ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা তিব্বতের আধ্যাত্মিক নেতা ও ধর্মগুরু সম্মানীয় চতুর্দশ দলাই লামার (Dalai Lala) রাষ্ট্রীয় স্ময়ং সেবক সংঘ (RSS) সংক্রান্ত একটি ভুয়ো মন্তব্য সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ফেসবুক পোস্টে দাবি করা হয়েছে সম্মানীয় চতুর্দশ দলাই লামা বলেছেন, যারা আরএসএস এর মতো দেশভক্ত সংঠনকে সন্ত্রাসবাদী বলে—তাঁরা স্বার্থসিদ্ধির জন্য নিজের মাকে দেহপজীবীনী বলতে পারে।
বুম যাচাই করে দেখে সংশ্লিষ্ট মন্তব্যটি কাল্পনিক, দলাই লামা অতীতে একাধিকবার আরএসএস নিয়ে মন্ত্যব্য করলেও এই মন্তব্যের হদিস খুঁজে পায়নি বুম।
দলাই লামা হচ্ছেন স্বতন্ত্র তিব্বতের রাজনৈতিক ও আধ্যাত্মিক প্রধান। ১৯৫৯ সালের ৩ মার্চ ভারত দলাই লামাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়।
তিব্বতে চিনের আগ্রাসন ও শান্তিরক্ষার ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ১৯৮৯ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান দলাই লামা। মাও সে তুং'র নেতৃত্বে চীন ১৯৫৮ সালে তিব্বত অধিগ্রহন করলে দলাই লামা তাঁর অনুগামীদের নিয়ে ভারতে প্রত্যাবর্তন করেন। বিস্তারিত পড়ুন। ভারতীয় জনতা দলের রাজনৈতিক আদর্শ অরজানৈতিক রাষ্ট্রীয় স্বয়মসেবক সঙ্ঘ-এর সদর দফতর মহারাষ্ট্রের নাগপুরে। হিন্দুত্ব জাতীয়তাবাদী ও অখণ্ডতার ভাবধারা প্রচারের উদ্দেশে ১৯২৫ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর এই সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার। বিস্তারিত পড়ুন সংঘের ওয়েবসাইটে। ভাইরাল হওয়া ফেসবুক পোস্টটিতে দলাই লামার ছবি ব্যবহার করে লেখা রয়েছে, "যারা RSS এর মতো দেশভক্ত সংঠনকে সন্ত্রাসবাদী বলে – তাঁরা স্বার্থসিদ্ধির জন্য নিজের মাকেও বেশ্যা বলতে পারে – দালাই লামা"
ফেসবুক পোস্টটি দেখা যাবে
এখান। পোস্টটি আর্কাইভ করা আছে
এখানে।
তথ্য যাচাই
বুম যাচাই করে দেখে দলাই লামা সংঘ সম্পর্কে এই ধরণের কোনও মন্তব্য করেননি
বুম দলাই লামার সামাজ মাধ্যম
ফেসবুক ও
টুইটার এইরকম কোনও মন্তব্য খুঁজে পায়নি। ভাইরাল মন্তব্যটি নারীবিদ্বেষী ও কুরুচিকর এব্যাপারে গণমাধ্যমে কোনও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি।
বুম দেখে ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসে
দলাই লামা নাগপুরে সংঘের সদর দফতর সফরে যান। সে সময় আরএসএস এর ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। ওই সফরে দলাই লামার সঙ্গে বর্তমান সরসংঘচালক মোহন ভাগবতের দেখা না হলেও পরে ফোনে কথা হয় তাঁদের। মোহন ভগবত বলেন আরএসএস তিব্বতের আন্দোলনে পাশে থাকবে।
২০১৮ সালের নেহরু সম্পর্কে মন্তব্যের জেরে ক্ষমা চেয়ে নেন
দলাই লামা।
২০১৫ ও
২০১৯ সালের নারীবিদ্বেষী মন্তব্যের জন্য লিঙ্গ সাম্য অধিকার কর্মীদের বিরাগভাজন হন তিনি।