বেঙ্গল হিন্দু কমুনিটি ফেসবুক পেজের একটি পোস্ট গত সপ্তাহে ভাইরাল হয়। পোস্টটি অভিযোগ করে যে পশ্চিমবঙ্গ এবার ‘মিনি পাকিস্তানে’ পরিবর্তিত হচ্ছে – তার কারণ মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। পোস্টের সঙ্গে একটি ছবি ব্যাবহার করা হয় – ছবিটি হল নদীয়া জেলার অন্তর্গত মদনপুরের। সেখানের পার্টি অফিসের একটি অংশ দেখান হয়। উৎসবের মর্শুমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের শুভেচ্ছা বার্তাকে কটাক্ষ করে লেখা হয় – ‘পাকিস্তানের পথে কি উন্নয়ন চলছে। মদনপুর রেল স্টেশনের তৃণমূলের কার্যালয়। এ কিসের ইঙ্গিত। উৎসবের শুভেচ্ছা বার্তায় শুধু দুর্গা পূজা এবং কালী পুজা উল্লেখ করা হয়নি, পবিত্র ঈদেরও শুভেচ্ছা পাঠিয়েছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। অথচ ছবিতে শুধু ঈদের পবিত্র ‘ক্রিসেন্ট’ এবং তারা হাইলাইট করা হয় একটি গোলাকার দিয়ে। পোস্টটি ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে – ২২ কমেন্ট এবং ৬২৯ বার শেয়ার করা হয়েছে। এক ঝলক দেখতে এখানে
ক্লিক করুন -
Full View যদিও একটি সাম্প্রদায়িক প্যাঁচ দেওয়া হয়েছে পোস্টটাকে এটি সম্পূর্ণ ভাবে সত্য এবং পরিস্কার যে শুভেচ্ছা শুধু মাত্র ঈদ এর নয় বাকি দুটি বাঙ্গালির প্রধান উৎসবেরও যেটি অক্টোবর এর মাঝামাঝি পালন করা হয়েছে এই বছর। প্ল্যাকার্ডে দুর্গা এবং কালী ঠাকুরেরও ছবি আছে, ইসলাম ধর্মের পতাকার সঙ্গে। BOOM রূপেশ কুমার, নদিয়ার এসপির সাথে যোগাযোগ করেন। তিনি বলেন, “আমরা এই পোস্টের ব্যাপারে খবর পেয়েছি। দীপাবলির পর কিছু বিজেপি কর্মীরা মদনপুর রেলওয়ে স্টেশনের কাছে টিএমসি পার্টির অফিসে হামলা চালায়। তারা টিএমসি ফ্লেক্স এবং পোস্টার ধ্বংস করার চেষ্টা করে। এ ব্যাপারে টিএমসির কর্মী ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে বচসা বাঁধে। তিনজন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। আমরা এটাও জেনেছি যে যারা বচসায় জড়িত এবং আটক রয়েছে তারা সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টির জন্য কিছু সাইটে ছবি আপলোড করেছেন।“ মদনপুর থানার সুত্রে জানা যায় যে আটক অভিজুক্তদের মধ্যে আছে কালুয়া মৈত্র, একজন বিজেপি কর্মী, দিনু লাল পাত্র এবং ভিম লাল কান্ত। পরে তাদের জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়। কুমারের মতে, তারা নিয়মিত সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলিতে একটি ট্যাব রেখেছেন কারণ তারা দেখেছেন যে অনেক বিজেপি কর্মী ফেসবুক পেজ খুলছে এবং এ অঞ্চলে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টির জন্য মিথ্যা সংবাদ ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।