Explore

HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
MethodologyNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফ্যাক্ট চেকNo Image is Available
বিশ্লেষণNo Image is Available
ফাস্ট চেকNo Image is Available
আইনNo Image is Available

Explore

HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
MethodologyNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফ্যাক্ট চেকNo Image is Available
বিশ্লেষণNo Image is Available
ফাস্ট চেকNo Image is Available
আইনNo Image is Available
ফ্যাক্ট চেক

সরকার কি সব রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণ করছে? একটি তথ্য যাচাই

বুম যাচাই করে দেখে সম্প্রতি অর্থনৈতিক নীতি চর্চা সংস্থা এক প্রবন্ধে এমন প্রস্তাব করেছে, কিন্তু তা সরকারি নীতি নয়।

By - Mohammed Kudrati | 19 Aug 2022 3:47 PM IST

বিভিন্ন সোশাল মিডিয়া পোস্টে দাবি করা হয়েছে, সরকার নাকি স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (এসবিআই) (SBI) বাদে সমস্ত রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের (Public Banks) বেসরকারিকরণ (Privatising) করতে চলেছে। দাবিটি বিভ্রান্তিকর এবং পোস্টগুলি জি নিউজের (Zee News) একটি প্রতিবেদনের ভুল শিরোনামের উপর ভিত্তি করে করা হয়েছে।

২০২২ সালের ১৩ জুলাই জি নিউজ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যার শিরোনাম ছিল, 'ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণ: এসবিআই ছাড়া সমস্ত রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণ হবে, এ বিষয়ে সাম্প্রতিকতম তথ্য জেনে নিন।(Bank Privatization: SBI को छोड़ सभी सरकारी बैंक होंगे प्राइवेट! जानिए लेटेस्ट अपडे')

এই শিরোনামটি বিভ্রান্তিকর। ওই প্রতিবেদনে আসলে একটি অর্থনৈতিক নীতি সংক্রান্ত আলোচনাসভার জন্য অর্থনীতিবিদ পুনম গুপ্তা এবং অরবিন্দ পানাগড়িয়ার একটি প্রবন্ধের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। ওই প্রবন্ধে এসবিআই ছাড়া সমস্ত রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

কিন্তু জি নিউজ শিরোনামে ওই প্রবন্ধটির কথা উল্লেখ করেনি।

তাছাড়া এই সুপারিশ এখনও কার্যকরী হয়নি, এমনকি সরকার তা গ্রহণও করেনি।

এখনও পর্যন্ত সরকার জনসমক্ষে জানিয়েছে যে, শুধুমাত্র দুটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণ হতে পারে, যা অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ২০২১ সালের কেন্দ্রীয় বাজেট বক্তৃতায় ঘোষণা করেছিলেন।

দাবিটি নীচে দেখতে পারেন। প্রথম কমেন্টে জি নিউজের বিতর্কিত প্রতিবেদনের লিঙ্কটি দেওয়া আছে।

Full View

জি নিউজের প্রতিবেদনটি দেখুন এখানে আর আর্কাইভড করা আছে এখানে

জি নিউজের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, সরকার এই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির দ্রুত বেসরকারিকরণের কথা ভাবছে এবং তা এই সেপ্টেম্বর মাস থেকেই শুরু হতে পারে। কিন্তু এই তথ্য সূত্রের মাধ্যমে পাওয়া গেছে বলে ওই সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে।

সৌজন্য: জি নিউজ

সোশাল মিডিয়ায় একাধিক বার এই দাবি করা হয়েছে।

Full View

আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় সাক্ষরতার হার ১০০ শতাংশ দাবিতে ছড়াল ভুয়ো বার্তা

তথ্য যাচাই

এসবিআই ছাড়া অন্য সব রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণ বিষয়ে সরকার এখনও পর্যন্ত কোন মন্তব্য করেনি। দুটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণ করার নীতিতেই সরকার স্থির রয়েছে।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে অর্থ মন্ত্রক লোকসভায় জানিয়েছিল যে, কোন কোন ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণ করা হবে, কিছু আইনি প্রতিবন্ধকতার জন্য তা এখনও নিশ্চিত হয়নি।

অর্থমন্ত্রক সংসদকে জানায়, "ডিপার্টমেন্ট অব ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড পাবলিক অ্যাসেটস ম্যানেজমেন্ট'-এর (ডিআইপিএএম ) পরামর্শ সরকারের কাছে এসেছে, কিন্তু কোন কোন ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণ করা হবে সে বিষয়ে সরকার এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। বেসরকারিকরণ শুরু হওয়ার আগে এই বিষয়ক আইন সংশোধন করা দরকার।"

এই ভাইরাল পোস্টে যাকে সত্য বলে দাবি করা হচ্ছে, সেটি আসলে আরবিন্দ পানাগড়িয়া এবং পুনম গুপ্তার একটি পলিসি পেপারের উপর ভিত্তি করে করা হচ্ছে। আরবিন্দ পানাগড়িয়া নীতি আয়োগের প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান এবং পুনম গুপ্তা কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং সেই সঙ্গে ন্যাশনাল কাউন্সিল অব অ্যাপ্লায়েড ইকনমিক রিসার্চের (এনসিএইআর) (National Council of Applied Economic Research) মহানির্দেশক।

এনসিএইআর (NCAER) একটি অলাভজনক অর্থনৈতিক নীতি চর্চা সংস্থা (Economic Think-Tank) এবং এই প্রবন্ধটি ১৩ ও ১৪ জুলাই অনুষ্ঠিত এক গবেষণা সম্মেলন এবং ইন্ডিয়া পলিসি ফোরাম ২০২২' (India Policy Forum 2022) এর একটি অংশ ছিল।

ঐ প্রবন্ধে গুপ্তা এবং পানাগড়িয়া এসবিআই ছাড়া আর সমস্ত ব্যাঙ্ককে ক্রমে রাষ্ট্রীয় মালিকানার বাইরে নিয়ে আসার পক্ষে সওয়াল করেছেন।

গবেষণাপত্রটি পড়া যাবে এখানে।

আরও একাধিক সংবাদমাধ্যম গুপ্তা ও পানাগড়িয়ার এই প্রস্তাবটি সম্বন্ধে সংবাদ প্রকাশ করেছে। কিন্তু সেই সংবাদগুলির শিরোনামে স্পষ্ট উল্লেখ করা ছিল যে, এটি নিতান্তই একটি নীতি প্রস্তাব।

বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখা যেতে পারে।

সৌজন্য: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড


সৌজন্য: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

Tags:

Related Stories