Explore

HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
MethodologyNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফ্যাক্ট চেকNo Image is Available
বিশ্লেষণNo Image is Available
ফাস্ট চেকNo Image is Available
আইনNo Image is Available

Explore

HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
MethodologyNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফ্যাক্ট চেকNo Image is Available
বিশ্লেষণNo Image is Available
ফাস্ট চেকNo Image is Available
আইনNo Image is Available
ফ্যাক্ট চেক

ইজরায়েলি পরিচালক নাদাভ লাপিড 'দ্য কাশ্মীর ফাইল্‌স'কে দারুণ সিনেমা বলেছেন?

ভারতীয় গণমাধ্যম নাদাভ লাপিডের এক সাক্ষাৎকারের বক্তব্যের ভুল উদ্ধৃতি দিয়ে দাবি করেছে তিনি বলেছেন এই সিনেমা 'বুদ্ধিদীপ্ত'।

By - Archis Chowdhury | 6 Dec 2022 12:05 PM GMT

বেশ কয়েকটি মূলধারার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম (Indian Media) ইজরায়েলি চলচ্চিত্রকার এবং ভারতীয় ফিল্ম উৎসবের বিচারকমণ্ডলীর প্রধান নাদাভ লাপিডের (Nadav Lapid) বক্তব্যের ভুয়ো উদ্ধৃতি দিয়েছে। লাপিড যে 'দ্য কাশ্মীর ফাইল্‌স' চলচ্চিত্রকে 'অশালীন ও প্রচারসর্বস্ব' বলে সংজ্ঞায়িত করেছেন, ভারতীয় গণমাধ্যম (Media Misreporting) সেটাকে 'বুদ্ধিদীপ্ত' (Brilliant) সিনেমা বলে লাপিডের মুখে প্রশংসা।

বুম দেখলো, এই সব সংবাদমাধ্যম লাপিডের সঙ্গে ইন্ডিয়া টুডে-র রাহুল কানওয়ালের একটি সাক্ষাৎকার থেকে ভুল উদ্ধৃতি দিয়েছে। লাপিড শুধু বলেছিলেন—তিনি এ বিষয়ে অবহিত যে কেউ-কেউ এই ছবিটির প্রশংসা করেছেন।

হিন্দুস্তান টাইমস, ডিএনএ, এন্টারটেনমেন্ট টাইমস, লাইভ হিন্দুস্তান এবং জাগরণ ইংলিশ সকলেই নিজেদের ওয়েবসাইটে এই ভুল উদ্ধৃতি প্রকাশ করে। বলিউড অভিনেতা অনুপম খের যিনি এই চলচ্চিত্রে একটি মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তিনিও এই ভুয়ো দাবি পেশ করেছেন।

গত ২৮ নভেম্বর, ২০২২, সোমবার গোয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক ভারতীয় চলচ্চিত্র উৎসবের অন্তিম লগ্নে ইজরায়েলি চলচ্চিত্রকার নাদাভ লাপিড তাঁর বক্তৃতায় বলেন—"'দ্য কাশ্মীর ফাইল্‌স' একটি অশালীন এবং প্রচারসর্বস্ব ফিল্ম, যাকে এ ধরনের মর্যাদাসম্পন্ন উৎবের প্রতিযোগিতামূলক অংশে অন্তর্ভুক্ত করাই উচিত হয়নি।"

তাঁর এই মন্তব্যে বিতর্কের ঝড় ওঠে এবং ইজরায়েলি দূতাবাসের তরফে উৎসব সংগঠকদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করা হয়, দক্ষিণপন্থীরা ভারত সরকারের নিন্দায় মুখর হন এমন একজন চলচ্চিত্রকারকে উৎসবে প্রধান জুরি হতে আমন্ত্রণ করার জন্য।

মিডিয়া যা রিপোর্ট করেছে

হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে লাপিডকে উদ্ধৃত করে লিখেছে, "প্রচারসর্বস্ব বলতে কী বোঝায়, আমি স্বীকার করছি, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া কঠিন। এটা ছবি হিসাবে দারুণ, সন্দেহ নেই, তবে আমাকে তো ছবি সম্পর্কে আমার ব্যক্তিগত মতামতও দিতেই হবে!" এই উদ্ধৃতির উৎস হিসাবে সেখানে রাহুল কানওয়ালের সাক্ষাত্কারকে শনাক্ত করা হয়েছে।

