২০১৮ সালে আফগানিস্তানের (Afghanistan) নানগারহর প্রদেশে যুদ্ধবিরতির সময় নাগরিকদের উচ্ছ্বাসের ছবি বিভ্রান্তিকর দাবি সহ সোশাল মিডিয়ায় ছড়ানো হচ্ছে। সোশাল মিডিয়ায় ছবিটি শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, তালিবানদের (Taliban) হাতে কাবুল (Kabul) শহর দখলের পর ছাত্রদের উল্লাস।
১৫ অগস্ট আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে তালিবানদের দখলে চলে যাওয়ার খবর প্রকাশিত হয় গণমাধ্যমে। আফগানিস্তানের রাষ্ট্রপতি আশরাফ ঘানি দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। ইসলামিক এমরিট অফ আফগানিস্তান নতুন নাম দিয়েছে দেশটির। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি হামিদ কারজাই এখনও আফগানিস্তান রয়েছেন। তালিবানের সঙ্গে সমঝোতা চালিয়ে যাবেন বলে রবিবার বার্তা দিয়েছেন তিনি। কাবুল বিমানবন্দরে দেশ ছাড়তে চেয়ে ভিড় বাড়াচ্ছে নাগরিকরা।
ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ছবিতে একদল যুবককে গাড়িতে চড়ে উল্লাস করতে দেখা যায়। ছবিটি ফেসবুকে পোস্ট করে ক্যাপশন লেখা হয়েছে, "আলহামদুলিল্লাহ। ছাত্ররা কাবুল শহরে ঢুকে পড়েছে। ইসলামের বিজয় ধ্বনি ঠেকায় কে? বিশ্বের জালিমদের মসনদ কাঁপতে শুরু করেছে।"
ছবিটি দেখা যাবে এখানে।
বুম দেখে ছবিটি ওই একই দাবি সহ ফেসবুকে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিহারে জানালা দিয়ে কোভিড টিকা নেওয়ার ভিডিও পশ্চিমবঙ্গের বলে ভাইরাল
তথ্য যাচাই
বুম যাচাই করে দেখে ভাইরাল ছবিটি ১৬ জুন ২০১৮ আফগানিস্তানের নানগারহর (Nangarhar) প্রদেশের রোদাত (Rodat) জেলায় তোলা। সরকার এবং তালিবানদের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা হলে সাধারণ নাগরিকরা রাস্তায় উচ্ছ্বাস করে।
বুম রিভার্স সার্চ করে দ্য ওয়্যার গণমাধ্যমে ১৮ জুন ২০১৮ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে ছবিটি ব্যবহার হতে দেখে। ছবির সূত্র হিসাবে রয়টার্স সংবাদ সংস্থার কথা উল্লেখ করা হয়।
বুম রয়টর্স পিকচার্সে মূল ছবিটি খুঁজে পেয়েছে। ছবিটির ক্যাপশনে লেখা হয়, "১৬ জুন ২০১৮ আফগানিস্তানের নানগারহর প্রদেশের রোদাত জেলায় জনগনের যুদ্ধবিরতি উদযাপন। রয়টর্সের তরফে ছবিটি তোলেন চিত্রসাংবাদিক পারভিজ পারভিজ।
(মূল ইংরেজিতে ক্যাপশন: People celebrate ceasefire in Rodat district of Nangarhar province, Afghanistan June 16, 2018.)
১৬ জুন ২০১৮ ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৮ সালের জুন মাসে তালিবানরা আফগানিস্তানের নানগারহর প্রদেশে হামলা চালায়। ইদ পালন ও শান্তিপূর্ণ আলোচনার জন্য রাষ্ট্রপতি আশরফ গনির সরকার তালিবানদের সাথে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে। সে সময় তোলা ছবিটিতে নাগরিকদের উচ্ছ্বাস করতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: মিথ্যে দাবিতে ছড়াল জওহরলাল নেহরুর ১৯৫০ সালে সংবিধানে স্বাক্ষর করার ছবি