মালদহে নমাজের সময় পুজো মন্ডপের মাইক বন্ধের পুরনো চিঠি ভাইরাল
বুম দেখে ২০১৮ সালে মসজিদে জানালা না থাকায় ওই আবেদন রাখা হয়, এবছর লাউডস্পিকার বন্ধের কোনও আবেদন করেনি মসজিদ কর্তৃপক্ষ।
মালদহের গঙ্গাপ্রসাদের আমলিতলায় নামাজের সময় দুর্গা পুজোর মাইক বন্ধ রাখার জন্য থানায় অবেদনের ২০১৮ সালের পুরনো খবর সাম্প্রদায়িক রঙ সহ জিইয়ে তোলা হচ্ছে। কাছাকাছি পুজো মন্ডপ ও মসজিদে জানলা না থাকায় ওই সময় আমলিতলা জামে মসজিদ কর্তৃপক্ষের তরফে মোথাবাড়ি থানায় একটি দরখাস্ত করা হয়েছিল।
বুম মোথাবাড়ি থানার সঙ্গে শুক্রবার দুপুরে যোগাযোগ করলে জানানো হয়, "ওই সময় মসজিদ তৈরি করা হচ্ছিল। এবছর ওই মসজিদ কমিটি এই ধরণের কোনও আবেদেন রাখেনি। এলাকায় কোনও ধর্মীয় উত্তেজনা নেই।"
ভাইরাল হওয়া পোস্টের ছবিটিতে দেখা যায় গ্রামবাসীদের তরফে আমলিতলা জামে মসজিদ পরিচালনের সম্পাদক মহম্মদ আশরাউল হক ১৪ অক্টোবর ২০১৮ মোথাবাড়ি থানার ওসিকে ওই চিঠি দেন। চিঠিতে দুর্গা পুজোর দিনগুলিতে নির্দিষ্ট সময়ে পাঁচবার মাইক বন্ধ রাখার আবেদন করা হয়। রাস্তার একপাশে মসজিদ ও অন্যপাশে দুর্গাপুজো মন্ডপ থাকার কথা বলা হয়েছে ওই চিঠিতে।
তৃণমূলের সোশাল মিডিয়া সেলের প্রাক্তন যুগ্ম আহ্বায়ক সূপর্ণ মৈত্র এই চিঠিটির ছবি টুইটারে পোস্ট করে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ, রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তর ও কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মাকে ট্যাগ করে লিখেছেন,"এরকম একটি চিঠি ফেসবুকে শেয়ার হতে দেখলাম, অনুরোধ করছি দয়া করে এই চিঠিটির সত্যতা যাচাই করুন।" সূপর্ণ মৈত্র ওই টুইটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়, কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী ও বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীকেও ট্যাগ করেছেন।
তথ্য যাচাই
বুম মোথাবাড়ি থানার সঙ্গে যোগাযোগ করলে এক পুলিশ আধিকারিক আমাদের জানান, "ওই সময় মসজিদ তৈরি করা হচ্ছিল। এবছর ওই মসজিদ কমিটি এই ধরণের কোনও আবেদেন রাখেনি। এলাকায় কোনও ধর্মীয় উত্তেজনা নেই।"
সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতেই মুর্শিদাবাদে শর্ট-সার্কিটে কালীমূর্তি পোড়ার ঘটনা সাম্প্রদায়িক দাবি সহ সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল করা হয়েছিল, বুম সে খবরটিও খণ্ডন করে।