অন্যান্য মিডিয়াও ওই সাক্ষাৎকার থেকেই একই উদ্ধৃতিকে তাদের উৎস হিসাবে ব্যবহার করেছে।

...লাপিড আসলে যা বলেছিলেন

বুম নাদাভ লাপিডের ইন্ডিয়া টুডের রাহুল কানওয়ালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারের সম্পূর্ণ অংশ দেখে যা ওই মন্তব্যের উৎস হিসাবে চলচ্চিত্রটি সম্পর্কে তাঁর রায় 'বুদ্ধিদীপ্ত' বলা হয়েছে।

ভিডিওটির ৬ মিনিট ৫ সেকেন্ড সময়ে লাপিডকে বলতে শোনা যায়, "আমি সম্পূর্ণ শ্রদ্ধা ও বিষয়টি মানি যে অনেকেই আছেন—যারা এই মুভিটিকে ভালোবাসে এবং যারা মনে করে এটি একটি 'বুদ্ধিদীপ্ত' মুভি।

তিনি বস্তুত স্পষ্টই স্বীকার করেন যে তাঁর মতে এই চলচ্চিত্র একরকম আবার অনেকেই তাঁদের মতে এই চলচ্চিত্রকে বুদ্ধিদীপ্ত ভাবেন। সাক্ষাৎকারের এই অংশটি বিভ্রান্তিকরভাবে তাঁর মতে বুদ্ধিদীপ্ত বলে চালানো হচ্ছে।

Full View

ইন্ডিয়া টুডের রাহুল কানওয়ালকে সাক্ষাৎকারে লাপিড যা বলেছিলেন, তা হল। লাপিড ওই সাক্ষাৎকারে স্বীকার করেন—অনেকের এই ফিল্ম ভালো লাগতে পারে, তাঁরা এটিকে একটা বুদ্ধিদীপ্ত ছবি বলে মনে করতেও পারেন। তবে ফিল্মটি সম্পর্কে আমার মূল্যায়ণ আমার নিজস্ব এবং বিষয়ীগত।

তিনি একবারও বলছেন না যে, এটি একটি দুর্দান্ত ফিল্ম, শুধু বলছেন যে, কারও-কারও এ ছবিটি ভালো লাগতেই পারে এবং তাঁরা এটিকে একটা দারুণ ছবি মনে করতেই পারেন। তিনি যে অন্যদের মতামতকে সম্মান করেন, সেটাও কবুল করছেন। শুধু বলছেন, তাঁদের যেমন ছবিটিকে দারুণ মনে করার অধিকার আছে, তাঁরও তেমনি অধিকার রয়েছে ছবিটি সম্পর্কে তাঁর নিজস্ব মতামত দেওয়ার। কেননা সেই কারণেই তাঁকে বিচারকমণ্ডলীর প্রধান হিসাবে উৎসব-কর্তৃপক্ষ আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।

লাপিড এই অভিযোগও খণ্ডন করেছেন যে, তিনি কাশ্মীরি পণ্ডিতদের গণ-উচ্ছেদের বিয়োগান্তক ঘটনার প্রতি উদাসীন। তিনি বলেন—আমি কেবল ফিল্মটির শৈল্পিক, নান্দনিক বিষয় নিয়ে মন্তব্য করেছি। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের দুর্দশা বিষয়ে আমি কোথাও কখনও কথা বলিনি, কেবল ফিল্মটি নিয়ে আমার শৈল্পিক বক্তব্য পেশ করেছি। এবং সেই বক্তব্য থেকে আমি আদৌ বিন্দুমাত্র সরে আসছি না। যদি ফিল্মটি নিয়ে মন্তব্য করার জন্য লোকের মনে আঘাত লেগে থাকে, তবে সে জন্য আমি দুঃখিত।"

Related Stories