুম ইউটিউবে কিওয়ার্ড সার্চ করে অনুরূপ একটি ভিডিও খুজে পেয়েছে। ওই ভিডিওটি ৬ মে ২০১৮ শ্রী রথিন সনাতন নামে একজন আপলেড করেন।
এটি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে তৈরি পথনাটিকা। ২:৪০ সময়ে ভিডিওটিতে সাংবাদিকরূপী ব্যক্তিকে দর্শকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য পেশ করতে দেখ যায়। তিনি সেখানে বলেন “আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী বলে গেলেন..।” বস্তুত পথনাটিকায় ওই মহিলা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করছিলেন।
পুলিসকে অতিনাটকীয় ব্যবহার করতে দেখা যায়। মাঝপথে এক মুসলিম মহিলা উঠে দাড়ায়। সবাই তাকে বসতে বলে। দেহরক্ষীর ভূমিকা পালন করা ব্যক্তির অতিনাটকীয় ব্যবহার। ভিডিওটিতে অভিনয় আচমকা শেষ হয়।
ভিডিওটিতে কথা বলা মহিলার সঙ্গে বারাসাত লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদারের মুখের কোনও মিল নেই।
বিজেপিফরবেঙ্গল ইউটিউব চ্যানেল পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিলিট উপাধি পাওয়া নিয়ে আর একটি নাটিকা উপস্থাপন করেছিল। যা এখানে দেখা যাবে। বুম উভয় ভিডিওটির অভিনেত্রী একই ব্যক্তি কিনা শনাক্ত করতে পারেনি।