তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool) মুখপাত্র (spokesperson) কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) উপর ত্রিপুরার (Tripura) আগরতলায় (Agartala) ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে হামলার ঘটনাকে বিভ্রান্তিকর দাবি সহ সোশাল মিডিয়ায় সাম্প্রতিক জনরোষের শিকার বলা হচ্ছে।
২৭ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে সংবাদমাধ্যমের কাছে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় কিছু দুষ্কৃতী তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে আক্রমণ করে। কুণাল ঘোষ সহ সাংবাদিকরাও হামলা থেকে বাঁচতে একটি গেটের ভতরে চলে যায়।
ভিডিওটি ফেসবুকে শেয়ার করে ক্যাপশন লেখা হয়েছে, "দেখুন জনগণের ভয়ে কিভাবে পালাতে হলো ডাকাত কুনাল সহ চোর তৃণমূল নেতা রা। #চোর_ধরো_জেল_ভরো"। (ক্যাপশনের ভাষা অপরিবর্তিত)
ভিডিওটি দেখুন এখানে।
এই একই দাবি সহ দুটি ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে ও এখানে।
আরও পড়ুন: প্রতিক্রিয়ার ভয়ে কি শাহরুখ খানের ছবির 'পাঠান' নাম বদলে 'জওয়ান' হল? একটি তথ্য-যাচাই
তথ্য যাচাই
বুম দেখে যে ফেসবুকের ভাইরাল ভিডিওটিতে এবিপি আনন্দের লোগো দেখা যাচ্ছে। বুম ইউটিউবে কিওয়ার্ড সার্চ করে ২১ নভেম্বর ২০২১ আপলোড করা কুণাল ঘোষের উপর হামলার একটি ভিডিও খুঁজে পায় এবিপি আনন্দের ইউটিউব চ্যানেলে।
এবিপি লাইভের ওই বুলেটিনে দেখা যায় কুণাল ঘোষ সংবাদিকদের বাইট দেওয়ার সময় আচমকা দুষ্কৃতীদে্র আক্রমণের শিকার হয়। ইঁট ধেয়ে আসে তাঁদের দিকে।
বুম যাচাই করে দেখে ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ভিডিও এবং এবিপি আনন্দের বুলেটিনের দৃশ্য একই।
প্রতিবেদন থেকে আমরা জানতে পারি ত্রিপুরার আগরতলা পূর্ব মহিলা থানার চত্বরে সংবাদমাধ্যমের কাছে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় কুণাল ঘোষ আক্রান্ত হয়। আক্রমণ থেকে বাঁচতে থানার ভেতর আশ্রয় নেন কুণাল। ওই মহিলা থানার অভ্যন্তরে ছিলেন তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষ। দুষ্কৃতকারীদের হামলায় আক্রান্ত হন এক সংবাদিকও।
বিষয়টি নিয়ে ২১ নভেম্বর ২০২১ প্রকাশিত আনন্দাবাজার অনলাইনের প্রতিবেদন পড়ুন এখানে।
জনরোষে আক্রান্ত হয়েছেন কুণাল ঘোষ এই ব্যপারে বুম সাম্প্রতিক কোনও প্রতিবেদন খুঁজে পায়নি।
আরও পড়ুন: ভুয়ো গ্রাফিক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর খাওয়া খরচ আরটিআই রিপোর্টে পাওয়া তথ্য