Modi.site ওয়েবসাইটএ একটি প্রতিবেদন নিছক ভুয়ো। প্রতিবেদনটি দাবি করে যে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ পশ্চিমবঙ্গে ১০ সমাবেশ করবে, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে। প্রতিবেদনটি উল্লেখ করে যে ‘হিন্দুত্বের অ্যাম্বাসাডার’ যোগী আদিত্যনাথ ৭টি সমাবেশ দক্ষিণ বঙ্গে আয়োজন করবে এবং বাকি তিনটি কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও উত্তর দিনাজপুরে হওয়ার কথা আছে।
প্রতিবেদনটি এখানে পড়ুন এবং আর্কাইভ লিঙ্ক এখানে পড়ুন।
বুম প্রতিবেদনের সত্য যাচাই করতে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলিপ ঘোষের সাথে যোগাযোগ করেন। তিনি খবরটি সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা বলে দাবি করেন। “পূর্বে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে যোগী আদিত্যনাথ মালদার সমাবেশে নেতৃত্ব দেবেন অমিত শাহের পরিবর্তে। কারণ তিনি স্বাইন ফ্লউতে ভুগছিলেন। তবে পরে শাহ নিশ্চিত করেন যে তিনি ২২ জানুয়ারির মালদা সমাবেশে অংশ গ্রহণ করবেন। অমিত শাহ এখন এআইএমএসে ভর্তি । এরপর ২৩ জানুয়ারি শাহ আরেকটি সমাবেশ করবেন বীরভূমের সিউড়ি এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের ঝারগ্রামে। যোগীর সমাবেশ আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। আমরা তাঁকে অনুরোধ করেছি ৮ ফেব্রুয়ারী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উত্তর ২৪ পরগনার সমাবেশে উপস্থিত থাকতে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তিনি এ ব্যাপারে কোন নিশ্চয়তা দেননি।"
পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি একটি রথযাত্রা শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়। যদিও পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাদের গণতন্ত্র বাঁচাও আন্দোলনের নামে রথযাত্রা আয়োজন করার অনুমতি দেয়নি। তখন রাজ্য বিজেপি হাই কোর্টে এবং তারপর সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে। শেষমেষ সুপ্রিম কোর্টও তাদেরকে রথযাত্রার অনুমতি দিতে নারাজ হয়। সুপ্রিম কোর্ট ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি ) কে তিনটি রথযাত্রা থেকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়।
এটি বিজেপির কাছে একটি চরম ধাক্কা। কারণ রাজ্যে নিজেদের খুঁটি শক্ত করতে এটি একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারত। এই সিদ্ধান্তের পর রাজ্য বিজেপি বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন সমাবেশ সংগঠিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ৮ ফেব্রুয়ারি উত্তর ২৪ পরগনায় একটি সমাবেশে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।