ভাইরাল হওয়া ভিডিও দেখে এক মহিলার নির্মমভাবে একটি বাচ্চাকে মারার ঘটনাটির অকুস্থল কাঠুয়া বলে শনাক্ত করা হয়েছে। মহিলাকে চিহ্নিত করার জন্যই নেটিজেনরা ভিডিওটি ভাইরাল করে দেন।
বুম দেখেছে, ঘটনাটি কাঠুয়ার নাগরি এলাকার, যেখানে বাচ্চাকে প্রহার করার ছবিটি মহিলার অজান্তেই লুকিয়ে রেকর্ড করা হয়। বাথরুমের জানলা থেকে তোলা ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, ৫ বছরের একটি বাচ্চা মেয়েকে ওই মহিলা তার চুলের মুঠি ধরে বেধড়ক পেটাচ্ছে আর সে তারস্বরে সাহায্যের জন্য চিৎকার করছে। শোনা যাচ্ছে, বাচ্চাটা চিৎকার করে বলছে, বাবা আমাকে বাঁচাও, কিন্তু মহিলা তবু তাকে যথেচ্ছে চড়-ঘুষি মেরেই চলেছে। ভিডিওটির মাঝামাঝি বাথরুমের কলে জল পড়ার শব্দটা বন্ধ হয়ে যায়।
বুম ভিডিওটি প্রতিবেদনের অন্তর্ভুক্ত না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যেহেতু এটির দৃশ্য অস্বস্তিকর।
তারেক ফাতাহ সহ বেশ কয়েকজন টুইটার ব্যবহারকারী ভুলবশত এটিকে পাকিস্তানের ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
আসলে ভিডিওটিকে শনাক্ত করা হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়ার একটি ঘটনা হিসাবে, যেখানে মহিলাটির স্বামী লুকিয়ে তার স্ত্রীর হাতে কন্যার নির্যাতনের ছবিটি তোলেন।
আমরা কাঠুয়ার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করলে জানতে পারি যে, ঘটনাটি কাঠুয়ারই এবং বাচ্চাটির মা ও বাবা উভয়কেই গ্রেফতার করা হয়েছে l
কাঠুয়া থানার অফিসার মঙ্গল সিং জানালেন, “বাচ্চাটির বাবা কিছু কাল আগে সেনাবাহিনী থেকে অবসর নিয়েছে। তিনি বাথরুমের ভিতর থেকে ভিডিওটি তোলেন। আসলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোনও বিষয়ে ঝগড়া হয়েছিল, স্ত্রী তার রাগটা গিয়ে ঝাড়ে ৫ বছরের মেয়ের উপর।”
শিশু কল্যাণ কমিটি দুজনের বিরুদ্ধেই মামলা দায়ের করেছে বলে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে।
এর আগে অল্টনিউজ-ও এই ভিডিওটি খণ্ডন করেছে।