একটি ভাইরাল ফেসবুক পোস্টে মিথ্যে দাবি করা হয়েছে যে, সাধারণের শৌচাগারের (Toilets) ওপর সরকার জিএসটি (GST) বসিয়েছে। পোস্টটিতে একটি রসিদের (recepiet) স্ক্রিনশটও দেওয়া হয়েছে। তাতে দেখানো হয়েছে যে, পাঞ্জাবের (Punjab) একটি সরকারি বাস স্ট্যান্ডের শৌচাগার ব্যবহার করার জন্য নির্ধারিত মূল্য (৫ টাকা) ছাড়াও বাড়তি এক টাকা দিতে হচ্ছে।
বুম দেখে, স্ক্রিনশটের রসিদটি পুরনো। সেটি ২০১৭ সালের অগস্ট মাসের। জিএসটি চালু হওয়ার এক মাস পরের। এবং সেই সময় পাঞ্জাব সরকার সেটিকে নস্যাৎ করে। বুম অর্থমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য খতিয়ে দেখে। দেখা যায়, সাধারণের জন্য স্নানঘর বা শৌচালয়ের মতো পরিষেবার ওপর কোনও জিএসটি বসানো হয়নি।
পোস্টটি নীচে দেখানো হয়েছে। সম্প্রতি কয়েক'টি অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যদ্রব্য ও হাসপাতালের বেড-এর মতো পরিষেবার ওপর জিএসটি চাপানোর পরিপ্রেক্ষিতে পোস্টটি আবার শেয়ার করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গুরু পূর্ণিমায় শ্রদ্ধা জানান অর্পিতা মুখোপাধ্যায়? ভুয়ো খবর জি ২৪ ঘন্টায়
তথ্য যাচাই
জিএসটির হার সংক্রান্ত পরোক্ষ কর ও আমদানি শুল্ক পর্ষদের তথ্য খুঁটিয়ে দেখে বুম। দেখা যায়, "সাধারণের সুবিধার্থে পরিষেবা'র আওতায়-পড়া শৌচাগার, ওয়াশরুম, প্রস্রাবখানা ব্যবহারের ওপর কোনও জিএসটি নেই।
তালিকাটি দেখা যাবে এখানে। (তার জন্য ব্যবহারকারীদের "টয়লেট", "বাথরুম" বা "ওয়াশরুম" – এই কি-ওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করতে হবে)
এই পরিষেবাগুলির ওপর যে কোনও শুল্ক চাপানো হয়নি, তা নীচের স্ক্রিনশটে দেখানো হয়েছে।
তাছাড়া এই দাবিটি ২০১৭ সালেই নস্যাৎ করা হয়।
২০১৭ সালে, লুধিয়ানার আধিকারিকরা দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানান যে, পোস্টটি মিথ্যে দাবি করেছে। শৌচাগার ব্যবহারের জন্য দু'টাকা নেওয়া হয় আর প্রস্রাবখানা ব্যবহারের জন্য কোনও পয়সা লাগে না। পড়ুন এখানে।
লুধিয়ানায়, 'পানবাস'-এর লুধিয়ানা বাসস্ট্যান্ডের জেনারেল ম্যানেজার দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, "ওই রকম কোনও রসিদ আমরা দিই না। টয়লেট ব্যবহারের ওপর কোনও জিএসটি নেই।"
আরও পড়ুন: নরেন্দ্র মোদীকে রামনাথ কোবিন্দের নমস্কারের ছাঁটাই ভিডিও বিভ্রান্তি ছড়াল