বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব (Lalu Prasad Yadav) প্রয়াত বলে গুজব ছড়ালো (Death Hoax) সোশাল মিডিয়ায়। শববাহী গাড়িতে একটি মৃতদেহের ছবি সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে ক্যাপশন লেখা হচ্ছে দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস-এ (AIIMS) চিকিৎসা চলাকালীন প্রয়াত হলেন তিনি।
রাষ্ট্রীয় জনতা দলের মুখপাত্র চিত্তরঞ্জন গগন-এর সঙ্গে বুম যোগাযোগ করলে, তিনি এই ভাইরাল দাবিটি নস্যাৎ করেন।
ভাইরাল ছবিটিতে দেখা যায় যে, শববাহী গাড়িতে একটি মৃতদেহ শোয়ানো আছে। সেটির সঙ্গে হিন্দিতে লেখা ক্যাপশনে বলা হয়েছে, "খুবই দুঃখজনক। দিল্লির এইমস-এ চিকিৎসা চলা কালে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও সাবেক রেলমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব মারা যান।
(মূল হিন্দিতে লেখা ক্যাপশন: बहुत दु:खद बिहार के पूर्व मुख्यमंत्री देश के रेल मंत्री रह चुके लालू प्रसाद यादव की ईलाज दिल्ली AIIMS के दौरान मृत्यु हो गई।)
পোস্টটি দেখতে ক্লিক করুন এখানে।
একাধিক সোশাল মিডিয়া ব্যবহারকারী ছবিটি শেয়ার করেছেন। দেখুন এখানে।
আরও পড়ুন: না, রাহুল গাঁধী নেপালে কোনও চিনা কূটনীতিকের সঙ্গে পার্টি করেননি
তথ্য যাচাই
লালু প্রসাদ যাদবের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত খবরের সন্ধান করে বুম। ফলে, রাষ্ট্রীয় জনতা দলের মুখপাত্র চিত্তরঞ্জন গগনকে উদ্ধৃত করে বেশ কয়েকটি সংবাদ প্রতিবেদন দেখতে পাই আমরা। তাতে বলা হয়, আরজেডি প্রধান সুস্থ আছেন এবং দিল্লিতে তাঁর বড় মেয়ের বাড়িতে রয়েছেন। রিপোর্টগুলি পড়ুন এখানে ও এখানে।
ইন্ডিয়া টুডে-কে গগন জানান যে, "একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অঙ্গ হিসেবে, আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদ যাদব-এর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে কিছু লোক সোশাল মিডিয়ায় মিথ্যে ও ভিত্তিহীন গুজব ছড়াচ্ছে"।
তাছাড়া, বুম লালু প্রসাদ যাদবের দুই ছেলে, তেজস্বী যাদব ও তেজ প্রতাপ যাদবের সোশাল মিডিয়া প্রোফাইলগুলিও দেখে। লালু প্রসাদের দুই ছেলের টুইটার হ্যান্ডেল ও ফেসবুক পেজে তাঁর তথাকথিত মৃত্যু সম্পর্কে কোনও পোস্ট ছিল না।
ওই ভাইরাল খবরটি সম্পর্কে আরও জানতে বুম রাষ্ট্রীয় জনতা দলের দিল্লি অফিসের সঙ্গেও যোগাযোগ করে। ওই অফিসের একজন কর্তাব্যক্তি, ভাইরাল দাবিটি উড়িয়ে দেন। আমরা আরজেডি'র মুখপাত্র চিত্তরঞ্জন গগনের সঙ্গেও কথা বলি। উনিও খবরটি সরাসরি খারিজ করে দেন। বুমকে গগন বলেন, "দিল্লিতে উনি (ওনার মেয়ে) মিসা ভারতীর বাড়িতে থেকে সুস্থ হয়ে উঠছেন।"
৭৪ বছর বয়সী লালু প্রসাদ যাদব, একাধিক শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। এই বছরের মার্চ মাসে, কিডনির সমস্যার কারণে উনি দিল্লির এইমস-এ ভর্তি হন।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে, এক বিশেষ সিবিআই আদালত, তাঁকে পশু খাদ্য সংক্রান্ত পাঁচ নম্বর মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে। "ডোরান্ডা ট্রেজারি বা কোষাগার থেকে ১৩৯ কোটি টাকা লোপাট করার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায়, তাঁকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় ও ৬০ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়," সংবাদ প্রতিবেদনে লেখে হিন্দুস্থান টাইমস।
আরও পড়ুন: কর্নাটকের মুসকান খান নিহত ভুয়ো দাবিতে ছড়াল কাশ্মীরের ২০১৭ সালের ছবি