Explore

HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
MethodologyNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফ্যাক্ট চেকNo Image is Available
বিশ্লেষণNo Image is Available
ফাস্ট চেকNo Image is Available
আইনNo Image is Available

Explore

HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
MethodologyNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফ্যাক্ট চেকNo Image is Available
বিশ্লেষণNo Image is Available
ফাস্ট চেকNo Image is Available
আইনNo Image is Available
ফ্যাক্ট চেক

ইজরায়েলি বাহিনীর আল আকসা মসজিদ দখল দাবিতে ইরাকের ভিডিও ভাইরাল

বুম যাচাই করে দেখে ভিডিওটি ২০০৪ সালে ইরাকের সামারা শহরে চলা সামরিক অভিযানের।

By - Sumit Usha | 20 May 2021 2:57 PM GMT

সেনাবাহিনীর ট্রুপারদের একটি মসজিদ (Mosque) দখলের প্রায় সতেরো বছরের পুরানো ফুটেজ মিথ্যে ক্যাপশন দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হল। ওই ক্যাপশনে দাবি করা হয়েছে যে, ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে কী ভাবে ইজরায়েলি বাহিনী (Israel Army) জেরুজালেমের (Jerusalem) ওল্ড সিটিতে অবস্থিত আল আকসা মসজিদ (Al-Aqsa Moque) দখল করেছে।

বুম অনুসন্ধান করে দেখতে পায় যে, ভাইরাল হওয়া ফুটেজটি আসলে ২০০৪ সালে ইরাকের সামারা শহরে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরাকের যৌথ বাহিনীর মিলিত অপারেশনের ছবি।

ইজরায়েল এবং প্যালেস্তাইনের মধ্যে সম্প্রতি যে সংঘর্ষ চলছে, তার পরিপ্রেক্ষিতেই এই ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে। ইজরায়েল ২০২১ সালের ১০ মে আল আকসা মসজিদ দখল করে, এবং শেখ জারাহর বিতর্কিত অঞ্চল থেকে প্যালেস্তানীয়দের জোর করে উচ্ছেদ করে, এবং তার জেরেই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।

হামাস এই হামলার প্রত্যুত্তরে মিসাইল হামলা করে, এবং ইজরায়েলও পাল্টা আক্রমণ করে। বোমা বর্ষণের ফলে এখন পর্যন্ত ১৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে, এবং তাঁদের বেশির ভাগই প্যালেস্তানীয়।

সাড়ে চার মিনিটের ভিডিওটিতে একটি সামরিক অভিযান চলতে দেখা যাচ্ছে। সৈনিকদের একটি বাড়ির ভিতরে ঢুকতে দেখা যাচ্ছে, যেটিকে দেখে মসজিদ বলে মনে হয়। ভাইরাল হওয়া ভিডিওটির সঙ্গে হিন্দিতে লেখা যে ক্যাপশন দেওয়া হয়েছে তার অনুবাদ, "ইজরায়েলের বাহিনী আল আকসা মসজিদ দখল করে ফেলেছে, এবং নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিয়েছে। হামাস আত্মসমর্পণ করা পর্যন্ত আমাদের বাহিনী যত দূর পৌঁছবে, তত দূর পর্যন্তই আমাদের নতুন সীমানা হবে— বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। #AlJazeera #Mosad #Israel # প্যালেস্তাইন #IndiaStandsWithIsrael'"।

(হিন্দিতে লেখা মূল টেক্সটঃ अल-अक्सा मस्जिद को खाली करा अपने कब्जे में ले लिया गया इजरायली सेना के द्वारा। हमास के समर्पण तक जहां हमारी सेना पंहुचेगी, वही हमारी नई सीमा होगी - बेंजामिन नेतन्याहू #আলজাজিদের #Mosad #Israel #फिलिस्तीन #IndiaStandsWithIsrael)

ভিডিওটি দেখতে এখানে এবং আর্কাইভ দেখতে এখানে ক্লিক করুন।


বিভিন্ন ফেসবুক পেজ থেকেও ভিডিওটি একই দাবির সঙ্গে শেয়ার করা হয়েছে।


টুইটারেও ভিডিওটি একই দাবির সঙ্গে ভাইরাল হয়েছে।

আরও পড়ুন: ভাঙা মসজিদের বাইরে প্যালেস্তাইনিদের প্রার্থনা করার এই ছবিটি ২০১৪ সালের

তথ্য যাচাই 

ক্লিপ থেকে নেওয়া একটি স্ক্রিনশটের উপর বুম রিভার্স ইমেজ সার্চ করে ইউটিউবের একটি ভিডিও দেখতে পায়। ভিডিওটি ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আপলোড করা হয়।

