এই বোরখা পরা মহিলার ছবিটির সঙ্গে শাহিন বাগের প্রতিবাদের কোনও যোগ নেই
বুম যাচাই করে দেখেছে মূল ছবিটি লন্ডনের। ২০১৯ সালের অগস্টে দুই মহিলা সুপার মার্কেট থেকে ছদ্মবেশে চুরি করার সময় হাতে নাতে ধরা পড়ে।
সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ফেসবুক পোস্টে দাবি করা হচ্ছে শাহিন বাগে চলতে থাকা এনআরসি ও সংশেধিত নাগরিকত্ব বিল বিরোধী আন্দোলনে নগ্নতার আশ্রয় নেওয়া হচ্ছে। এই প্রতিবাদীদের মিথ্যে জেএনইউ ছাত্রীদের সঙ্গে তুলনা টেনে বলা হচ্ছে প্রতিবাদীরা নাকি অশ্লীলতার পথে হাঁটছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় বা জেএনইউ-এ বেতন বৃদ্ধি নিয়ে চলা গতমাসের আন্দোলনে মুখোশধারী গুন্ডারা ক্যাম্পাসের ভিতরে ঢুকে হামলা চালায়। তার পর পরই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের এই আন্দোলনকে কালিমালিপ্ত করতে ভুয়ো অশ্লীল ছবি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল করা হয়। বুম সেসময় ছবিগুলিকে খণ্ডন করে। দেখা যায় সেই ছবিগুলির সঙ্গে জেএনইউ ছাত্রীদের কোনও সম্পর্ক নেই।
আরও পড়ুন: # বন্ধ_করো_জেএনইউ #শাট_জেএনইউ: ফেসবুকে এই গ্রুপ ভুয়ো তথ্য ও নারীবিদ্বেষ ছড়াচ্ছে
আরও পড়ুন: জেএনইউ তাণ্ডব: সম্পর্কহীন যৌন খেলনা ও কনডমের ছবি ভাইরাল করা হচ্ছে
পোস্টটিতে লেখা হয়েছে, ''#শাহীনবাগ এখন JNU এর পথ #অনুসরন শুরু করলো। এটা কোন ধরনের #প্রতিবাদ বুঝতে পারছি না। সংগৃহীত পোষ্ট''
এই ভুয়ো পোস্টের ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে বোরখা পরিহিত এক মহিলা তার শালিনতা খর্ব করে পোশাক অনাবৃত করছেন। বুম পাঠকের কথা ভেবে পোস্টের ছবির আপত্তিকর অংশ সম্পাদনা করেছে।
আরও পড়ুন: যশোদাবেন মোদী কি শাহিনবাগে সিএএ-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন?
তথ্য যাচাই
বুম রিভার্স সার্চ করে আসল ছবিটি খুঁজে পেয়েছে। এই মহিলার ছবিটি শাহিন বাগের এনআরসি ও নাগরিকত্ব লাগাতার প্রতিবাদের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।
২০১৯ সালের অগস্ট মাসে পূর্ব লন্ডনের দেগেনহামে অবস্থিত সুপারমার্কেট এএসডিএ-এর একটি স্টোরে মুসলিম মহিলার ছদ্মবেশে বাচ্চাদের খাবারের টিন চুরি করতে গিয়ে ধরা পরা দুজন। দুজনেই বোরখা পড়েছিলেন চুরি করা জিনিস লুকানোতে সুবিধা হবে বলে। নিরাপত্তা রক্ষীরা তল্লাশি চালানোর সময় এক মহিলা তার বোরখা তুলে অন্তর্বাস পর্যন্ত দেখায়। এক স্থানীয় দোকানদার পুরনো ঘটনা ক্যামেরাবন্দী করেন।
প্রায় ২০০ পাউন্ডে দামের ২০ টি দ্রব্য তাদের থেকে পাওয়া যায়। মেট্রোতে প্রকাশিত প্রতিবেদনের স্ক্রিনশট নীচে দেওয়া হল। এই খবরটি টেলিগ্রাফ ও সান সহ একাধিক ইংল্যান্ডের গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল।