সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনদের একাংশ সম্প্রতি হয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় রেমালকে (Cyclone Remal) কেন্দ্র করে মা ও তার কোলে একটি সদ্যজাত শিশুর ভুয়ো ছবি শেয়ার করেছেন। ভাইরাল এই পোস্টটি শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে ছবিতে রেমাল ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত এক মা ও তার সন্তানকে দেখা যাচ্ছে।
বুম যাচাই করে দেখে ভাইরাল পোস্টের মা ও শিশুর ছবিটি পুরনো এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে তৈরি করা হয়েছে। আমরা দেখি এই ছবিটির সাথে রেমাল ঘূর্ণিঝড়ের কোনও যোগ নেই।
এবছরের ২৬ মে মধ্যরাতে ভারতের সাগরদ্বীপ ও বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মাঝে ল্যান্ডফল করে রেমাল। দুই দেশের বঙ্গোপসাগর উপকূলবর্তী এলাকা ও সুন্দরবন অঞ্চলে জীবিকা ও মানব জীবন উভয়েরই ক্ষয়ক্ষতি হয়। ঝড়খালিতে বিদ্যাধরী নদীর বাঁধ ভেঙে জল গ্রামে ঢুকে পরে।
ভাইরাল পোস্টের ছবিতে বন্যার কাদা-জলের মধ্যে একটি ভাঙা ঘরের ছাউনির নীচে এক মাকে কোলে তার সদ্যজাত সন্তানকে নিয়ে শুয়ে থাকতে দেখা যায়। এই ছবিটি শেয়ার করে একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী ক্যাপশন হিসাবে লিখেছেন, "পৃথিবীতে সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয় এর জায়গা মায়ের কোল গতকাল ২৭/০৫/২০২৪ ভোলার চরফ্যাসনের দৃশ্য৷ এক মা তার সন্তান কে বাঁচানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন। এটাই মা।"
পোস্টটি দেখুন এখানে, আর্কাইভ দেখুন এখানে।
একই ক্যাপশনসহ আরও একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী ভাইরাল পোস্টটি শেয়ার করেছেন।
পোস্টটি দেখুন এখানে, আর্কাইভ দেখুন এখানে।
তথ্য যাচাই
বুম দাবিটির সত্যতা যাচাই করতে ভাইরাল ছবিটির রিভার্স ইমেজ সার্চ করে ইনস্টাগ্রামে ১৭ এপ্রিল ২০২৪ করা একটি পোস্টে মা ও শিশুর একই ছবি দেখতে পায়। এর থেকে আমরা বুঝতে পারি ছবিটির সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় রেমালের কোনও যোগ নেই।
পোস্টটি দেখুন এখানে।
আমরা মা ও শিশুর ভাইরাল ছবিটির মধ্যে কিছু অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করি। অস্বাভাবিকতাগুলির মধ্যে অন্যতম হল ছবির মহিলার দৃশ্যমান পায়ের পাতায় ছটি আঙুল দেখা যায়।
এই অস্বাভাবিকতাগুলি থেকে ইঙ্গিত নিয়ে আমরা হাইভ মডারেশনে ভাইরাল ছবিটি যাচাই করে দেখি। হাইভ মডারেশনে পরীক্ষার ফলাফল থেকে আমরা জানতে পারি ছবিটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে তৈরি করা হয়েছে।
নীচে হাইভ মডারেশনে করা পরীক্ষার ফলাফল দেখা যাবে।