আরবি ভাষায় ভিডিওটির টাইটেলে লেখা হয়, "খুব দুষ্প্রাপ্য... ২০০৪ সালে গোল্ডেন মসজিদের / মস্ক অব ইমামস আল-আকসারি্র উপর আক্রমণ"।

(আরবী ভাষায় লেখা মূল টেক্সট: نادر جدا .. الهجوم على المسجد الذهبي /مسجد الامامين العسكريين 2004)

Full View

ভিডিওটির বিবরণে আরবি ভাষায় যা লেখা রয়েছে, তার অনুবাদ: "২০০৪ সালে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী ও ইরাকি সেনাবাহিনীর যৌথ স্পেশাল ফোর্সের ৩৬ ব্যাটেলিয়ন... এবং ন্যাশনাল গার্ডের ২০২ ব্যাটেলিয়ন... এবং সপ্তম ব্যাটেলিয়ন... এবং এই উল্লিখিত বাহিনী সামারা শহরের উপর আক্রমণ করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার অজুহাতে, এবং আল কায়দার হাত থেকে শহরকে মুক্ত করতে … অন্যান্য সংঘর্ষের মধ্যে একটি ছিল গল্ডেন মস্কের সংঘর্ষ , আমেরিকার বাহিনী ঘোষণা করে যে মসজিদটি তারা দখল করেছে, এবং সংঘর্ষে ২০ জন গ্রেফতার হয়েছে, ও ৪ জন নিহত।"

আমরা ইউটিউবে 'সামারার সংঘর্ষ' দিয়ে কিওয়ার্ড সার্চ করি এবং দেখতে পাই ২০২০ সালে আর একটু লম্বা দৈর্ঘের একটি ভিডিও আপলোড করা হয় যাতে এই ফুটেজটি দেখা যাচ্ছে।

ভিডিওটির শিরোনামে লেখা হয় "গোল্ডেন মস্কে আমেরিকার স্পেশাল ফোর্সের হানা।"

Full View

ভিডিওটির বিবরণে লেখা হয়, "সামারা সংঘর্ষের একটি অংশ হিসাবে ২০০৪ সালের ১ অক্টোবর গোল্ডেন মস্কে অভিযান চালানো হয়। আমেরিকার স্পেশাল ফোর্স ট্রুপের (সম্ভবত ১ ব্যাটেলিয়ন ৫ স্পেশাল ফোর্স গ্রুপ) নেতৃত্বাধীন ৩৬ ইরাকি কমান্ডো ব্যাটেলিয়ন মসজিদের চত্বরে ঢুকে পড়ে। তার আগে AH64 Apache হেলফায়ার মিসাইল চালিয়ে তিনজনের আরপিজি দলকে নিঃশেষ করে।"

আমরা দেখতে পাই মিলিটারি ডট কমে ২০১১ সালে এই একই ভিডিও আপলোড করা হয়।

ওই ভিডিওটির বিবরণে দাবি করা হয় যে, আমেরিকা এবং ইরাকের স্পেশাল ফোর্স 'ইরাকের সামারায় গোল্ডেন মস্কে হানা দেয়।'

সবকটি ভিডিওতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঘটনাটি সামারার সংঘর্ষের। এই অভিযানটি অপারেশন ব্যাটন রুজ নামেও পরিচিত।

'অপারেশন ব্যাটন রুজ' এই শব্দগুলি দিয়ে বুম কিওয়ার্ড সার্চ করে এবং এই ঘটনার উপর অনেকগুলি বিশদ প্রতিবেদন দেখতে পায়।

২০১০ সালের অক্টবরে দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত "ইরাক যুদ্ধের ধারাবিবরণী: সামারার সংঘর্ষে বহু নিরীহ মানুষ হত" শীর্ষক প্রতিবেদন অনুসারে 'অপারেশন ব্যাটন রুজ'- এর মাধ্যমে আসলে অনুপ্রবেশকারীদের হাত থেকে সামারাকে উদ্ধার করার চেষ্টা করা হয়।

অন্য একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, ২০০৪ সালের ১ অক্টোবর ৩৬ ইরাকি ব্যাটেলিয়ন সামারার অব্জ মনরোয় অবস্থিত গোল্ডেন মস্ক নিজেদের দখলে নেয়। গোল্ডেন মস্ক বা আল আসকারি মসজিদ শিয়া মুসলিমদের কাছে বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধর্মস্থান বলে মনে করা হয়।

নীচে জেরুসালেমের আল আকসা মসজিদে ১০ মে, ২০২১ তারিখে হিংসার ভিডিও দেওয়া হল।

Full View


Full View

আরও পড়ুন: ২০১৩ সালের মিশরের ভিডিও ছড়াল প্যালেস্তাইনিদের আহত হওয়ার ভান বলে

Related Stories