২০১৩ সালে (Bihar Bandh) বিহারে বিজেপির ডাকা বনধে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে জনতা দল ইউনাউটেড (জেডিইউ)-এর কর্মীদের (JDU Workers) সংঘর্ষের ছবিকে মিথ্যে করে বলা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার মাথাভাঙ্গায় (Mathabhanga) তৃণমূল ও বিজেপির সংঘর্ষের (TMC-BJP Clash) ঘটনা।
২০২১ সালের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে ঘিরে প্রায়শই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। আনন্দবাজার ডিজিট্যালের ২০২০ সালের ২৫ ডিসেম্বরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাথাভাঙ্গায় বিজেপির মিছিলে হামলা হয়। পাল্টা হামলায় ভাঙচুর করা হয় তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়। এই প্রেক্ষিতেই ছবিটি শেয়ার করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাতেও।
ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা যায় একদল দলীয় সমর্থকদের হাতাহাতি। বিজেপি দলের পতাকা রয়েছে সংঘর্ষে জড়ানো দলীয় কর্মীদের হাতে। নিচে দেখুন ছবিটি।
ছবিটি শেয়ার করে ক্যাপশন লেখা হয়েছে, ''#BIG_BREAKING বিজেপি - তৃণমূলের সংঘর্ষে উত্তপ্ত মাথাভাঙ্গা। বিজেপি নেতার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি করার অভিযোগ।ভাঙচুর করা হয়েছে বিজেপি কর্মীর বাড়ি,অভিযোগ তৃণমুলের বিরুদ্ধে। হামলার প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ বিজেপির।''
তথ্য যাচাই
বুম যাচাই করে দেখে ভাইরাল ছবিটি ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে কোচবিহারের (Coochbehar) মাথাভাঙ্গায় (Mathabhanga) রাজনৈতিক সংঘর্ষের ছবি নয়।
বুম ছবিটিতে রিভার্স সার্চ করে ২০১৩ সালের ১৯ জুন প্রকাশিত ইকনমিক টাইমসের একটি প্রতিবেদনের হদিস পায়।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, বিজেপির ডাকা বনধে জনতা দল ইউনাউটেড-এর কর্মীদের সঙ্গে বচসা বাঁধে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের। ৩,২০০ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। জেডিইউ-এর রাজ্য মুখপাত্র রবি রঞ্জন প্রসাদ আহত হয় ওই সংঘর্ষে। কোতোয়ালি থানায় রবি রঞ্জন বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন।
একই ছবি ও ঘটনাটি নিয়ে আউটলুক-এর প্রতিবেদন পড়া যাবে এখানে। সংবাদসংস্থা পিটিআই-এর সৌজন্যে ছবিটি প্রকাশিত হয়েছিল সেই প্রতিবেদনে।
পিটিআই-আর্কাইভেও রয়েছে সংশ্লিষ্ট ছবিটি।