সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রতি ভাইরাল ভাইরাল একটি সবজি বাজারের ভিডিও শেয়ার করে ব্যবহারকারীরা দাবি করেছেন গাজিয়াবাদের সাহিবাবাদে (Sahibabad) লোনির বিজেপি (BJP) বিধায়ক (MLA) নন্দকিশোর গুর্জর (Nand Kishor Gurjar) জনগণের ক্ষোভের মুখে পড়ে দৌড়ে পালাচ্ছেন।
বুম যাচাই করে দেখে ভাইরাল দাবি ভুয়ো। ভিডিওটি গাজিয়াবাদের সাহিবাবাদ মান্ডির হলেও, সেসময় লোনির বিধায়ক ও বিজেপি নেতা নন্দকিশোর গুর্জর সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। তিনি একটি বিবৃতিতে জানান ঘটনার সময় তিনি বিধানসভা অধিবেশনে ছিলেন।
ভাইরাল দাবি
ভাইরাল ভিডিওয় একটি সবজি বাজারের মধ্যে লোকজনকে দৌড়াদৌড়ি করতে দেখা যায় এবং এক ব্যক্তিকে হিন্দিতে বলতে শোনা যায় যে নন্দকিশোর গুর্জরকে মেরে দিয়েছে। এক ফেসবুক ব্যবহারকারী ২৫ সেকেন্ডের ভিডিওটি শেয়ার করে ক্যাপশনে লেখেন, "উত্তর প্রদেশ শাহীবাবাদ বিজেপি বিধায়ক নন্দকিশোর কে রাস্তায় দৌড়ে দৌড়ে উত্তম মাধ্যম দিচ্ছে।"
পোস্ট দেখুন এখানে, আর্কাইভ দেখুন এখানে।
অনুসন্ধানে কী পাওয়া গেল
১. সাহিবাবাদ মান্ডিতে বচসার ফলে গুলি
আমরা সম্পর্কিত কিওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে ভাইরাল ভিডিও একটি ফেসবুক পেজের পোস্টে দেখতে পাই যেখানে বলা হয়েছে গাজিয়াবাদের সাহিবাবাদ মান্ডিতে বৈঠকের সময় বচসা গোলাগুলিতে পরিণত হয়।
এরপর, আমরা কিওয়ার্ড সার্চ করে এই ঘটনা সংক্রান্ত এনডিটিভি এবং রিপাবলিক ভারতের ভিডিও রিপোর্ট পাই। প্রতিবেদন অনুসারে, ১১ অগাস্ট, ২০২৫-এ ব্যবসায়ীদের বৈঠকের মধ্যে হঠাৎই গুলি চালানো শুরু হয়। জানা যায়, দুই আড়তদারের মধ্যে ঝগড়া গোলাগুলি ও ভাঙচুরে পর্যন্ত গড়ায়। স্থানীয় নেতা ও ব্যবসায়ী হরিশ চৌধুরীকে গুলি চালিয়েছে বলে চিহ্নিত করা হয়। বচসায় এক ব্যবসায়ী আহত হন।
রিপাবলিক ভারতের ভিডিও রিপোর্টে ভাইরাল ভিডিওর অনুরূপ দৃশ্য এবং পুলিশের বিবৃতি দেখা যায়।
দৈনিক ভাস্করের রিপোর্ট হরিশকে বিজেপি কর্মী হিসাবে চিহ্নিত করেছে। ঘটনার পর, হরিশ চৌধুরী একটি ভিডিও প্রকাশ দাবি করেন তিনি আত্মরক্ষার জন্য গুলি চালান।
দৈনিক জাগরণ জানায়, কংগ্রেস নেতা বিজেন্দ্র যাদবের আপত্তিকর ভাষার ব্যবহার থেকে ঘটনার সূত্রপাত। ঘটনায় হরিশ চৌধুরী, তার ছেলে, দুই ভাইপো সহ ২৫ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে রিপোর্ট দায়ের করা হয়েছে।
২. ঘটনাস্থলে ছিলেন না নন্দকিশোর গুর্জর
ভাইরাল ভিডিওর সঙ্গে লোনি বিধায়ক নন্দকিশোর গুর্জরের নাম জড়ানোর পর তিনি তার এক্স হ্যান্ডেলে ভাইরাল দাবি খণ্ডন করে একটি বিবৃতি পোস্ট করে জানান, ঘটনার সময় তিনি লখনউ বিধানসভা অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন, সাহিবাবাদের মান্ডিতে নয়।