এক ব্যক্তিকে নির্মম ভাবে বেল্ট দিয়ে মারার একটি ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি রাজস্থানের নাগৌর জেলার।
বুম অনুসন্ধান করে নিশ্চিত হয়েছে যে, চার জন জাঠ ও এক দলিত মিলে অন্য এক দলিত ব্যক্তিকে চোর সন্দেহে শারীরিক ভাবে নিগ্রহ করে। ঘটনাটি ২০১৯ সালের ৩ নভেম্বর বিকেলের।
নওয়া থানার স্টেশন হাউস অফিসার (এসএইচও) সতীশ মীনা বুমকে জানিয়েছেন যে নিগৃহীত ব্যক্তি স্থানীয় মানুষ। নিগ্রহকারীদের তফশিলি জাতি ও জনজাতি (হিংসাবিরোধী) আইন এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে। এসএইচও জানান যে নিগৃহীত ব্যক্তিকে চোর সন্দেহে মারধর করা হয়।
মিনা বলেন, “সব পদক্ষেপ করা হয়েছে হয়েছে। তফশিলি জাতি ও জনজাতি (হিংসাবিরোধী) আইন ও ভারতীয় দণ্ডবিধির সংশ্লিষ্ট ধারায় গ্রেফতারও করা হয়েছে”।
বুমের হাতে এই ঘটনার এফআইআর রিপোর্টের কপি এসেছে, যাতে দেখা যাচ্ছে যে নিগৃহীত ব্যক্তির নাম সুখরাম মেঘওয়াল। তিনি মেঘওয়াল সম্প্রদায়ের মানুষ।
চার জন অভিযুক্ত মুকেশ জাঠ, রামলাল, রাজকুমার এবং রুধারাম জাঠ সম্প্রদায়ের। পঞ্চম অভিযুক্ত গোপীরাম তফশিলি জাতির লোক। ক্লিপটিতে এক জনকেই মারধর করতে দেখা যায় আর বাকিরা সেখানে চুপচাপ দাঁড়িয়ে দেখছিল।
যে টুইটটিতে এই ভিডিওটি শেয়ার করা হয়েছিল, তার একটি রিপ্লাইয়ের সূত্র ধরেই বুম ভিডিওটি খুঁজে পায়।
বুম উপরের চিঠিতে উল্লেখিত সংস্থা ডক্টর অম্বেডকর স্টুডেন্ট ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া-র (ডিএফএসআই) সর্বভারতীয় সভাপতি রবি কুমার মেঘওয়ালের সঙ্গে যোগাযোগ করে।
রবি কুমার মেঘাওয়াল বলেন যে পুলিশ গ্রেফতার করতে অনেক দেরি করেছে। তাও ওই সম্প্রদায়ের লোকেরা প্রতিবাদ করায় এবং মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে চিঠি লেখার পর পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে। তিনি আরও বলেন যে সংস্থার পক্ষ থেকে পুলিশের বিরুদ্ধে যোধপুর হাইকোর্টে অভিযোগ করার কথা ভাবা হচ্ছে।
বুম নিজে এই দাবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।
মেঘাওয়াল নিগৃহীতের জবানবন্দির একটি তারিখহীন ভিডিও আমাদের পাঠিয়েছেন। এই ভিডিওতে সুখরাম মেঘওয়াল অভিযোগ করেছেন যে যখন তিনি তার হারানো গরু খুঁজতে যান তখন তিন জন লোক তাকে মারধর করে। ওরা তার নামে চুরির অভিযোগ আনে। তিনি আরও অভিযোগ করেন যে অভিযুক্তরা তার মানিব্যাগ এবং লকেট চুরি করে নেয়।