চলচ্চিত্র পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের (Srijit Mukherjee) বাবা মারা (death) গেছেন বলে ভুয়ো খবর প্রকাশিত হল ওয়েব গণমাধ্যমে। পরিচালক নিজে থেকে মঙ্গলবার টুইট করে এ বিষয়ে প্রকাশিত হওয়া ভুয়ো তথ্য সহ প্রতিবেদনটি খণ্ডন করেন।
সৃজিত মুখোপাধ্যায় ৩ মে সকালের ওই টুইটে লেখেন, "এটি ভুয়ো খবর। আমার বাবা মারা যান ২০১৭ সালে। আমি সাহায্যের জন্য অন্য আরেকজনের অনুরোধ শেয়ার করেছিলাম। লাফিয়ে খবর প্রকাশ করবেন নায। দায়িত্ববান হোন"
সংবাদ ওয়েবসাইট এশিয়ানেট বাংলা ৪ মে ২০২১ প্রকাশিত প্রতিবেদনে শিরোনাম লেখে, "বাবাকে হারালেন সৃজিত, 'Covid' পজিটিভ হয়ে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু বাবার, দেহ সৎকার নিয়ে সমস্যায় পরিচালক।"
প্রতিবেদনটি বর্তমানে মুছে দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনটি আর্কাইভ করা আছে এখানে। এশিয়ানেট বাংলা পরে সংশোধন করে অরেকটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
আসল ঘটনা কী?
সৃজিত মুখেপাধ্যায়ের বাবার ২০১৭ প্রয়াত হয়েছেন টুইটে তেমনটাই জানান তিনি। ২০১৭ সালে হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল সৃজিতের বাবার।
ব্যারাকপুরের বাসিন্দা ঋক রায় ভোররাতে বাম সংগঠনের কোভিড সংক্রান্ত সাহায্যের ফেসবুক গ্রুপে লেখেন, " আমার বাবা একটু আগে মারা গেলেন। কোভিড পজিটিভ ছিল। কিন্তু হার্ট অ্যাটাক করে। কোনও উপসর্গ ছিল না। সুস্থ্য ছিলেন। কিন্তু কিভাবে দেহ সৎকার করব কেউ আসছে না। আর ডেথ সার্টিফিকেট ও দিচ্ছে না। একটু হেল্প করুন ব্যারাকপুর।"
এই পোস্টটি সৃজিত তাঁর ফেসবুক পেজে শেয়ার করেন। ব্যারাকপুরের সদ্য জেতা তৃণমূল বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীকে টুইটারে ট্যাগ করে সৃজিত ট্যগ করেন। আর তাতেই বিপত্তি করে বসে সংশ্লিষ্ট ওয়েব গণমাধ্যমটি।
সৃজিত সহ টলিউড ইন্ডাস্ট্রির একাধিক সতীর্থরা তাঁদের সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে এভাবে বিভিন্ন মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন কোভিড যুদ্ধে পরস্পরের পাশে মানবিক বোধ নিয়ে।
কোভিড রোগীদের দাহ কাজ নিয়ে টাকা নেওয়ার ও মৃতদেহ পরিত্যক্ত ভাবে থাকার অভিযোগ ওঠায় রাজ্যের ২৩ টি জেলা ও পুর এলাকার অধীন একজন করে নোডাল আধিকারিক নিয়োগ করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। বিনামূল্যে সম্মানের সঙ্গে সুরক্ষিতভাবে দাহের সমস্ত প্রক্রিয়া নিজেদের হাতে নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
কোভিড সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য ও পরামর্শের জন্য যোগাযোগ করা যাবে স্বাস্থ্য দপ্তরের হেল্পলাইন ০৩৩-২২১৪-১৯৯৫ এবং ১৮০০৪১৯১১৯৮ এই নম্বর দুটিতে।
আরও পড়ুন: শিকেয় কোভিড, ভোট প্রচারে ৪ কোটি ফেসবুকে ব্যয় রাজনৈতিক দলগুলির