ত্রিশূল (trident) হাতে বসে মন্দিরে পূজা দিচ্ছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা (Priynka Gandhi Vadra) এমন একটি ছবি সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। ছবিটি ভুয়ো সম্পাদনা (edited) করে তৈরি করা হয়েছে।
ভাইরাল হওয়া ছবিতে প্রিয়ঙ্কাকে চোখ বন্ধ করে ত্রিশূল হাতে মাটিতে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে।
সামনের বছর উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা ভোট রয়েছে। আর কংগ্রেস নেত্রী এখন উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জেলায় ঘুরে ঘুরে মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন। এই পরিপ্রেক্ষিতেই ছবিটি শেয়ার করা হয়েছে।
ছবিটির সঙ্গে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, "দায়িত্বজ্ঞানহীনতা আর নকলনবিশিরচূড়ান্ত।"
আর্কাইভ টুইটটি দেখুন এখানে।
একই ছবি টুইটও করে ক্যাপশন লেখা হয়েছে, "যে দ্রুততায় পিঙ্কিজি মন্দিরে মন্দিরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, তাতে ভোট আসতে আসতে উনি কি রাধে মা হয়ে যাবেন?"
(হিন্দিতে লেখা মূল ক্যাপশন: जिसतेजीसे#पिंकीजीमंदिरमंदिरघूमरहीहै.. #इलेक्शनआतेआतेकही#राधे_माँनाबनजाये?)
টুইটটি দেখুন এখানে।
আরও পড়ুন: ২০১৭ সালে রংপুরে ধর্মীয় হিংসার ছবি বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনা বলে ছড়াল
তথ্য যাচাই
বুম যাচাই করে দেখে, ভাইরাল হওয়া ছবিটি মর্ফ করে তৈরি করা হয়েছে। আসল ছবিতে প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা হাতে আদৌ কোনও ত্রিশূল নেই।
গুগল ইমেজে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে আমরা ২০১৯ সালের মার্চ মাসে প্রকাশিত কিছু প্রতিবেদন দেখতে পাই। ওই প্রতিবেদনে আমরা আসল ছবিটি দেখতে পাই। মূল ছবিটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে, ভাইরাল হওয়া ছবিটি অদলবদল করে তৈরি করা হয়েছে।
২০১৯ সালের ১৯ মার্চ ইন্ডিয়া টিভির এই প্রতিবেদনে আমরা আসল ছবিটি দেখতে পাই। আসল ছবিতে প্রিয়ঙ্কার হাতে কোনও ত্রিশূল নেই। এমনকি তাঁর হাত ছবিতে দেখাও যাচ্ছে না। তাছাড়া, মর্ফ করা ছবিতে তাঁর মাথায় যত বড় টিকা দেখা যাচ্ছে, আসল ছবিতে তত বড় টিকা মোটেই নেই।
ছবিটির সৌজন্য দেওয়া হয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে এবং ছবির সঙ্গে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, "পূর্ব উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা মির্জাপুর জেলার বিন্ধ্যবাসিনী মন্দিরে পূজা দিতে গেলেন।"
উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসও ২০১৯ সালের ১৯ মার্চ প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা বিন্ধ্যবাসিনী মন্দিরে পূজা দেওয়ার এই ছবিটি টুইট করেছে। এই ছবিগুলিতেও তাঁর হাতে কোনও ত্রিশূল নেই, এবং ভাইরাল ছবিতে যেমন তাঁর হাতে চুড়ি দেখা যাচ্ছে এই ছবিগুলিতে তাও দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না।
আসল ছবি এবং ভাইরাল হওয়া ছবি দুটির মধ্যে তুলনা করলেই দেখা যাবে যে ভাইরাল হওয়া ছবিটি সম্পাদনা করে তৈরি করা হয়েছে।